Story of the world's oldest mothers to have given birth dgtl
URL Copied
সমাজ
বেশি বয়সে মা হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এঁরা
নিজস্ব প্রতিবেদন
২২ জুন ২০১৮ ১১:০৪
Advertisement
১ / ১০
কথায় বলে মাতৃত্বেই নারীসত্তার পূর্ণতা। বয়স, শারীরিক জটিলতা সব কিছুই সেখানে তুচ্ছ। সমাজ, সংস্কার, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই মাতৃত্বকে সাদরে বরণ করে নিয়েছিলেন এই নারীরা। সবারই বয়সের সত্তরের কোঠায়। ওই বয়সেই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে গোটা বিশ্বের কাছে নজির গড়েছিলেন যে মহিলারা তাঁদের নাম জেনে নিন এক ঝলকে।
২ / ১০
রাজো দেবী লোহান: আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে ২০০৮ সালে ৬৯ বছর বয়সে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়ে নজির গড়েছিলেন হিসারের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রাজো দেবী লোহান। মেয়ের নাম রাখেন নভিন। ২০১২ সালে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মেয়ের জন্মের পর মরতে বসেছিলাম। কিন্তু নভিনের মুখের দিকে তাকিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।’’
Advertisement
Advertisement
৩ / ১০
দলজিন্দর কৌর: ২০১৬ সালে যখন ছেলের জন্ম দেন দলজিন্দর তখন তাঁর বয়স ৭২, স্বামীর ৭৯। এই ঘটনা গোটা দেশেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। নানা জটিলতার কারণে ৪৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি তিনি। শেষে আইভিএফের দ্বারস্থ হন। হরিয়ানার ন্যাশনাল ফার্টিলিটি সেন্টারে দীর্ঘ দিনের চিকিৎসার পরেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন চিকিৎসকেরা।
৪ / ১০
ওমকারি পানওয়ার: দুই মেয়ে ও পাঁচ নাতি-নাতনির পর ফের ছেলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ৭০ বছরের ওমকারি পানওয়ার। উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা ওমকারি ও তাঁর স্বামী নিজেদের সব সঞ্চয় দিয়ে ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের পর একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম দেন। জন্মের সময় যমজ বাচ্চা দু’টির ওজন ছিল এক কিলোগ্রামেরও কম।
Advertisement
৫ / ১০
আদ্রিনা ইলেস্কু: ২০০৫ সালে আদ্রিনা যখন গর্ভবতী হন তাঁর বয়স ছিল ৬৬ বছর। তাঁর বেশি বয়সে সন্তান ধারণকে সেই সময় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ‘স্বার্থপরতার চূড়ান্ত’ আখ্যা দিয়েছিল। পেশায় রোমানিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদ্রিনা সে সবে ভ্রুক্ষেপ করেননি। প্রায় ন’বছর ধরে আইভিএফের চিকিৎসার পর সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
৬ / ১০
মারিয়া দেল কারমেন বুসাদা দে লারা: বয়স তাঁর কাছে ছিল একটা সংখ্যা মাত্র। ৬৬ বছর বয়সে মা হওয়ার জন্য আইভিএফের সাহায্য নিতে স্পেন থেকে পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে। ২০০৬ সালে যমজ সন্তানের মা হন মারিয়া। পড়ে স্বীকার করেছিলেন, চিকিৎসার জন্য নাকি বয়স লুকিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
৭ / ১০
এলিজাবেথ অ্যাডেনি: ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এলিজাবেথ। দীর্ঘ দিন ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টেও কোনও সুফল না পেয়ে শেষে ইউক্রেনে পাড়ি দেন পেশায় ব্যবসায়ী এলিজাবেথ। বিপুল টাকা খরচ করে ২০০৯ সালে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
৮ / ১০
অ্যানেগ্রেট রউনিগ: ২০১৫ সালে ৬৫ বছর বয়সে এক সঙ্গে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন অ্যানেগ্রেট। তবে, এই সন্তানই প্রথম নয়। অ্যানেগ্রেটের রয়েছে আরও ১৩ জন ছেলেমেয়ে, যাদের বয়স ১০ থেকে ৪৪-এর মধ্যে। ফের মা হওয়ার পর অ্যানেগ্রেট জানিয়েছিলেন, তিনি বাচ্চা ভালবাসেন। তাই বয়সের তোয়াক্কা করেননি।
৯ / ১০
হ্যারিয়েট স্টোল: নিজের পুত্রবধূ লুসির জন্য মা হওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লন্ডনের হ্যারিয়েট স্টোল। লুসি স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম ছিলেন। সারোগেসির মাধ্যমে লুসি ও ছেলে রসের সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন হ্যারিয়েট। সন্তান জন্মের পর আপ্লুত হ্যারিয়েট বলেছিলেন, ‘‘এমন কত জন আছেন যাঁরা তাঁদের নাতির জন্ম দিতে পারেন। আমি ভাগ্যবতী।’’
১০ / ১০
মেমনুনে তিরয়াকি: তুরস্কে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড রয়েছে মেমনুনের। দীর্ঘ ৩৫ বছরের প্রয়াসের পর সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় আইভিএফের সাহায্য নেন তিরয়াকি দম্পতি। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন মেমনুনে।