Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

৩৭ দল, ২০১৭ ম্যাচ, ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় জট

রঞ্জিতেই যেমন এ বার পুরনো প্লেট গ্রুপ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। নতুন দলগুলিকে এই প্লেট গ্রুপেই রাখা হয়েছে। বিহার, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, সিকিম ও উত্তরাখণ্ড।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৯
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফি এ বার থেকে হবে ৩৭ দলকে নিয়ে। যা আগে কখনও হয়নি। লিগ পর্বের পরে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরতে হবে সেরা আট দলকে। তবে অন্যান্য বছরের মতো রঞ্জি ট্রফি দিয়ে এ বারের ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শুরু হচ্ছে না। তার আগে হয়ে যাবে দলীপ ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও দেওধর ট্রফি। বুধবার ঘরোয়া ক্রিকেটে সারা বছরের যে সূচি প্রকাশ করেছে বোর্ড, তাতে সিনিয়রদের জাতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট রাখা হয়েছে সবার শেষে, ফেব্রুয়ারিতে।
আদালতের নির্দেশে মোট ন’টি নতুন রাজ্য দলকে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এ’বছর। যার জেরে একাধিক টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাটও বদলাতে হচ্ছে বোর্ডকে। ম্যাচের সংখ্যাও বাড়ছে প্রচুর। ফলে সারা বছর ধরে বোর্ডকে ক্রিকেটারদের যাতায়াত বাবদ যে পরিমাণ ব্যয় করতে হবে, তা বোর্ডের ইতিহাসে নজির ছুঁতে পারে। সিনিয়র ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট-সহ সারা মরসুমে মোট ২০১৭টি ম্যাচে আয়োজন করতে হবে বোর্ডকে। যা নিয়ে বোর্ড কর্তারা বেশ চিন্তায় পড়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
রঞ্জিতেই যেমন এ বার পুরনো প্লেট গ্রুপ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। নতুন দলগুলিকে এই প্লেট গ্রুপেই রাখা হয়েছে। বিহার, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, সিকিম ও উত্তরাখণ্ড। গত বছর পর্যন্ত যে ২৮টি দল খেলত, তাদের এলিট গ্রুপে রাখা হয়েছে। এলিট দলগুলিকে আবার তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দু’টি গ্রুপের ১৮টির মধ্যে সেরা পাঁচটি ও তৃতীয় গ্রুপের দশটির মধ্যে সেরা দু’টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। প্লেট গ্রুপ থেকে একটি দল শেষ আটে পৌঁছে যাবে।
নতুন নিয়মে প্লেট গ্রুপ থেকে শেষ আটে ওঠা দলটি পরের বছর এলিটের সি গ্রুপে খেলবে। এলিট সি গ্রুপের সেরা দু’টি দল পরের বছর এ ও বি গ্রুপে খেলবে। আর এ, বি গ্রুপের শেষ দুই দলকে পরের বছরে সি-তে রাখা হবে। সি গ্রুপের শেষ দলকে পরের বছর পাঠানো হবে প্লেট গ্রুপে।
জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টও এ বার থেকে এই ফর্ম্যাটেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড। তবে জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাটে কিছুটা বদল আনা হচ্ছে। এখানে ৩৭টি দলকে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা হচ্ছে। প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল নিয়ে মোট দশটি দলকে তোলা হবে। এই পাঁচটি দলকে আবার দু’টি গ্রুপে ভাগ করে লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। প্রতি গ্রুপের সেরা দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। এই বিশাল সূচি নিয়ে বোর্ড ঠিকমতো ঘরোয়া ক্রিকেট চালাতে পারবে কি না, এটাই বড় প্রশ্ন। দীর্ঘ ভ্রমণসূচি ছাড়াও এতগুলো ম্যাচের জন্য ভাল মাঠ, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, স্কোরার যথেষ্ট রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে তেমন ভাল ও যথেষ্ট সংখ্যক মাঠও নেই বলে শোনা যাচ্ছে। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘শিলং ও নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ছাড়া এই অঞ্চলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার মতো মাঠ তৈরি হয়নি। স্টেডিয়াম বা ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরির জন্য যথেষ্ট অর্থও বোর্ড দেয়নি। এই অবস্থায় কী করে এত ম্যাচ আয়োজন করা হবে, বুঝতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ranji trophy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE