Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেলদায় শ্যামেলিয়ন কিনতে এসে ধৃত ওড়িশার পাচারকারী

লক্ষাধিক টাকায় শ্যামেলিয়ন পাচারের সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলদা থানা এলাকার মীরাচকে বন দফতরের স্পেশাল মনিটরিং টিম ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি শ্যামেলিয়ন ও ওড়িশার নম্বরের চারটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃত জনার্দন বারিক ও সঞ্জয় বেহেরার বাড়ি ওড়িশায়। তাঁদের সঙ্গে এরাজ্যে আসা আরও দু’জন অভিযুক্ত পলাতক। বন দফতরের দাবি, মীরাচকের যে বাড়িতে শ্যামেলিয়ন হাত বদল হচ্ছিল, সেই বাড়ির মালিক সঞ্জয় পাত্রেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বেলদা থানায় ধৃত পাচারকারী।

বেলদা থানায় ধৃত পাচারকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০২:০৬
Share: Save:

লক্ষাধিক টাকায় শ্যামেলিয়ন পাচারের সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলদা থানা এলাকার মীরাচকে বন দফতরের স্পেশাল মনিটরিং টিম ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি শ্যামেলিয়ন ও ওড়িশার নম্বরের চারটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃত জনার্দন বারিক ও সঞ্জয় বেহেরার বাড়ি ওড়িশায়। তাঁদের সঙ্গে এরাজ্যে আসা আরও দু’জন অভিযুক্ত পলাতক। বন দফতরের দাবি, মীরাচকের যে বাড়িতে শ্যামেলিয়ন হাত বদল হচ্ছিল, সেই বাড়ির মালিক সঞ্জয় পাত্রেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই খড়্গপুরের কেশিয়াড়ি ও হিজলি রেঞ্জের বেশ কিছু জায়গা থেকে শ্যামেলিয়ন উদ্ধার হচ্ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাস্তায় পড়ে থাকা এই বিরল প্রজাতির সরীসৃপগুলিকে স্থানীয় বাসিন্দারাই বন দফতর ও পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। গত ৭ জুলাই কেশিয়াড়ির দক্ষিণডিহা থেকে একটি শ্যামেলিয়ন উদ্ধার হয়। পরদিন ৮ জুলাই দাঁতনের এক শিক্ষক-সহ দুই গ্রামবাসী দু’টি শ্যামেলিয়ন বন দফতরের হাতে তুলে দেন। কেননা, শ্যামেলিয়নের দ্রুত রং বদলের ক্ষমতা থাকায় বিদেশে এই সরীসৃপ প্রাণীর চাহিদা রয়েছে। শ্যামেলিয়ন পাচার চক্রের হদিশ পেতে ডিএফও মনিটরিং টিম গঠন করেন।


বাজেয়াপ্ত শ্যামেলিয়ন।

বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে জানা যায়, এ দিন ওড়িশা থেকে কয়েকজন ব্যাক্তি শ্যামেলিয়ন কেনাবেচার জন্য মীরাচকে সঞ্জয় পাত্রের বাড়িতে আসছেন। সেইমতো বেলদা থাকার ওসি সুধাংশুশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, বন দফতরের মনিটরিং টিমের সদস্য রেঞ্জার অনিন্দ্য গুহঠাকুরতা ও কেশিয়াড়ির বিট অফিসার অমিতেশ শতপথী বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন। ওই চার জন সঞ্জয় পাত্রের বাড়িতে ঢুকলেই হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তবে ওড়িশা থেকে আসা আরও দু’জন পাচারকারী ও ওই বাড়ির মালিক পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি শ্যামেলিয়ন ও ওড়িশার নম্বরের চারটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “পাচারকারীরা মনিটারিং টিমের হাতে ধরা পড়ে যান। আমাদের ধারণা, এর পিছনে বড় চক্র সক্রিয় রয়েছে। তদন্ত চলবে।”

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chameleon belda orissa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE