ব্যাটসম্যান ধোনির অফ ফর্ম: সর্বোচ্চ ৪৭ অপরাজিত। তবে সেই ম্যাচ নট আউট থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি ফিনিশার ধোনি। গত ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে যে ভাবে রান আউট হয়েছেন, তাতে তাঁর ফিটনেস নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। চেন্নাই যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে, তার কোনওটাতেই ধোনির তেমন ভূমিকা নেই। ১০ ম্যাচ সাকূল্যে রান ১৬৪। স্ট্রাইক রেট ১২৫। তাঁর ব্যাট যেন বাউন্ডারি মারতেই ভুলে গিয়েছে।
নিষ্প্রভ অধিনায়ক ধোনি: বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, অধিনায়কের নাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মানেই দলের ভাল ফল নিশ্চিত। একটা সময় তাঁর নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই কাজে লেগে যেত নির্ভুল ভাবে। এ বারে ছবিটা আলাদা। দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে তাঁর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। যেমন কেদার যাদবকে দলে রাখা বা ইমরান তাহিরের মতো ম্যাচ উইনারকে দলের বাইরে রাখা। এমনকি দলে সবচেয়ে ভাল ফর্মে থাকা স্যাম কারেনকে অনেক পরে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তও প্রবল সমালোচিত হয়েছে।
দলে বয়স্ক ক্রিকেটারের সংখ্যাধিক্য: চেন্নাইয়ের প্রথম পছন্দের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন এবং ফ্যাফ দু’প্লেসির বয়স যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৬। এ ছাড়া রয়েছেন ডোয়েন ব্রাভো (৩৮), অম্বাতী বায়ুডু (৩৫), কেদার যাদব (৩৬), মুরলী বিজয় (৩৬)-রাও খেলছেন। ধোনি নিজেও ৪০ ছুঁইছুঁই। এমনকি চোট পাওয়া ব্রাভোর জায়গায় যাঁর খেলার কথা, সেই ইমরান তাহিরেরও বয়স ৪১ বছর। একসঙ্গে এত বয়স্ক ক্রিকেটারের উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই দলের গতি কমিয়েছে।
ওয়াটসন, ব্রাভোর খারাপ ফর্ম: ওপেনিংয়ে ওয়াটসনের মতো অভিজ্ঞ প্লেয়ার কমিয়ে দিতে পারতেন ধোনির চিন্তা। তা তো হলই না, উলটে তাঁকে নামিয়ে আনতে হল তিনে। তাতেও যে খুব সুবিধা করতে পারছেন তিনি তা বলা যায় না। অন্য দিকে অলরাউন্ডার ব্র্যাভো চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ব্যাট হতে করেছেন ৭ রান (২ ইনিংসে) আর বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট (৬ ম্যাচে)।
রায়না, হরভজনদের না থাকা: শুরুতেই রায়না, হরভজনকে হারানো বড় বিপদে ফেলে দিয়েছে চেন্নাইকে। দুরন্ত কিছু বিদেশি প্লেয়ার দলে নিলেও, স্বদেশি প্লেয়ার বলতে তাদের বড় ভরসা ছিল এই দু’জন। মিডল অর্ডার ভঙ্গুর হয়ে যায় রায়নার অনুপস্থিতিতে। ভারতীয় স্পিনার হিসেবে দলের বাকিরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ নয়। ভাজ্জি না থাকার ফলে সেই বিভাগও হয়ে গিয়েছে দুর্বল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy