কুকুরের কামড়ে জখম হলেন ২১ জন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কেশিয়াড়ির আনার গ্রাম, তল কেশিয়াড়ি, হাসপাতাল রোড ও মুড়াকাটা এলাকায় এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার রাতে ১৬ জন ও মঙ্গলবার সকালে আরও ৫জন জখমকে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকেই কেশিয়াড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি কুকুর কয়েকজনকে কামড় দেয়। ঘটনায় জখম হন পরেশচন্দ্র বেরা, স্বপ্নময় শিট, রাজেশ দাসেরা।
মঙ্গলবার সকালে নতুন করে দেবব্রত রক্ষিত, তারকনাথ পাতররা কুকুরের কামড়ে জখম হলে আতঙ্ক ছড়ায় কেশিয়াড়ি ব্লক জুড়ে। সোমবার কেশিয়াড়ি বাজারের কাছে কুকুরের কামড়ে জখম সুহৃদরঞ্জন পাত্র বলেন, “আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। লাল রঙের একটা কুকুর আমার পায়ের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বুঝে ওঠার আগেই পায়ে কামড় দিল। পরে শুনলাম ওই কুকুরটা সবাইকে কামড়েছে।” এ দিন সকালে স্থানীয় যুবকেরা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই কুকুরটি অন্য কুকুরকেও কামড়েছে বলে সন্দেহ স্থানীয়দের। ফলে সেই সমস্ত কুকুর কামড়ালে রোগ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ছড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউত বলেন, “কুকুরটিকে মারা হয়েছে। এলাকার যুবকদের সতর্ক থাকতে বলেছি। প্রয়োজনে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” এ দিন জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা জনস্বাস্থ্যের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “কুকুরের কামড়ে জখম প্রত্যেকেই প্রতিষেধক পেয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তিকে রাস্তার কুকুর কামড় দেয় তবে অবশ্যই প্রতিষেধক নিতে হবে। অন্ধবিশ্বাসের আশ্রয় না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।”