Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
এশিয়াডে বাংলার মুখ

দীপার মন্ত্র সম্বল তিন বঙ্গকন্যার

দীপা কর্মকার এ বারের এশিয়াডে ভারতের অন্যতম আকর্ষণ। তাঁর সঙ্গী বাকি চার জিমন্যাস্টের মধ্যে তিন জনই এ বার বাংলার।

 ত্রয়ী: জাকার্তা রওনা হওয়ার আগে দুই প্রণতি ও মন্দিরা। —নিজস্ব চিত্র

 ত্রয়ী: জাকার্তা রওনা হওয়ার আগে দুই প্রণতি ও মন্দিরা। —নিজস্ব চিত্র

রতন চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০৫:০৩
Share: Save:

আর মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা!

তার পরে রবিবার জাকার্তায় পোডিয়াম ট্রেনিং দিয়েই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নেমে পড়বেন তিন বঙ্গকন্যা।

দীপা কর্মকার এ বারের এশিয়াডে ভারতের অন্যতম আকর্ষণ। তাঁর সঙ্গী বাকি চার জিমন্যাস্টের মধ্যে তিন জনই এ বার বাংলার। মেদিনীপুরের প্রণতি নায়েক, জয়নগরের প্রণতি দাশ এবং বরাহনগরের মন্দিরা চৌধুরী। এ বার এশিয়াডের কোনও খেলায় যা নেই।

চার বছর আগে ইনচিওন এশিয়াডে দুই প্রণতি গিয়েছিলেন। মন্দিরার এ বারই প্রথম এশিয়াড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কে কে পেরোতে পারবেন যোগত্যমান, সেটাই ওদের কাছে এখন অগ্নিপরীক্ষা। এবং তা এতটাই তীব্র যে, শুক্রবার ভোররাতে পৌঁছেই বিকেলে ট্রেনিংয়ে নেমে পড়েছেন ওঁরা। যোগ্যতা পাওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে মঙ্গলবার। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে কে নামবেন ভল্টিং-এ, কার ভাগ্যে পড়বে বিম ইভেন্ট।

‘‘দেখুন, আমি তো নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। সে ভাবেই তৈরি হয়েছি। জানি না, শেষ পর্যন্ত কোন অ্যাপারেটাসে নামার সুযোগ পাব। তবে ভল্টিংয়ে সুযোগ পাওয়াই আমার লক্ষ্য,’’ বলছিলেন প্রণতি নায়েক। সামান্য জ্বর নিয়েই গিয়েছেন এশিয়াডে যোগ দিতে। গতবার ইনচিওনে অল রাউন্ডে ২১ নম্বর হয়েছিলেন। এ বার লক্ষ্য আরও উপরে ওঠা। ব্যাঙ্ককে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গত বছর চতুর্থ হয়েছিলেন মিনারা বেগমের এই ছাত্রী। আর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়েছেন। ‘‘চার বছর আগে যখন এশিয়াডে নামি, তখনকার চেয়ে অভিজ্ঞতা বেড়েছে। সে তো কাজে লাগাতেই হবে। দীপা (কর্মকার) দিদি যদি রিও অলিম্পিক্সে গিয়ে শুধু পরিশ্রম করে পদকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, তা হলে আমরাও তো চেষ্টা করতে পারি কিছু করার,’’ বলেন পিংলার বাস চালকের মেয়ে। আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক পদক পাওয়া আমার স্বপ্ন। কিন্তু এশিয়াডে চিন, জাপান, দুই কোরিয়া, উজবেকিস্তান আছে। এখানে কিছু করা কঠিন। ফলে আমার লক্ষ্য যত দূর যাওয়া যায়।’’

এক প্রণতি যা বলছেন, অন্য প্রণতির গলাতেও সেই প্রায় একই কথার প্রতিধ্বনি। ‘‘আমাদের সঙ্গে কারা লড়বে সে সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। কোচেরা সেটা দিয়েছেনও। ফলে পদকের কথা ভাবছি না। প্রায় দু’মাস ধরে অনুশীলন করেছি সেরাটা দেওয়ার জন্য।’’ বলে দেন প্রণতি দাশ। জয়প্রকাশ চক্রবর্তীর ছাত্রী এই প্রণতির গলাতেও অবশ্য দীপা কর্মকারের অনুপ্রেরণার কথা। ‘‘দীপাদিদি সব সময় আমাদের শেখায় টুনার্মেন্টে নামার আগে ভয় পেলেই সমস্যা হবে। তাই এশিয়ার সেরারা নামছে জেনেও ভয় পাচ্ছি না।’’ ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের সোনার মেয়ে দীপার সঙ্গে জাতীয় শিবিরে অনুশীলনটাই এ বারের এশিয়াডের জিমন্যাস্টিক্স টিমের সর্বকনিষ্ঠা মন্দিরা চৌধুরীর সবথেকে বড় পাওয়া। মন্দিরা বলছিলেন, ‘‘প্রথম এশিয়াড। দীপাদিদির সঙ্গে অনুশীলন করে অনেক কিছু শিখেছি। সুযোগ যদি পাই তা হলে সেরাটা দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE