কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক গতকাল এক নির্দেশিকা জারি করে দেশের সব লাইব্রেরিকে ‘ই-হাব’এ রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশের তীব্র অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে কয়েকটি পদক্ষেপ নেবেন বলে ভাবনাচিন্তা করছিলেন, এটি তার অন্যতম বলেই শোনা যাচ্ছে। শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের বড় বড় লাইব্রেরি সহ গ্রামাঞ্চলের লক্ষাধিক লাইব্রেরিতে কোনও পাঠকই নেই, অথচ বই কিনতে, কর্মচারীদের মাইনে দিতে মন্ত্রকের নাভিশ্বাস উঠেছে। মন্ত্রকের কাছে লাইব্রেরি রাখা এখন হাতি পোষার সমান। দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা দফতর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছে, এই মুহূর্তে গ্রন্থাগারগুলি ই-হাব’এ পরিণত হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা লাভ হবে। সমীক্ষা দেখাচ্ছে, এখনও বহু বাড়িতেই নেট-সংযোগ না থাকায় বহু ছাত্র ও শিশু ফেসবুকের রসাস্বাদন থেকে বঞ্চিত। অনেক সময়ই তাদের ছুটতে হয় সাইবার কাফেতে, সেখানে নেট সার্ফিংয়ের জন্য বেশ খানিকটা টাকা খরচ হয়ে যায়। অথচ এই ই-হাব’এ বাজারের থেকে অনেক কম খরচে নেট সার্ফ করা যাবে। গ্রামাঞ্চলের নতুন ই-হাবগুলিতে বিশেষ মোবাইল জোনও খোলা হবে। গ্রামের অনেক গরিব মা-বাবা তাদের ছেলেমেয়েদের মোবাইল কিনে দিতে পারেন না বলে এ সব অঞ্চলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থায় তা অনেকটা কমে যাবে বলে মন্ত্রকের দাবি। তবে, শিক্ষা মন্ত্রক গর্ব ভরে দেশবাসীকে জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করতে সরকারের ও আমজনতার একটি পয়সাও খরচ হবে না। কারণ লাইব্রেরিতে যত বই ছিল তা বিদেশিদের বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা রুম হিটার চালানোর বদলে বই পুড়িয়ে ঘর গরম রাখছেন ও বিদ্যুৎ বাঁচাচ্ছেন। তাঁরা এই সব বইয়ের বদলে শিক্ষা মন্ত্রককে বিশাল টাকা দেবেন। তাতেই নতুন ব্যবস্থার সব খরচ উঠে আসবে।