প্রতি ২২ জন ভারতীয় নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা বলছে এমনটাই। প্রতি দু’জন রোগাক্রান্ত মহিলার মধ্যে একজন মারা যান ভারতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ১০:৪৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
প্রতি ২২ জন ভারতীয় নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা বলছে এমনটাই। প্রতি দু’জন রোগাক্রান্ত মহিলার মধ্যে একজন মারা যান ভারতে।
০২১২
শহর কিংবা গ্রাম নির্বিশেষে, ৩০-৪০ বছর কিংবা এর চেয়েও কম বয়সিরা আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। কিন্তু রোগ নির্ধারণ, কাউন্সেলিং, চিকিৎসা, সব কিছুতেই এখনও পিছিয়ে দেশ, বলছে সমীক্ষা।
০৩১২
চিকিত্সকদের একাংশের মতে, ৫০ বছরের উপর বয়স না হলে ম্যামোগ্রাম টেস্ট করা উচিত নয়। এর কারণ হিসাবে রেডিয়েশনের দিকে আঙুল তোলেন তাঁরা। ১৫০০-৮০০০ টাকা খরচ হয় ম্যামোগ্রামে। এই খরচের ফলে অনেকে পরীক্ষা করাতে চান না। তবে কেরলের একদল বিজ্ঞানী এর একটা সমাধন বের করেছেন।
০৪১২
ত্রিচূড়ের সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ফর ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি (সি-মেট) একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এটি আসলে একটা অন্তর্বাস বা ব্রা। এই ব্রা-তে রয়েছে সেন্সর। যেটি থার্মাল ইমেজিংয়ের মাধ্যমে স্তনে ক্যানসার আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত করতে পারে।
০৫১২
এই প্রকল্পের চিফ ইনভেস্টিগেটিং অফিসার এ সীমা সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নারী শক্তি পুরস্কার পেয়েছেন এই যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য।
০৬১২
কন্নুরের মালাবার ক্যানসার সেন্টারের অধিকর্তা ২০১৪ সালে সি-মেটে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ম্যামোগ্রাম হয় না। তাই পরা যায় এমন কিছুর সঙ্গে যদি থার্মাল ইমেজিং যোগ করা যায়, তা হলে ক্যানসার শনাক্তকরণ সহজ হবে।
০৭১২
পরবর্তী চার বছর ধরে মালাবারে পরীক্ষামূলক ব্যবহারও শুরু হয় এই ব্রা-র। স্তনের ত্বকের তাপমাত্রা দেখে এই সেন্সর কোনওরকম অস্বাভাবিকতা থাকলে তা ধরে ফেলে, জানান সীমা।
০৮১২
এতে রেডিয়েশনের ব্যাপারও নেই, কারণ ত্বকের তাপমাত্রা এ ক্ষেত্রে নির্ধারক। এটি পোর্টেবলও, একটা ছোট সুটকেসেই ধরে যায়। কোনও ব্যথাও হয় না এতে। এই ব্রা-র মতো যন্ত্র পরার সময় পোশাক বদলাতেও হয় না। ফলে গ্রামাঞ্চলে রক্ষণশীল পরিবেশেও কাজ করা যায় সহজেই।
০৯১২
যে কোনও বয়সের মহিলার স্তন পরীক্ষা করতে পারে এটি, যে কেউ এই ধাতব ব্রা পরতে পারেন। এই যন্ত্রটির দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বাণিজ্যিকীকরণ হলে আরও দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০১২
সীমার দাবি, ভবিষ্যতে এর দাম ৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। ১১৭ জন রোগী ও ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপরে ইতিমধ্যেই এটি পরীক্ষা করা হয়েছে।
১১১২
প্রচুর পরিমাণে যন্ত্র উৎপাদন শুরু হলে আরও এক ধাপ পরীক্ষার পর এক বছরের মধ্যে এটি বাজারে চলে আসবে, সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সীমা।
১২১২
মুরলীধরন, আরতি কে, রঞ্জিত, দীপক, হাসিনা, ইভা ইগনাসিয়াস, শ্রী লক্ষ্মী-এই বিজ্ঞানীরাই রয়েছেন মূল প্রকল্পে। রয়েছেন দুই সহকারী সানি ও শ্রীধর কৃষ্ণ।