Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Chief Minister

মাত্র কয়েক দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এঁরাও

শুধু ইয়েদুরাপ্পাই নয়, মাত্র কিছু ক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আরও নজির রয়েছে এ দেশে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির কিছু ক্ষণের অতিথিদের তেমনই কয়েক জনকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ১১:০২
Share: Save:
০১ ১২
মাত্র দু’দিনের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইয়েদুরাপ্পা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন। তবে শুধু ইয়েদুরাপ্পাই নয়, মাত্র কিছু ক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আরও নজির রয়েছে এ দেশে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির কিছু ক্ষণের অতিথিদের তেমনই কয়েক জনকে।

মাত্র দু’দিনের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইয়েদুরাপ্পা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন। তবে শুধু ইয়েদুরাপ্পাই নয়, মাত্র কিছু ক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আরও নজির রয়েছে এ দেশে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির কিছু ক্ষণের অতিথিদের তেমনই কয়েক জনকে।

০২ ১২
জগদম্বিকা পাল: ’৯৮-এর ২১ ফেব্রুয়ারি। তৎকালীন রাজ্যপাল রমেশ ভান্ডারী বরখাস্ত করেন বিজেপির কল্যাণ সিংহকে। কংগ্রেস ভেঙে লোকতান্ত্রিক কংগ্রেস গড়ে এসপি ও বিএসপির সমর্থনে সরকার গড়লেন জগদম্বিকা। কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী পদ ফিরে পান কল্যাণ। জগদম্বিকা পরিচিতি পেলেন সবচেয়ে কম সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।

জগদম্বিকা পাল: ’৯৮-এর ২১ ফেব্রুয়ারি। তৎকালীন রাজ্যপাল রমেশ ভান্ডারী বরখাস্ত করেন বিজেপির কল্যাণ সিংহকে। কংগ্রেস ভেঙে লোকতান্ত্রিক কংগ্রেস গড়ে এসপি ও বিএসপির সমর্থনে সরকার গড়লেন জগদম্বিকা। কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী পদ ফিরে পান কল্যাণ। জগদম্বিকা পরিচিতি পেলেন সবচেয়ে কম সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।

০৩ ১২
বি এস ইয়েদুরাপ্পা: ২০১৮ সালে ১৭ মে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দু’দিনের মাথাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত। ১৯ মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দিন আর আস্থাভোটে যাননি তিনি। প্রথমেই ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনিও দু’দিনের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

বি এস ইয়েদুরাপ্পা: ২০১৮ সালে ১৭ মে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দু’দিনের মাথাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত। ১৯ মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দিন আর আস্থাভোটে যাননি তিনি। প্রথমেই ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনিও দু’দিনের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

০৪ ১২
সতীশপ্রসাদ সিংহ: বিহারে মাত্র তিন দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৮-র ২৮ জানুয়ারি কংগ্রেসের সমর্থনে শোষিত সমাজ দল থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি বিহারের প্রথম ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস মুখ্যমন্ত্রী।

সতীশপ্রসাদ সিংহ: বিহারে মাত্র তিন দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৮-র ২৮ জানুয়ারি কংগ্রেসের সমর্থনে শোষিত সমাজ দল থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি বিহারের প্রথম ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস মুখ্যমন্ত্রী।

০৫ ১২
ওমপ্রকাশ চৌতালা: হরিয়ানার দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ১৯৯০ সালে ১২ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই এই ৫ দিন তিনি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

ওমপ্রকাশ চৌতালা: হরিয়ানার দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ১৯৯০ সালে ১২ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই এই ৫ দিন তিনি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

০৬ ১২
নীতীশ কুমার: ২০০০-এর মার্চের ৩-১০ তারিখ অর্থাৎ ৭ দিনের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরে রাবড়ী দেবী বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রমাণ করে দেন। বাধ্য হয়েই ইস্তফা দিতে হয় নীতীশ কুমারকে।

নীতীশ কুমার: ২০০০-এর মার্চের ৩-১০ তারিখ অর্থাৎ ৭ দিনের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরে রাবড়ী দেবী বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রমাণ করে দেন। বাধ্য হয়েই ইস্তফা দিতে হয় নীতীশ কুমারকে।

০৭ ১২
বি এস ইয়েদুরাপ্পা: ২০০৭। কর্নাটকে বিজেপি ও জেডি (এস) জোট। শর্ত ছিল, প্রথম ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন কুমারস্বামী, পরের ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু ইস্তফা দিতে চাননি কুমারস্বামী। বিজেপি সমর্থন তোলে। রাষ্ট্রপতি শাসন রাজ্যে। দু’দলের সমঝোতায় ১২ নভেম্বর শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা। এ বার জেডি (এস) সমর্থন তুলে নেয়। সাত দিনেই ইস্তফা ইয়েড্ডির।

বি এস ইয়েদুরাপ্পা: ২০০৭। কর্নাটকে বিজেপি ও জেডি (এস) জোট। শর্ত ছিল, প্রথম ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন কুমারস্বামী, পরের ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু ইস্তফা দিতে চাননি কুমারস্বামী। বিজেপি সমর্থন তোলে। রাষ্ট্রপতি শাসন রাজ্যে। দু’দলের সমঝোতায় ১২ নভেম্বর শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা। এ বার জেডি (এস) সমর্থন তুলে নেয়। সাত দিনেই ইস্তফা ইয়েড্ডির।

০৮ ১২
এস সি মারেক: ১৯৯৮ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিনের জন্য তিনি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

এস সি মারেক: ১৯৯৮ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিনের জন্য তিনি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

০৯ ১২
ওমপ্রকাশ চৌতালা: ১৯৯১ সালে হরিয়ানায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। সে বারেও বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে পারেননি। ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল, এই ১৬ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

ওমপ্রকাশ চৌতালা: ১৯৯১ সালে হরিয়ানায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। সে বারেও বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে পারেননি। ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল, এই ১৬ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

১০ ১২
জানকী রামচন্দ্রন: ’৮৮-র ৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন। ’৮৭-তে এমজিআরের মৃত্যুর পর স্ত্রী জানকী মুখ্যমন্ত্রী হবেন স্থির হয়। কিন্তু এআইএডিএমকে তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল জানকীকে সমর্থন করেন, অন্য দল জয়ললিতাকে। স্পিকার জানকীকে আস্থাভোটে জয়ী ঘোষণা করেন। যদিও তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়।

জানকী রামচন্দ্রন: ’৮৮-র ৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন। ’৮৭-তে এমজিআরের মৃত্যুর পর স্ত্রী জানকী মুখ্যমন্ত্রী হবেন স্থির হয়। কিন্তু এআইএডিএমকে তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল জানকীকে সমর্থন করেন, অন্য দল জয়ললিতাকে। স্পিকার জানকীকে আস্থাভোটে জয়ী ঘোষণা করেন। যদিও তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়।

১১ ১২
বিন্দেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল: বিহারের দ্বিতীয় ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৮ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ মাত্র ৩০ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

বিন্দেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল: বিহারের দ্বিতীয় ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৮ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ মাত্র ৩০ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

১২ ১২
সি এইচ মহম্মদ কোয়া:  কেরলের দশম মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তবে বেশি দিন তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেননি। ১৯৭৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৫০ দিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।

সি এইচ মহম্মদ কোয়া: কেরলের দশম মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তবে বেশি দিন তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেননি। ১৯৭৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৫০ দিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE