World's first floating city is set to appear in the Pacific Ocean dgtl
মহাসাগরের মধ্যে আস্ত শহর, থাকতে চান?
ভাসতে ভাসতে থাকা, আবার ডুবতে ডুবতে ভাসা। চারিদিকে গভীর-নীল জল। যতদূর চোখ যায় স্থলের কোনও চিহ্ন মাত্র নেই। আর তার মধ্যেই দিব্যি ভেসে আস্ত একটা শহর। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার কী নেই সেখানে?
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত নীল জলের মধ্যেই তৈরি হবে ভাসমান এই শহর।
০২১২
ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে ১১৮টি দ্বীপ নিয়ে রয়েছে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া সরকার <br> ও সান ফ্রান্সিসকো’র সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই শহর।
০৩১২
নীল নকসা প্রস্তুত। দু’বছরের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে শহর তৈরির কাজও। মনে করা হচ্ছে, <br> ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে ভাসমান এই শহর তৈরিতে।
০৪১২
সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তিবিদ পিটার থেল এই শহরের নকসা করেছেন। শুধুমাত্র নকসা তৈরিতেই সময় লেগেছে পাঁচ বছর!
০৫১২
২০২০ সালের মধ্যেই এই শহর তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে, প্রথম দিকে এই শহরে থাকতে পারবেন ২৫০-৩০০ জন।
০৬১২
পরে অবশ্য বাড়ানো হবে শহরের ধারণ-ক্ষমতা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের <br> মধ্যে প্রায় ৬৮ কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই ‘ফ্লোটিং সিটি’তে।
০৭১২
সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর র্যানডলফ হেনকেন জানান, ‘‘এটা একেবারেই নতুন। <br> এর আগে কখনও এমনটা ভাবা হয়নি। জলের <br> মধ্যে বাসস্থান তৈরির ভাবনা থেকেই এই শহরের পরিকল্পনা।
০৮১২
তবে হেনকেন স্বীকার করেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিষয়টা যতটা সহজ, অর্থনীতির দিক থেকে কিন্তু মোটেই তত সহজ নয়। <br> তাই মাঝ-সমুদ্রেও বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের যোগান যাতে পর্যাপ্ত হয় নজর রাখা হয়েছে সেদিকেও।
০৯১২
ভাসমান এই শহরে থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত আধুনিক সুবিধা। থাকবে হেল্থ কেয়ার ইউনিট, <br> মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ফার্ম হাউস এবং এনার্জি পাওয়ার হাউস।
১০১২
‘ফ্লোটিং সিটি’ প্রজেক্টের মুখপাত্র জো কুইর্ক জানান, শহরটি দেখতে হবে অনেকটা তারামাছের মতো।
১১১২
প্রজেক্টটির ভারপ্রাপ্ত ডাচ ইঞ্জিনিয়র ফার্ম ডেল্টাসিঙ্ক জানাচ্ছে, এতে চতুর্ভূজ এবং পঞ্চভূজ বিশিষ্ট <br> একাধিক গঠন থাকবে। যেগুলির ৫০ মিটার লম্বা এবং ৫০ মিটার উঁচু হবে।
১২১২
জানা গিয়েছে, নতুন এই শহর সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পর তারা ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে নাও থাকতে পারে। <br> এখানে নিজস্ব সরকার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। ছোট ছোট এলাকার <br> দায়িত্বে থাকবে একাধিক প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ইচ্ছা হলে বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দমতো <br> সরকারের এলাকাতে চলেও যেতে পারবেন।