Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘সোনা’র মেয়ে দীপা কর্মকার সম্পর্কে এই কথাগুলি জানতেন?

প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিক্সে যোগদানের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। চোটের জন্য মাঝে দু’বছর ছিলেন লাইম লাইটের বাইরে। চোট সারিয়ে ফিরেই ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জে সোনা জিতে বাজিমাত করেন দীপা কর্মকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫৮
Share: Save:
০১ ০৯
প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিক্সে যোগদানের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। চোটের জন্য মাঝে দু’বছর ছিলেন লাইম লাইটের বাইরে। চোট সারিয়ে ফিরেই ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জে সোনা জিতে বাজিমাত করেন দীপা কর্মকার। ভারতীয় জিমন্যাস্টের সেরা মুখ দীপার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন গ্যালারির পাতায়।

প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিক্সে যোগদানের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। চোটের জন্য মাঝে দু’বছর ছিলেন লাইম লাইটের বাইরে। চোট সারিয়ে ফিরেই ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জে সোনা জিতে বাজিমাত করেন দীপা কর্মকার। ভারতীয় জিমন্যাস্টের সেরা মুখ দীপার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন গ্যালারির পাতায়।

০২ ০৯
১৯৯৩ সালের ৯ অগস্ট আগরতলার অভয়নগরে জন্ম দীপার। বাবা দুলাল কর্মকার নিজেও একজন অ্যাথলিট। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে ভারোত্তলক বিভাগের প্রশিক্ষক তিনি।

১৯৯৩ সালের ৯ অগস্ট আগরতলার অভয়নগরে জন্ম দীপার। বাবা দুলাল কর্মকার নিজেও একজন অ্যাথলিট। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে ভারোত্তলক বিভাগের প্রশিক্ষক তিনি।

০৩ ০৯
জিমন্যাস্টিক্সে হাতেখড়ি মাত্র ছ’বছর বয়সে। ফ্ল্যাট-ফিটের কারণে প্রশিক্ষণেও নানা অসুবিধার মুখোমুখি হতে হত দীপাকে। তাঁর উচ্চতাও ছিল অনেক কম। তবুও আত্মবিশ্বাস হারাননি ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের এই সোনার মেয়ে।

জিমন্যাস্টিক্সে হাতেখড়ি মাত্র ছ’বছর বয়সে। ফ্ল্যাট-ফিটের কারণে প্রশিক্ষণেও নানা অসুবিধার মুখোমুখি হতে হত দীপাকে। তাঁর উচ্চতাও ছিল অনেক কম। তবুও আত্মবিশ্বাস হারাননি ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের এই সোনার মেয়ে।

০৪ ০৯
১৪ বছর বয়সে জলপাইগুড়িতে আয়োজিত ‘জুনিয়র ন্যাশনাল’ জিমনাস্টিক্স প্রতিযোগিতায় মেডেল জেতেন দীপা। ২০০৭ সালের মধ্যে রাজ্য, দেশ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ৭৭টি পদক জিতে নেন তিনি। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় জিমন্যাস্ট দলের সদস্য ছিলেন দীপা।

১৪ বছর বয়সে জলপাইগুড়িতে আয়োজিত ‘জুনিয়র ন্যাশনাল’ জিমনাস্টিক্স প্রতিযোগিতায় মেডেল জেতেন দীপা। ২০০৭ সালের মধ্যে রাজ্য, দেশ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ৭৭টি পদক জিতে নেন তিনি। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় জিমন্যাস্ট দলের সদস্য ছিলেন দীপা।

০৫ ০৯
স্পটলাইটে আসতে সময় লাগে আরও সাত বছর। ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে ব্রোঞ্জ পদক পান দীপা। রিয়ো অলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

স্পটলাইটে আসতে সময় লাগে আরও সাত বছর। ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে ব্রোঞ্জ পদক পান দীপা। রিয়ো অলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

০৬ ০৯
২০১৫ সালে জিতে নেন অর্জুন পুরস্কার। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে দীপাই অংশগ্রহণ করেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। কোচ হিসেবে বরাবরই দীপার পাশে থেকেছেন বিশ্বেশ্বর নন্দী। যোগ্য ছাত্রীর উন্নতির জন্য দক্ষতার সঙ্গেই রোডম্যাপ তৈরি করেছেন দ্রোণাচার্য কোচ।

২০১৫ সালে জিতে নেন অর্জুন পুরস্কার। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে দীপাই অংশগ্রহণ করেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। কোচ হিসেবে বরাবরই দীপার পাশে থেকেছেন বিশ্বেশ্বর নন্দী। যোগ্য ছাত্রীর উন্নতির জন্য দক্ষতার সঙ্গেই রোডম্যাপ তৈরি করেছেন দ্রোণাচার্য কোচ।

০৭ ০৯
গ্লাসগোতে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বিচারে ২০১৫ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস জিমন্যাস্ট’-এর সম্মান পেয়েছিলেন দীপা। যা তাঁর আগে আর কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট পাননি।

গ্লাসগোতে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বিচারে ২০১৫ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস জিমন্যাস্ট’-এর সম্মান পেয়েছিলেন দীপা। যা তাঁর আগে আর কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট পাননি।

০৮ ০৯
সাফল্যের সিঁড়িতে দিয়ে ওঠার সময়েই ডান পায়ে অস্ত্রোপচার কাবু করে ফেলে সোনার মেয়েকে। দীর্ঘ দু’বছর কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি দীপা। তবে, পাশে থেকে আশা জুগিয়েছেন কোচ বিশ্বেশ্বর।

সাফল্যের সিঁড়িতে দিয়ে ওঠার সময়েই ডান পায়ে অস্ত্রোপচার কাবু করে ফেলে সোনার মেয়েকে। দীর্ঘ দু’বছর কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি দীপা। তবে, পাশে থেকে আশা জুগিয়েছেন কোচ বিশ্বেশ্বর।

০৯ ০৯
যাবতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে ফের বিশ্বমঞ্চে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন দীপা। তুরস্কে ‘আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপ’-এ সোনা জিতে প্রমাণ করে দিয়েছেন মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের কাছে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

যাবতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে ফের বিশ্বমঞ্চে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন দীপা। তুরস্কে ‘আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপ’-এ সোনা জিতে প্রমাণ করে দিয়েছেন মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের কাছে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE