Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Urvashi Yadav

শিক্ষকতা থেকে ঠেলাগাড়িতে ছোলে-কুলচা বিক্রি, গুরুগ্রামের ঊর্বশী এখন কোটি কোটি টাকার মালিক!

কঠোর পরিশ্রম যে সাফল্য এনে দেয় তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে বিশ্ব জুড়ে। তেমনই গুরুগ্রামের এক মহিলার কাহিনিও চমকে দেওয়ার মতো। একটা ঠেলাগাড়ির মালিক থেকে কী ভাবে একটি রেস্তরাঁ এবং কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন সেই কাহিনিই রইল এই গ্যালারিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ১৯:১০
Share: Save:
০১ ১২
কঠোর পরিশ্রম যে সাফল্য এনে দেয় তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে বিশ্ব জুড়ে। তেমনই গুরুগ্রামের এক মহিলার কাহিনিও চমকে দেওয়ার মতো। একটা ঠেলাগাড়ির মালিক থেকে কী ভাবে একটি রেস্তরাঁ এবং কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন সেই কাহিনিই রইল এই গ্যালারিতে।

কঠোর পরিশ্রম যে সাফল্য এনে দেয় তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে বিশ্ব জুড়ে। তেমনই গুরুগ্রামের এক মহিলার কাহিনিও চমকে দেওয়ার মতো। একটা ঠেলাগাড়ির মালিক থেকে কী ভাবে একটি রেস্তরাঁ এবং কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন সেই কাহিনিই রইল এই গ্যালারিতে।

০২ ১২
‘ঊর্বশী’জ ছোলে-কুলচে’। গুরুগ্রামের বেশ পরিচিত একটি নাম। এই দোকানেরই মালিকের ঊর্বশী যাদব। রাস্তার পাশে ছোট একটা ঠেলাগাড়িতে ছোলে-কুলচা বিক্রি করতেন ঊর্বশী। এখন এক রেস্তরাঁর মালিক তিনি।

‘ঊর্বশী’জ ছোলে-কুলচে’। গুরুগ্রামের বেশ পরিচিত একটি নাম। এই দোকানেরই মালিকের ঊর্বশী যাদব। রাস্তার পাশে ছোট একটা ঠেলাগাড়িতে ছোলে-কুলচা বিক্রি করতেন ঊর্বশী। এখন এক রেস্তরাঁর মালিক তিনি।

০৩ ১২
সম্পত্তি বলতে রয়েছে ৩ কোটির বাড়ি। এসইউভি-ও রয়েছে তাঁর। একটু অবাক লাগছে, তাই না? তবে ঊর্বশী কিন্তু স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসেননি। পরিস্থিতিই তাঁকে টেনে এনেছিল এই ব্যবসায়।

সম্পত্তি বলতে রয়েছে ৩ কোটির বাড়ি। এসইউভি-ও রয়েছে তাঁর। একটু অবাক লাগছে, তাই না? তবে ঊর্বশী কিন্তু স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসেননি। পরিস্থিতিই তাঁকে টেনে এনেছিল এই ব্যবসায়।

০৪ ১২
সম্ভ্রান্ত পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে ঊর্বশী। স্নাতক স্তর শেষ দিল্লিতে একটি নামী রেস্তরাঁয় অফিস এগজিকিউটিভ-এর কাজ নেন। পরে সেই কাজ ছেড়ে দেন। ২০১০-এ অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনার ছেলে অমিত যাদবের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অমিত একটি নামী রিয়েল এস্টেট সংস্থায় ম্যানেজারের কাজ করতেন।

সম্ভ্রান্ত পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে ঊর্বশী। স্নাতক স্তর শেষ দিল্লিতে একটি নামী রেস্তরাঁয় অফিস এগজিকিউটিভ-এর কাজ নেন। পরে সেই কাজ ছেড়ে দেন। ২০১০-এ অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনার ছেলে অমিত যাদবের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অমিত একটি নামী রিয়েল এস্টেট সংস্থায় ম্যানেজারের কাজ করতেন।

০৫ ১২
২০১০-এই ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অমিতের একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ঊর্বশী ফের সিদ্ধান্ত নেন কাজ শুরু করার। স্কুলশিক্ষকের প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৩-য় একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সব কিছুই এ পর্যন্ত ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৬-য় তাঁর জীবনে ভয়ঙ্কর অন্ধকার নেমে আসে।

২০১০-এই ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অমিতের একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ঊর্বশী ফের সিদ্ধান্ত নেন কাজ শুরু করার। স্কুলশিক্ষকের প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৩-য় একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সব কিছুই এ পর্যন্ত ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৬-য় তাঁর জীবনে ভয়ঙ্কর অন্ধকার নেমে আসে।

০৬ ১২
সেই বছরে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন অমিত। বাধ্য হয়ে তাঁকে কাজ ছাড়তে হয়। এ দিকে সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার চালানো— সব কিছুই ঊর্বশীর ঘাড়ে এসে পড়ে। এখান থেকেই তাঁর জীবনটা অন্য খাতে বইতে শুরু করে।

সেই বছরে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন অমিত। বাধ্য হয়ে তাঁকে কাজ ছাড়তে হয়। এ দিকে সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার চালানো— সব কিছুই ঊর্বশীর ঘাড়ে এসে পড়ে। এখান থেকেই তাঁর জীবনটা অন্য খাতে বইতে শুরু করে।

০৭ ১২
সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার ভাল ভাবে চালানোর জন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসায় নামার চিন্তাভাবনা শুরু করেন। কিন্তু কিসের ব্যবসা করবেন স্থির করতে পারছিলেন না। কোনও রেস্তরাঁ বা বিউটি পার্লার খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেন। কিন্তু এত টাকা পাবেন কোথায়? ফলে তা ভেস্তে যায়।

সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার ভাল ভাবে চালানোর জন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসায় নামার চিন্তাভাবনা শুরু করেন। কিন্তু কিসের ব্যবসা করবেন স্থির করতে পারছিলেন না। কোনও রেস্তরাঁ বা বিউটি পার্লার খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেন। কিন্তু এত টাকা পাবেন কোথায়? ফলে তা ভেস্তে যায়।

০৮ ১২
এক দিন ঊর্বশী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাত্ই তাঁর চোখে পড়ে রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে এক ব্যক্তি ছোলে-কুলচা বিক্রি করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এই ব্যবসা সম্পর্কে সব কিছু জেনে নেন। বিষয়টা অমিতকে গিয়ে বলার পর তিনি একটু আশ্চর্যই হন।

এক দিন ঊর্বশী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাত্ই তাঁর চোখে পড়ে রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে এক ব্যক্তি ছোলে-কুলচা বিক্রি করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এই ব্যবসা সম্পর্কে সব কিছু জেনে নেন। বিষয়টা অমিতকে গিয়ে বলার পর তিনি একটু আশ্চর্যই হন।

০৯ ১২
সম্ভ্রান্ত পরিবারের বউ রাস্তায় ছোলে-কুলচা বিক্রি করবে, তা হয় না কি! পরিবারের অনেকেই রাজি ছিলেন না এই কাজে। এক প্রকার সকলের অমতেই ব্যবসাটা শুরু করেন ঊর্বশী। ঠেলাগাড়ির নাম দিলেন ‘ঊর্বশী’জ ছোলে-কুলচে’।

সম্ভ্রান্ত পরিবারের বউ রাস্তায় ছোলে-কুলচা বিক্রি করবে, তা হয় না কি! পরিবারের অনেকেই রাজি ছিলেন না এই কাজে। এক প্রকার সকলের অমতেই ব্যবসাটা শুরু করেন ঊর্বশী। ঠেলাগাড়ির নাম দিলেন ‘ঊর্বশী’জ ছোলে-কুলচে’।

১০ ১২
ঊর্বশী বলেন, “প্রথমে আমার পরিচিত আত্মীয়রা ভেবেছিলেন, তিন মাসের বেশি চালাতে পারব না এই ব্যবসা। কিন্তু মাস দেড়েকের মধ্যেই প্রচুর গ্রাহক আসতে শুরু করে।

ঊর্বশী বলেন, “প্রথমে আমার পরিচিত আত্মীয়রা ভেবেছিলেন, তিন মাসের বেশি চালাতে পারব না এই ব্যবসা। কিন্তু মাস দেড়েকের মধ্যেই প্রচুর গ্রাহক আসতে শুরু করে।

১১ ১২
এর পর ঊর্বশীর এই ঠেলাগাড়ির খাবার সম্পর্কে কোনও গ্রাহক ফেসবুকে শেয়ার করেন। ব্যস! তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

এর পর ঊর্বশীর এই ঠেলাগাড়ির খাবার সম্পর্কে কোনও গ্রাহক ফেসবুকে শেয়ার করেন। ব্যস! তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

১২ ১২
দিনে আড়াই-তিন হাজার টাকা উপার্জন করতেন, জানান ঊর্বশী। সকাল সাড়ে ৮টায় দোকান শুরু করতেন। বন্ধ করতেন বিকেল সাড়ে ৪টেয়।

দিনে আড়াই-তিন হাজার টাকা উপার্জন করতেন, জানান ঊর্বশী। সকাল সাড়ে ৮টায় দোকান শুরু করতেন। বন্ধ করতেন বিকেল সাড়ে ৪টেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE