দুষ্কর্মে অটো শঙ্করের মূল চক্রী ছিল তার ভাই অটো মোহন। এছাড়া তাদের দলের বাকি সক্রিয় সদস্য ছিল এলডিন, শিবাজি, জয়াভেলু, রাজারমন, রবি, পালানি এবং পরমশিবম। আশির দশকের শেষে এই চক্রের বিরুদ্ধে অন্তত ছ’টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। গোয়েন্দাদের দাবি, আরও অনেক ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে তাদের হাত। কিন্তু সে সব ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু তারা পালিয়ে বেশিদিন বাঁচতে পারেনি। ধরা পড়ে গিয়েছিল দলের হাতে। তদন্তে জানা যায়, খুনের পরে ললিতার দেব পুঁতে ফেলা হয়েছিল পেরিয়ার নগরের পরিত্যক্ত জমিতে। তার সঙ্গীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারপর দেহাংশ কম্বলে জড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। এক বছরেরও বেশি সময় পরে উদ্ধার হয়েছিল ললিতার দেহাবশেষ।
এরপর আর পুলিশের ফাঁদ এড়িয়ে থাকতে পারেনি অটো শঙ্কর। গ্রেফতার করার পরে অটো শঙ্করকে জেরা করে জানা যায়, পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়রিতে পাওয়া যায় বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তার ছবি। এর জেরে সাসপেন্ড করা হয় দুই পুলিশকর্মীকে। দীর্ঘ ছুটিতে পাঠানো হয় এক ডেপুটি সুপারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy