প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
শীতকালে বাঙালির পাতে যেমন বাড়ে শাক সব্জির পরিমাণ তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ে সব্জি খাওয়া নিয়ে শিশুদের বায়না। কিন্তু সহজ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে বাচ্চাদের অজান্তেই খাইয়ে দেওয়া যেতে পারে শাক, গাজর কিংবা কড়াইশুঁটি।
১। সব্জি ডাল বানাতে পারেন। এমনতেই ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। ডালের সঙ্গে বিন, গাজর, কড়াইশুঁটি দিয়ে দিন। দেখবেন স্বাদ আর পুষ্টি দুই-ই বাড়বে পাল্লা দিয়ে।
২। ভাতের সঙ্গে সব্জি খেতে যতই অনীহা থাকুক, চাউমিন কিংবা ফ্রায়েড রাইস পেলে কিন্তু খুশির সীমা থাকে না শিশুদের। কাজেই বাড়িতে যদি রান্না হয় এই ধরনের পদ তবে সহজেই ছোট ছোট করে কেটে মিশিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের সব্জি। বাহারি খাবার এক লহমায় হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর।
৩। ফল খেতেও অনেক সময় অনীহা দেখা যায় শিশুদের। কিন্তু স্মুদি খেতে খুব একটা ঝামেলা করে না কোনও শিশুর। স্মুদি তৈরির সময় ব্লেন্ডারে একসঙ্গে মিশিয়ে দিন বাঁধাকপি,শশা গাজর বা কাঁচা খাওয়া যায় এমন যে কোনও সব্জি। ফলের সব্জির স্বাদও বোঝা যাবে না, আবার খাওয়াও হয়ে যাবে। স্মুদিকেই আইসক্রিমের বাক্সে রেখে বানিয়ে ফেলতে পারেন পপসিক্ল। কাঠি আইসক্রিমের মতো মহা আনন্দে খেয়ে নেবে ছোটরা।
৪। সব্জি খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে অন্যতম স্যালাদ হিসেবে খাওয়া। বিট, গাজর, শশা, টমেটো, বাঁধাকপি কিংবা পালংশাক দই, মধু অথবা গোলমরিচের গুণে হয়ে উঠতে পারে লোভনীয়।
৫। সব্জিকে সুস্বাদু করার লড়াইয়ে মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে রোস্টিং। আলু, গাজর, ব্রকলি, ফুলকপি; রোস্ট করলে হয়ে উঠবে আরও মুখরোচক। মোট কথা সন্তানদের সব্জি খাওয়ানোয় উদ্ভাবনী ক্ষমতাই করতে পারে বাজিমাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy