হায়দরাবাদ, বদোদরা, ইনদওরের রাজপরিবাররে সংগ্রহে থাকা রত্ন ও গয়নার কথা সেই সময় বিদেশ বিভুঁইয়েও গিয়ে পৌঁছেছিল। এর মধ্যে নওয়ানগরের রাজপরিবারের সংগ্রহে থাকা গয়না নিয়ে কৌতুহল ছিল সীমাহীন। শোনা যায়, সেই সময় তাঁদের সংগ্রহে বিরল প্রকৃতির কালো কৃষ্ণবর্ণ মুক্তা, খোদাই করা পান্না এবং চুণীখচিত একাধিক নেকলেস ছিল। হলুদ রংয়ের একটি বিশেষ হিরের তৈরি গয়নাও ছিল তাঁদের সংগ্রহে, সেটিকে ‘টাইগার্স আই’ বলা হতো।
নেকলেসটির সামনের অংশে দু’টি স্ট্র্যান্ট রাখা হয়। পিছনের দিকে একটিই। তবে শুধুমাত্র মূল্যবান ধাতু নয়, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ফার্স-ক্লাস হিরে বসিয়ে স্ট্র্যান্ডগুলি তৈরি করা হয়। সামনের দু’টি স্ট্র্যান্ড জুড়তে গোলাপি রংয়ের দু’টি চৌকো আকারের হিরে ব্যবহার করা হয়। মাঝখানের পেনডেন্টটি তৈরি করতে ২৬ ক্যারাটের একটি নীল রংয়ের হিরে, একাধিক গোলাপি হিরে এবং একটি ১২ ক্যারাটের সবুজ হিরে ব্যবহার করা হয়। তাদের মাঝখানে বসানো হয় কুইন অব হল্যান্ডের বিখ্যাত একটি হিরে, যা আকারে ১০৫ ক্যারাটেরও বড় ছিল।
কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরিস্থিতিত বদলে যায়। সরকার সব কিছু দখল করে নিতে পারে, এই আশঙ্কায় রাতারাতি মূল্যবান রত্ন ও সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করে দেয় রাজপরিবারগুলি। নওয়ানগরের রাজপরিবারও সেই দলে নাম লেখায়। শোনা যায়, ছয়ের দশকে তাঁদের কাছ থেকে ওই নেকলেসটি কিনে নেন কার্টিয়ার। পরবর্তী কালে সেটি ভেঙে আলাদা ভাবে হিরেগুলি বিক্রি করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy