Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Climate Change

Climate Change: বাড়ছে বিষের বোঝা, দুধেভাতে থাকবে না বলে আর সন্তান চান না তরুণ প্রজন্মের প্রায় অর্ধেকই

সমীক্ষার ভিত্তিতে লেখা গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেল্থ’-এ।

আমেরিকাৃ-সহ বিভিন্ন দেশেই শুরু হয়েছে এমন বিক্ষোভ। -ফাইল ছবি।

আমেরিকাৃ-সহ বিভিন্ন দেশেই শুরু হয়েছে এমন বিক্ষোভ। -ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৪৯
Share: Save:

না, সন্তানকে আর দুধে-ভাতে রাখা যাবে না। কারণ, যে হারে ‘বিষাইছে বায়ু’, তাতে আগামী প্রজন্মের ‘আলো’ নিভেই যাবে। এই বিপদ জেনে-বুঝে আর কী ভাবেই বা পৃথিবীর আলো দেখানো যায় সন্তানকে?

তাই বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জনই আর চাইছেন না সন্তানের জন্ম দিতে। আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন না বংশগতির ধারা। সামনের দিকে। রেখে যেতে চাইছেন না নিজেদের উত্তরাধিকার। কারণ সেই অধিকার সামলানোর মতো পরিস্থিতি আগামী ও তার পরের প্রজন্মের শিশুদের আর থাকবে বলে বিশ্বাস করছেন না এখনকার তরুণ প্রজন্মের ৪০ শতাংশই। যাঁদের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

জলবায়ু পরিবর্তনে তরুণদের উদ্বেগ: বৃহত্তম গবেষণা

ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ব্রিটেন-সহ ১০টি দেশের তরুণ প্রজন্মের (১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সি) উপর চালানো সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা এই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে।

সমীক্ষার ভিত্তিতে লেখা গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেল্থ’-এ। মঙ্গলবার সেটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘ইয়ং পিপল্‌স ভয়েসেস অন ক্লাইমেট অ্যাংজাইটি, গভর্নমেন্ট বিট্রেয়াল অ্যান্ড মর‌্যাল ইনজুরি: আ গ্লোবাল ফেনোমেনন’।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তরুণ প্রজন্মের উদ্বেগ নিয়ে এত বড় মাপের সমীক্ষাভিত্তিক গবেষণা এর আগে হয়নি। গবেষণাটি চালিয়েছে অক্সফোর্ড হেল্থ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-সহ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। যৌথ ভাবে।

দেশগুলির গাফিলতিতেই জলবায়ু পরিবর্তন

গবেষকরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের রথের রশির লাগাম বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলি আর এক-দু’দশকের মধ্যে টেনে ধরতে পারবে, এমন বিশ্বাসও আর করে না আধুনিক তরুণ প্রজন্ম। বরং তাঁরা মনে করছেন, রাষ্ট্রগুলির গাফিলতি, উদাসীনতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজের ফলেই উষ্ণায়ন বেড়ে চলেছে, বাড়বে আগামী দশকগুলিতেও। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানো সম্ভব হবে না। বিপন্ন হয়ে পড়বে আগামী ও তার পরের প্রজন্মগুলির শিশুদের ভবিষ্যত। তাঁরা আগের প্রজন্মকেও এর জন্য দায়ী করতে দ্বিধা বোধ করেননি।

দাবানল। ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের অশনিসঙ্কেত। -ফাইল ছবি।

দাবানল। ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের অশনিসঙ্কেত। -ফাইল ছবি।

গবেষণা কী কী জানিয়েছে?

এ বার গবেষণাপত্রের নির্যাসটুকু তুলে ধরা যাক।

এক, খুব দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর ভবিষ্যত যে ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ, এ কথা মেনে নিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের তিন-চতুর্থাংশ।

দুই, তরুণ প্রজন্মের অর্ধেকেরও বেশি মনে করছেন, আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁদের হাতে সুযোগ তাঁদের আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক কম রয়েছে।

তিন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে রোজকার কাজকর্ম, জীবিকা, জীবন ও সম্পত্তির যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, হয়ে চলেছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তরুণ প্রজন্মের প্রায় অর্ধেক অংশই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE