শেফ সঞ্জয় সাহা।
মে মাসে একদিন হঠাৎ খবর এল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ডাল এয়ারপোর্টে আসছেন। তাঁর খাবার যাবে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ক্ষুদিরাম সরণির পিয়ারলেস ইন হোটেল থেকে। গুজরাটি খানা থেপলা, উন্ধীউ তো ছিলই। বাঙালি মেনু রান্নার ভার পড়ল আমার উপর। নিরামিশ রান্না চাই। নিজের হাতে রাঁধলাম ধোঁকার ডালনা, মিক্সড ভেজ কোপ্তা। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী নাকি তৃপ্তি করে খেয়েছিলেন বাঙালি মেনু।
আমি দুর্গাপুরের ছেলে। একজন সাধারণ স্নাতক। হোটেল ম্যানেজমেন্ট বা এই ধরনের প্রথাগত কোনও ডিগ্রি আমার নেই। আমি আঁকতে ভালবাসি। শোলা শিল্পে পারদর্শী। সেই সূত্রে আমি দিল্লির একটি হোটেলে ‘কিচেন আর্টিস্টে’র কাজ নিয়ে যাই। সেই সময় ওই হোটেলের শেফ সুশীল চুঘ আমায় রান্না করার জন্য বারবার বলতেন। ওঁর কাছেই রান্নায় হাতেখড়ি। এরপর আমি পাড়ি দিই আমেরিকায়। সেখানে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজে দশ বছর শেফের কাজ করি। দেশ থেকে অত দূরে গিয়ে সমুদ্রের মাঝে আমার কাছে একমাত্র বিনোদন বলতে ছিল, ভাল রান্না করে খাওয়ানো। সেখান থেকে যাই ফিনল্যান্ডে। বছর তিনেক পরে ফিরে আসি নিজের দেশে, বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ নিয়ে। কয়েক মাস আগে আমি ফিরে এসেছি নিজের শহরে। তারপর থেকে কাজ করছি এই হোটেলে। সামনেই বড়দিন। আর বড়দিন স্পেশাল মানেই কেক। আমার কেক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে খুব ভাল লাগে। ইতিমধ্যেই কেক বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে যত ভাল কেক, তা বানাতে সময়ও লাগে তত বেশি।
আমার টিপস
বড়দিনের মরসুমে বাড়িতে আমরা সকলেই কেক বানাই। ময়দা-ডিমের কেক বানানোয় একঘেয়েমি চলে এলে একটু অন্য স্বাদের ছোঁওয়া আনুন রাম সহযোগে। যে ড্রাই ফ্রুটসগুলো কেকে দেবেন, সেগুলো দু’তিন দিন আগে রামে ভিজিয়ে রেখে দিন। এবার কেক বানানোর সময় ব্যাটার তৈরি করে রামে ভেজানো ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে দিন তাতে। একেবারে অন্য রকমের স্বাদ-সুগন্ধে মজে উঠবে কেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy