মিডল অর্ডারে কারও জায়গা নির্দিষ্ট করেননি কুক। তাবে তাঁর দল আছেন ব্রায়ান লারা। ত্রিনিদাদের রাজপুত্র ১৩১ টেস্টে ১১৯৫৩ রান করেছেন। গড় ৫২.৮৮। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪০০। শতরানের সংখ্যা ৩৪। অর্ধশতরান ৪৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা ছিলেন লারা। সচিনের সঙ্গে তাঁর নামও উচ্চারিত হত বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে।
এবি ডি’ভিলিয়ার্সকে বলা হয় তিনশো ষাট ডিগ্রির ব্যাটসম্যান। যে কোনও বলকে যে কোনও জায়গায় পাঠানোর বিরল ক্ষমতা ছিল তাঁর। উইকেটের সব দিকেই শট মারতে পারেন। ১১৪ টেস্টে ৫০.৬৬ গড়ে ৮৭৬৫ রান করেছেন তিনি। শতরানের সংখ্যা ২২। অর্ধশতরান ৪৬টি। উইকেটকিপিংও করতে পারেন ডি’ভিলিয়ার্স। কুক অবশ্য দলে কুমার সঙ্গাকারাকেও রেখেছেন।
কুক তাঁর দলে উইকেটকিপার হিসেবে কাউকে নির্দিষ্ট করে বেছে নেননি। ডি’ভিলিয়ার্সের পাশাপাশি কুমার সঙ্গাকারাকেও রেখেছেন দলে। বলেছেন, দু’জনের মধ্যে যে কোনও একজন কিপিং করবেন। সঙ্গা অবশ্য ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারেন। ১৩৪ টেস্টে ১২৪০০ রান রয়েছে তাঁর। গড় ৫৭.৪০। শতরান ৩৮, অর্ধশতরান ৫২। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কও ছিলেন।
জাক কালিসকে বলা হয় এই সময়ের সেরা অলরাউন্ডার। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে যাঁকে মেনে নিয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব, সেই গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে তুলনাও চলে তাঁর। ১৬৬ টেস্টে ১৩২৮৯ রান, সঙ্গে ২৯২ উইকেট। অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান তাঁর। ৪৫ শতরানের পাশাপাশি টেস্টে পাঁচ বার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সঙ্গে টেস্টে ২০০ ক্যাচ।
কুকের দলে দুই পেসারের অন্যতম হলেন জেমস অ্যান্ডারসন। দীর্ঘ সময় ধরে দু’জনে এক সঙ্গে খেলেছেন। অ্যান্ডারসনের বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে একাধিক ক্যাচ ধরেছেন কুক। জানেন অ্যান্ডারসনের সুইং কতটা মারাত্মক হতে পারে। ১৪২ টেস্টে ৫৫৯ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার। গড় ২৬.৯০। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২৬বার, ১০ উইকেট নিয়েছেন তিন বার।
কুকের দলে দ্বিতীয় পেসার হলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। টেস্টে ৫৬৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা জোরে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের সেরা পেসার ছিলেন। নিখুঁত নিশানা ছিল শক্তি। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২৯ বার। ১০ উইকেট নিয়েছেন তিন বার। গড় মাত্র ২১.৬৪। কুকের দলে নতুন বলে শুরু করবেন ম্যাকগ্রা-অ্যান্ডারসন। পরে আসবেন কালিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy