শেষ মুহূর্তের সাজগোজ: মার্কিন গাড়ি শিল্প আর ডেট্রয়েট বরাবরই প্রায় সমার্থক। এক সঙ্গে তিন প্রধান গাড়ি সংস্থার বেহাল দশার সময় আক্ষরিক অর্থেই শ্মশানের চেহারা নিয়েছিল ওই শিল্পাঞ্চল। নিত্যনতুন গাড়ি তৈরি নিয়ে যে জায়গা এক সময় গমগমে ছিল, সেখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নতুন কাজের সুযোগ। মাইলের পরে মাইল পড়ে থাকত কর্মীদের ছেড়ে যাওয়া ফাঁকা বাড়ি। জেগে থাকত অনুসারী শিল্পের ভূতুড়ে সব কারখানা। সেই ডেট্রয়েটে, যা এক সময় ছিল মার্কিন গাড়ি শিল্পের গর্ব। এখন গাড়ি শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় প্রাণের ছোঁয়া ফিরছে সেখানেও। আকাশের দিকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি বিল্ডিংয়ে কিছুটা হলেও ফিরতে শুরু করেছে পরিচিত কর্মব্যস্ততা।
২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা যখন হোয়াইট হাউসে প্রথম পা রাখছেন, ডেট্রয়েট-মিশিগান তখন প্রায় ‘শ্মশান’। জেনারেল মোটরস (জিএম) আর ক্রাইসলার ধুঁকছে। হাল সুবিধার নয় ফোর্ডেরও। এক সময় মূলত যে তিন সংস্থার জন্য ডেট্রয়েটকে সকলে চিনত বিশ্বের গাড়ি শিল্পের রাজধানী হিসেবে। মাঝে সাত বছর পেরিয়ে ফের নিজেদের হারানো গৌরব ফেরানোর লক্ষ্যে সাজছে ডেট্রয়েট। ১১ থেকে ২৪ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনী হবে সেখানে। সারা বিশ্বের গাড়িপ্রেমীদের নজর এখন ওই শহরের দিকে।
এমনিতে ওই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছরই। অংশ নেয় দুনিয়ার সেরা গাড়ি ব্র্যান্ডগুলি। ফেরারি থেকে ল্যাম্বরঘিনি, মার্সিডিজ থেকে রোলস রয়েস— বাদ যায় না কেউই। কিন্তু এ বার আগামী ২০ জানুয়ারি ওই প্রদর্শনীতে না কি পা রাখবেন খোদ ওবামা। মন্দার প্রকোপ থেকে গা ঝাড়া দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জিএম, ফিয়াট-ক্রাইসলার, ফোর্ডও। হালে আমেরিকার বাজারে রেকর্ড বিক্রির পরিসংখ্যান পেশ করেছে তারা। ফলে সব মিলিয়ে ডেট্রয়েট এ বার জমজমাট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy