(বাঁ দিক থেকে) সোমক রায়চৌধুরী, দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, নন্দিতা শ্রীবাস্তব, সৌরভ পাল ও দুর্গেশ ত্রিপাঠি
করোনার চেহারা যেমন হতে পারে বা যেমন হওয়া উচিত বলে দিব্যেন্দুদের মডেল পূর্বাভাস দিয়েছিল, গত ২১ অগস্টের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় দেখা গিয়েছিল, করোনার চেহারা প্রায় একই রকম। গবেষকরা যেমন বলেছেন, করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রগুলি ঠিক সেই রকমই হয়। চেহারায়, চরিত্রে।
এই মডেল ব্রহ্মাণ্ডকে আরও ভাল ভাবে বুঝতে সাহায্য করবে: সোমক রায়চৌধুরী
পুণের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (‘আয়ুকা’)-র অধিকর্তা, দেশের বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী সোমক রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের চেহারা বোঝাটা খুব কঠিন। এখানেই দিব্যেন্দুদের কৃতিত্ব। ওঁদের কাজ সূর্যের মতো অন্য নক্ষত্রদের চৌম্বক ক্ষেত্রগুলিকে বুঝতে আমাদের পথ দেখাতে পারে। ব্রহ্মাণ্ডকে বুঝতে আমাদের আরও বেশি সাহায্য করতে পারে।’’
খুব শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের দরকার হবে না: নন্দিতা শ্রীবাস্তব ও দুর্গেশ ত্রিপাঠি
অমদাবাদের ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ (পিআরএল)-র অধীনে থাকা উদয়পুর সোলার অবজারভেটরি (ইউএসও)-র প্রধান নন্দিতা শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘‘দিব্যেন্দুদের মডেলটি সত্যিই অভিনব। কারণ, খুব শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার ব্যবহার না করেও, এ বার এক মাস আগে করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রের চেহারার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।’’
পুণের ‘আয়ুকা’র অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দুর্গেশ ত্রিপাঠির বক্তব্য, সূর্যগ্রহণের পূর্বাভাস দেওয়া শুধু জটিলই নয়, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে। এই গবেষণা সেই কাজটাকে অনেকটাই সহজ করে দিল।
এই গবেষণার স্পনসর কারা?
‘আইসার’ কলকাতার অধিকর্তা সৌরভ পাল বলছেন, ‘‘অর্থ বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, ইউজিসি-সিএসআইআর এবং ইন্দো-ফ্রেঞ্চ সেন্টার ফর প্রোমোশন অফ অ্যাডভান্সড রিসার্চ।’’
নতুন পদ্ধতিতে কোন কোন জরুরি তথ্য অনেক আগেভাগে জানা যাবে?
দিব্যেন্দু বলছেন, ‘‘মূলত, তিনটি জিনিস জানা যাবে। এক, সূর্যের করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রগুলি কী ধরনের। দুই, সেগুলি কতটা শক্তিশালী বা সেগুলি আমাদের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তিন, কতটা জোরে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে সৌরবায়ু, সৌরকণারা।’’