Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Stolen Diamond

পৃথিবীর এতগুলো বিখ্যাত হিরে ভারত থেকে যাওয়া? হ্যাঁ, তাই...

কোন কোন বিখ্যাত হিরে কীভাবে হাতবদল হয়ে চলে গেল অন্য দেশে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০০
Share: Save:
০১ ১০
পৃথিবী বিখ্যাত অধিকাংশ হিরেগুলির বেশির ভাগই এক সময় ছিল এ দেশে। অথচ ভারতে তার একটিও এখন নেই। এখন তা শোভা পাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘর, জাতীয় মিউজিয়মে। কোন কোন বিখ্যাত হিরে কী ভাবে হাতবদল হয়ে চলে গেল অন্য দেশে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

পৃথিবী বিখ্যাত অধিকাংশ হিরেগুলির বেশির ভাগই এক সময় ছিল এ দেশে। অথচ ভারতে তার একটিও এখন নেই। এখন তা শোভা পাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘর, জাতীয় মিউজিয়মে। কোন কোন বিখ্যাত হিরে কী ভাবে হাতবদল হয়ে চলে গেল অন্য দেশে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

০২ ১০
পৃথিবীর বিখ্যাত হিরেগুলির অধিকাংশই পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। কারণ, অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ভারতের গোলকোন্ডা ছাড়া আর কোথাও হিরে পাওয়া যেত না। পরে আফ্রিকায় হিরের খনি পাওয়া যায়। কিন্তু তত দিনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হিরেগুলির জন্ম দিয়ে দিয়েছে গোলকোন্ডা।

পৃথিবীর বিখ্যাত হিরেগুলির অধিকাংশই পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। কারণ, অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ভারতের গোলকোন্ডা ছাড়া আর কোথাও হিরে পাওয়া যেত না। পরে আফ্রিকায় হিরের খনি পাওয়া যায়। কিন্তু তত দিনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হিরেগুলির জন্ম দিয়ে দিয়েছে গোলকোন্ডা।

০৩ ১০
হোপ ডায়মণ্ড। ১৬৬০ সালে ফরাসি পর্যটক তাভার্নিয়ের কী ভাবে গোলকোন্ডা থেকে এই নীলাভ হিরেটি পান তা এখনও অন্ধকারে। ভারত থেকে ফ্রান্সে ফিরে তিনি এই হিরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের রাজাকে। অনেক হাতবদলের পর ১৯৫৮ সালে এই হিরেটি ওয়াশিংটনের একটি জাদুঘরে পাওয়া যায়। এখনও আমেরিকাতেই আছে ৪৫ ক্যারাটের এই হিরে।

হোপ ডায়মণ্ড। ১৬৬০ সালে ফরাসি পর্যটক তাভার্নিয়ের কী ভাবে গোলকোন্ডা থেকে এই নীলাভ হিরেটি পান তা এখনও অন্ধকারে। ভারত থেকে ফ্রান্সে ফিরে তিনি এই হিরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের রাজাকে। অনেক হাতবদলের পর ১৯৫৮ সালে এই হিরেটি ওয়াশিংটনের একটি জাদুঘরে পাওয়া যায়। এখনও আমেরিকাতেই আছে ৪৫ ক্যারাটের এই হিরে।

০৪ ১০
দরিয়া-ই-নুর,  অর্থাৎ আলোর সমুদ্র। হালকা গোলাপি রঙের এই হিরের খ্যাতি এক সময় কোহিনুরের থেকেই বেশি ছিল বলে শোনা যায়। নাদির শাহ দিল্লি লুঠের সময় এই হিরেটি ভারত থেকে পারস্যে (ইরান) নিয়ে যান। এখন ইরানের জাতীয় রত্ন হিসেবে তেহরানে শোভা পাচ্ছে ভারতের গোলকোন্ডায় পাওয়া এই বিশাল হিরেটি।

দরিয়া-ই-নুর, অর্থাৎ আলোর সমুদ্র। হালকা গোলাপি রঙের এই হিরের খ্যাতি এক সময় কোহিনুরের থেকেই বেশি ছিল বলে শোনা যায়। নাদির শাহ দিল্লি লুঠের সময় এই হিরেটি ভারত থেকে পারস্যে (ইরান) নিয়ে যান। এখন ইরানের জাতীয় রত্ন হিসেবে তেহরানে শোভা পাচ্ছে ভারতের গোলকোন্ডায় পাওয়া এই বিশাল হিরেটি।

০৫ ১০
নুর উল আইন, অর্থাৎ চোখের মনি। এক সময় এই হিরে ছিল পৃথিবীর সব থেকে বড় গোলাপি হিরে। পরে যদিও এই হিরে ভেঙে দু’টুকরো করে ফেলেন ইরানের রত্নকাররা। এই হিরেটিও ভারত থেকে পারস্যে লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিলেন নাদির শাহ। এই হিরেটিও ইরানের জাতীয় রত্ন হিসেবে সাজানো আছে তেহরানে।

নুর উল আইন, অর্থাৎ চোখের মনি। এক সময় এই হিরে ছিল পৃথিবীর সব থেকে বড় গোলাপি হিরে। পরে যদিও এই হিরে ভেঙে দু’টুকরো করে ফেলেন ইরানের রত্নকাররা। এই হিরেটিও ভারত থেকে পারস্যে লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিলেন নাদির শাহ। এই হিরেটিও ইরানের জাতীয় রত্ন হিসেবে সাজানো আছে তেহরানে।

০৬ ১০
প্রিন্সি, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম গোলাপি রঙের হিরে। ৩০০ বছর আগে এই হিরে পাওয়া গিয়েছিল গোলকোন্ডায়। ১৯৬০ সালে এই হিরেটি নিলাম সংস্থা ‘সদ্‌বি’-কে বিক্রি করে দেন হায়দরাবাদের নিজাম। ২০১৩ সালে এই হিরেটি রেকর্ড অর্থমূল্য ৩২৫ কোটি টাকায় কিনে নেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

প্রিন্সি, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম গোলাপি রঙের হিরে। ৩০০ বছর আগে এই হিরে পাওয়া গিয়েছিল গোলকোন্ডায়। ১৯৬০ সালে এই হিরেটি নিলাম সংস্থা ‘সদ্‌বি’-কে বিক্রি করে দেন হায়দরাবাদের নিজাম। ২০১৩ সালে এই হিরেটি রেকর্ড অর্থমূল্য ৩২৫ কোটি টাকায় কিনে নেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

০৭ ১০
হর্টেনসিয়া ডায়মন্ড। এই হিরেও পাওয়া গিয়েছিল গোলকোন্ডাতে। ১৬৪৩ সালে এই হিরেটি কিনে নিয়েছিলেন ফরাসি রাজা। ফরাসি বিপ্লবের সময় চুরি হয়ে গিয়েছিল এই হিরে। এখন ল্যুভর জাদুঘরে ফ্রান্সের জাতীয় রত্ন হিসেবে এখন শোভা পাচ্ছে ২০ ক্যারাটের এই পঞ্চভুজি হিরে।

হর্টেনসিয়া ডায়মন্ড। এই হিরেও পাওয়া গিয়েছিল গোলকোন্ডাতে। ১৬৪৩ সালে এই হিরেটি কিনে নিয়েছিলেন ফরাসি রাজা। ফরাসি বিপ্লবের সময় চুরি হয়ে গিয়েছিল এই হিরে। এখন ল্যুভর জাদুঘরে ফ্রান্সের জাতীয় রত্ন হিসেবে এখন শোভা পাচ্ছে ২০ ক্যারাটের এই পঞ্চভুজি হিরে।

০৮ ১০
রিজেন্ট ডায়মন্ড, পৃথিবীর বিশুদ্ধতম হিরে। ১৪১ ক্যারাটের এই হিরেটি এখন আছে ফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরে। ১৬৯৮ সালে এক শ্রমিক এই হিরেটি প্রথম খুঁজে পান। এক জন ইংরেজ নাবিক তা জানতে পেরে সেই শ্রমিককে খুন করে হিরেটি চুরি করেন। তার পর বহু হাতবদল হয়ে তা পৌঁছয় ফ্রান্সে। এই মুহূর্তে আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৪৪ কোটি টাকা।

রিজেন্ট ডায়মন্ড, পৃথিবীর বিশুদ্ধতম হিরে। ১৪১ ক্যারাটের এই হিরেটি এখন আছে ফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরে। ১৬৯৮ সালে এক শ্রমিক এই হিরেটি প্রথম খুঁজে পান। এক জন ইংরেজ নাবিক তা জানতে পেরে সেই শ্রমিককে খুন করে হিরেটি চুরি করেন। তার পর বহু হাতবদল হয়ে তা পৌঁছয় ফ্রান্সে। এই মুহূর্তে আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৪৪ কোটি টাকা।

০৯ ১০
অরলভ। দক্ষিণ ভারতের এক বিগ্রহের চোখ হিসেবে রাখা ছিল এই হিরেটি। ১৭৪৭ সালে বিগ্রহের চোখটি চুরি করেছিলেন এক ফরাসি সেনা। বহু হাতবদলের পর তা পৌঁছয় আমস্টারডামে। এই মুহূর্তে হিরেটি আছে রুশ রাজধানী মস্কোর ক্রেমলিন জাদুঘরে।

অরলভ। দক্ষিণ ভারতের এক বিগ্রহের চোখ হিসেবে রাখা ছিল এই হিরেটি। ১৭৪৭ সালে বিগ্রহের চোখটি চুরি করেছিলেন এক ফরাসি সেনা। বহু হাতবদলের পর তা পৌঁছয় আমস্টারডামে। এই মুহূর্তে হিরেটি আছে রুশ রাজধানী মস্কোর ক্রেমলিন জাদুঘরে।

১০ ১০
কোহিনুর। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত হিরে। অনেকে আবার কুখ্যাত বলেন। কারণ এই হিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মন্দভাগ্য। ইতিহাস বলছে, যার কাছেই এই হিরে গিয়েছে, তাঁর জীবনেই নেমে এসেছে অভিশাপ। বাবর, নাদির শাহ, রণজিৎ সিংহ হয়ে এখন এই হিরে আছে ইংল্যান্ডে। ১০৬ ক্যারাটের এই হিরে এখন শোভা পায় ইংল্যান্ডের রানির মুকুটে।

কোহিনুর। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত হিরে। অনেকে আবার কুখ্যাত বলেন। কারণ এই হিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মন্দভাগ্য। ইতিহাস বলছে, যার কাছেই এই হিরে গিয়েছে, তাঁর জীবনেই নেমে এসেছে অভিশাপ। বাবর, নাদির শাহ, রণজিৎ সিংহ হয়ে এখন এই হিরে আছে ইংল্যান্ডে। ১০৬ ক্যারাটের এই হিরে এখন শোভা পায় ইংল্যান্ডের রানির মুকুটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE