Wonders of nature: Living root bridges in India dgtl
Living root bridge
গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি জীবন্ত সেতু আছে এ দেশেই! জানেন তো?
গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি জীবন্ত সেতু আছে এ দেশেই! জানেন তো?
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ১৩:৫৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
একটা সেতু। শুধুমাত্র জীবন্ত গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি। অনায়াসে মানুষ ওই সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারে। রাবার গাছের শেকড় জড়াজড়ি করে পাহাড়ি নদীর উপরে তৈরি হয়েছে এই সেতু।
০২১১
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের মাওলিনং গ্রাম। সেখানে থাইলং নদীর উপরে রয়েছে এমনই এক লিভিং রুট ব্রিজ বা জীবন্ত শিকড় সেতু।
০৩১১
খাসি উপজাতির মানুষরা লক্ষ্য করেছিলেন, ফাইকাস ইলাস্টিকা নামে বিশেষ প্রজাতির রাবার গাছের প্রধান শিকড়গুলি মাটির নীচে থাকলেও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিকড়ের শাখা-প্রশাখাগুলি আড়াআড়ি ভাবে মাটির উপরে বেড়ে ওঠে।
০৪১১
সুপারি গাছের কাণ্ডকে সেতুর কাজে ব্যবহার করেছিলেন গ্রামবাসীরা। কাণ্ডগুলিকে ফাঁপা করে তার মধ্যে ঢোকানো হয় রাবার গাছের শিকড়। ফাঁপা সুপারি কাণ্ডকে অবলম্বন করে শিকড়গুলি বাড়তে থাকে।
০৫১১
নদীর এক প্রান্ত থেকে এগিয়ে শিকড় নদীর অপর পাড়ে পৌঁছয় নিজে থেকেই। ফাঁপা কাণ্ডকে ছাপিয়ে মাটি স্পর্শ করে বাড়তে থাকে। মাটিতে শিকড় গেঁথে গেলে ফাঁপা সুপারি কাণ্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
০৬১১
একাধিক শিকড় নদীর পাড়ে গেঁথে তৈরি হয় প্রাকৃতিক সেতু। শিকড়ের নতুন শাখা-প্রশাখা দখল করে পুরনো ক্ষয়ে যাওয়া শিকড়ের অংশ। ফলে সেতু হয় আরও মজবুত। গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে বছর কুড়ি সময় নেয় প্রকৃতি। যাতায়াতের সুবিধার জন্য পাথর ও বোল্ডার ফেলে তা শক্তপোক্ত করে নেন গ্রামবাসীরাই।
০৭১১
এক সঙ্গে ৬০ জন মানুষের ভার বহনে সক্ষম এই সেতু। এই সেতু একবার তৈরি হয়ে গেলে কয়েকশো বছরেও নষ্ট হয় না। বন্যার জলেও নষ্ট হয় না এই সেতু। এই সেতুগুলিকে ঘিরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে মেঘালয়ের বিভিন্ন গ্রামগুলিতে।
০৮১১
কবে প্রথম এই সেতু বানানো হয়েছিল, তা সঠিক ভাবে জানা যায় না। তবে ১৮৪৪ সাল নাগাদ হেনরি ইউল নামে স্কটল্যান্ডের একজন চিন্তাবিদের লেখায় এই সেতুর প্রথম উল্লেখ মেলে এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে।
০৯১১
শিলংয়ের জয়ন্তিয়া ও খাসি পাহাড়ে জীবন্ত শিকড় দিয়ে সেতু বানানোর এই আশ্চর্য রীতি প্রচলিত। মাওলিনংয়ের সেতুটি বিখ্যাত হলেও মেঘালয়ের শোংপেডেং, নোংবারে, খোংলা, পাডু, কুডেং রিম, মিনটেং, নোংরিয়াত, নোংথিম্মাই, লাইতকেনসিউ, পাইনুরসলা গ্রাম-সহ আরও কয়েকটি গ্রামে রয়েছে এই ‘সিঙ্গল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ’।
১০১১
তবে শুধু সিঙ্গল ডেকার নয়, চেরাপুঞ্জিতেও রয়েছে বিস্ময়কর ‘লিভিং রুট’ সেতু। এবং এটি ডবল ডেকার। জৈবপ্রযুক্তির এই সেতুটিও বহু প্রাচীন।
১১১১
চেরাপুঞ্জির ত্যারণা গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে সিঁড়িপথে হেঁটে ২,৪০০ ফুট নীচে নেমে পৌঁছতে হবে উমশিয়াং নদীর ওপর তৈরি এই বিস্ময়কর ‘ডবল ডেকার’ সেতুতে। রাবার গাছের শিকড় পেঁচিয়ে এই সেতুটিরও সৃষ্টি।