আইপিএল সেভেনে আরও একটা উত্তেজক সপ্তাহ শেষ। এর মধ্যে দুটো টিম বাকিদের চেয়ে এগিয়ে চেন্নাই আর পঞ্জাব। টুর্নামেন্ট যত এগোচ্ছে, চেন্নাই তত উন্নতি করছে। আর পঞ্জাব পেশির জোরে এগিয়েই চলেছে। কিন্তু কলকাতা অনেকটা পিছলে পড়ল। নাটকীয় পরিস্থিতিতে রাজস্থানের কাছে ওদের হারটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু শুক্রবার চেন্নাইয়ের কাছে যে বিরাট ব্যবধানে হেরে গেল নাইটরা, তাতে ওদের পরিস্থিতিটা বেশ কঠিন হয়ে গেল। বাকি আটটা ম্যাচের ছ’টা ওদের জিততেই হবে।
গৌতম গম্ভীরকে কিছু একটা করে দেখানোর রাস্তা বের করতেই হবে। এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ওর সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। সফল হওয়ার মরিয়া চেষ্টায় ও যে ভাবে রান আউটটা হল, তার চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। মাঠে গম্ভীরের শরীরী ভাষা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, ও প্রচণ্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এখন গম্ভীরের নিজেকে নিজেই জিজ্ঞেস করতে হবে, এর পর ওর কী করা উচিত? দেখুন, আমি বহু দিন ধরে গম্ভীরের শুভানুধ্যায়ী। তাই ওকে পরামর্শ দেব, সবার আগে হাসতে শুরু করো। ক্রিকেটকে উপভোগ করা শুরু করো।
নেতৃত্ব দেওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। হারতে শুরু করলে সেটা আরও কঠিন হয়ে যায়। গম্ভীরকে এখন কী করতে হবে জানেন? চুপচাপ টিমের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। সুইমিং পুলের পাশে একটা নিরিবিলি জায়গা বেছে নিয়ে, হাতে একটা ঠান্ডা সফ্ট ড্রিঙ্ক নিয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওর প্রতিভা তো কোথাও উড়ে যেতে পারে না। তবে হ্যাঁ, মাথায় খুব বেশি চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করে যখন, তখন হাজার চেষ্টা করলেও খেলার উপর ফোকাস রাখা যায় না। গম্ভীর নিজেকে নিজে বলুক যে পরের আটটা ম্যাচে “আমি কেকেআরের ক্যাপ্টেন হতে পারি, কিন্তু তার চেয়ে বড় ব্যাপারটা শুধু আমার আর বলের মধ্যে।”
ক্রিকেট খুব মজার খেলা। অনেক টিম কোনও মিটিং বা স্ট্র্যাটেজি ছাড়াই জিতেছে। কী ভাবে? প্লেয়ারদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়ে। নিজস্ব চিন্তার স্বাধীনতা দিয়ে। গৌতম রান পেলে ওর টিমেরই লাভ হবে। ওকে মনে রাখতে হবে যে, ক্রিকেট দলগত খেলা হতে পারে। কিন্তু এখানে হার-জিত ঠিক করে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই।
টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সে ভাবে কিছু করতে পারেনি। তরুণ তিন জন ভারতীয় ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, শিখর ধবন আর বিরাট কোহলি কেউ ধারাবাহিক ভাবে সফল নয়। প্রচুর প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও শেষ তিনটে ম্যাচে ভাল খেলতে পারেনি বেঙ্গালুরু। নিজেদের শক্তিশালী ব্যাটিং কী ভাবে আরও ভাল করা যায়, সেটা নিয়ে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে ওদের। বিরাটই ওদের ব্যাটিং সাফল্যের চাবিকাঠি। ডক্টর মাল্য টিমের অনেক ব্যাপারেই জড়িত থাকেন। বিরাটকে ওঁর বলা উচিত, তুমি যে গতিতেই রান করো না কেন, পুরো কুড়ি ওভার ব্যাট করতে হবে তোমাকে। বিরাটের উচিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের ইনিংস দেখে বোঝা, কী ভাবে এই ফর্ম্যাটে ইনিংস গড়তে হয়। স্ট্রোক প্লেয়ারে ভর্তি আরসিবি লাইন-আপে আগুন ধরানোর কাজটা ওকেই করতে হবে।
গৌতম গম্ভীর
ম্যাচ: ৬
রান: ৫২
সর্বোচ্চ: ৪৫
গড়: ৮.৬৬
স্ট্রাইক রেট: ৭৬.৪৭
বাউন্ডারি: ৫
ছক্কা: ০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy