পৃথিবী থেকে মাত্র ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা ভিনগ্রহটি আকারে এই সৌরমণ্ডলের গ্রহ নেপচুনের চেয়েও বড়। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
জল আছে বোঝা গেল। তা সে তরল অবস্থায় থাকুক বা না থাকুক, আছে জলীয় বাস্প হয়ে। এই ভিনগ্রহে। আছে কি প্রাণও?
সৌরমণ্ডলের বাইরে এমন একটি ভিনগ্রহের হদিশ মিলল যার বায়ুমণ্ডলে রয়েছে জলীয় বাস্প। ফুটন্ত জলের কেটলি থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়ার মতো সেই জলীয় বাস্প ছড়িয়ে পড়ছে মহাকাশে।
পৃথিবী থেকে মাত্র ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা ভিনগ্রহটি আকারে এই সৌরমণ্ডলের গ্রহ নেপচুনের চেয়েও বড়। তার নাম— ‘টিওআই ৬৭৪বি’। গত বছর এটির আবিষ্কার হয়েছিল। এ বার তার বায়ুমণ্ডলে হদিশ মিলল জলীয় বাস্পের। যা ধরা পড়ল নাসা-র ‘ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস)’-এ। গত বছর টেস-এর নজরেই প্রথম ধরা দেয় এই ভিনগ্রহটি।
সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রটি পিয়ার রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ। তার আগে গবেষণাপত্রটিকে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে এ সপ্তাহে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই সৌরমণ্ডলের গ্রহ নেপচুনের আকারের এই ভিনগ্রহটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে সেটির ভর সূর্যের ভরের অর্ধেক। ভিনগ্রহটি তার নক্ষত্রের এতটাই কাছে রয়েছে যে মাত্র সাড়ে ৪৭ ঘণ্টায় প্রদক্ষিণ করছে সেই নক্ষত্রটিকে।
নক্ষত্রের এত কাছে থেকেও সেই ভিনগ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলের কণা পাওয়া গেল কী ভাবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল এখনও মেটেনি। তাঁদের ধারণা, ভিনগ্রহের নক্ষত্রটি আদতে লাল বামন নক্ষত্র (‘রেড ডোয়ার্ফ স্টার’)। তার বিকিরণের তেজ কম বলেই হয়তো ভিনগ্রহের বায়ুমণ্ডলে এখনও পাওয়া গিয়েছে জলের কণা।
কৌতূহলের অবসান ঘটাতে ইতিমধ্যেই ভিনগ্রহটির দিকে নজর রাখতে শুরু করেছে নাসা- হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপ। নাসা-র সদ্য মহাকাশে পাঠানো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়েও এই ভিনগ্রহটির উপর নজর রাখা হবে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy