Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিশুদিবসে ধোনির অভিনব সাক্ষাৎকার

চতুর্থ শ্রেণীর এই স্কুল ছাত্রীকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ধোনি আরও বলেন, ‘‘সততা এবং পরিস্থিতি আগাম বুঝে নেওয়ার ক্ষমতাই আমাকে সাফল্য দিয়েছে।

সোজাসাপ্টা: খুদেদের জন্য পরামর্শ ধোনির। ছবি: পিটিআই

সোজাসাপ্টা: খুদেদের জন্য পরামর্শ ধোনির। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০৫
Share: Save:

স্কুল জীবনে তিনি ভাল অঙ্ক কষতেন। পরের দিকে জ্যামিতি। সততাই তাঁর সাফল্যের অন্যতম রহস্য। ২০১১ সালে বিশ্ব জয় তাঁর জীবনের সেরা মুহূর্ত। সঙ্গে এটাও বলতে ভুলছেন না তাঁর মেয়ে জিভা ইদানীং বেশ দুষ্টুমি করছে বাড়িতে।

শিশু-দিবসে এমনই মজাদার এক সাক্ষাৎকার দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তা-ও আবার দিল্লির শ্রীরাম বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শিবাঙ্গিনী চৌধুরীর কাছে। ধোনির কাছে এ দিন শিবাঙ্গিনী ক্রিকেটার জীবনের কথা জানতে চাইলে বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘শুরুতে স্কুল টিমে গোলকিপার খেলতাম। কিন্তু ক্রিকেট টিমে উইকেটকিপার খোঁজা শুরু হলে খেলা বদল করে নিই। উচ্চতা তখন খাটো থাকায় আমার জায়গা হয়ে যায় উইকেটকিপার। তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। তখন আমার প্রিয় বিষয় ছিল অঙ্ক। পরে অবশ্য সেই বিষয়ে পিছিয়ে পড়েছিলাম।’’

চতুর্থ শ্রেণীর এই স্কুল ছাত্রীকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ধোনি আরও বলেন, ‘‘সততা এবং পরিস্থিতি আগাম বুঝে নেওয়ার ক্ষমতাই আমাকে সাফল্য দিয়েছে।’’ ধোনি সঙ্গে এটাও বলেন, ‘‘২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয় জীবনের সেরা মুহূর্ত। তবে সে দিন ছয় মেরে যে ম্যাচ জিতে ফিরব তা আগাম পরিকল্পনা ছিল না।’’ শুধু ক্রিকেট নয় ছাত্রী-সাংবাদিকের কাছে নিজের ব্যক্তিগত কথাও বলেছেন ধোনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মেয়ে জিভা এখন খুব দুষ্টু হয়েছে। তবে যখন আরও ছোট ছিল, তখন কিন্তু রাতে কোনও সমস্যা করত না।’’

আরও পড়ুন: ব্যাটে বদল, অধিনায়কের লক্ষ্য আরও নিখুঁত হওয়া

একই সঙ্গে শিশুদিবসে তাঁর বার্তাও দিয়েছেন এমএসডি। যেখানে তিনি বলেন, ‘‘শৈশবে শেখা বিষয় আমাদের জীবন তৈরি করে। এই সময় পড়াশোনা এবং খেলাধুলা দু’টোই সমান তালে করা উচিত। একই সঙ্গে এই বয়সে মূল্যবোধের শিক্ষাও মেনে চলা বেশ জরুরি।’’

সাক্ষাৎকারের শেষ পর্বে এসে শিবাঙ্গিনী ধোনির কাছে জানতে চেয়েছিল, স্কুলে যদি কোনও বন্ধু উত্যক্ত করে তা হলে কী করা উচিত? জবাবে ধোনির পরামর্শ, ‘‘এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে সবার আগে বাড়িতে বাবা-মা-কে জানাও। তাঁরা যদি ভয় পেয়ে যান। তা হলে ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে জানিয়ে দিলে ফল পাবে। তবে মনে রাখবে, জীবন মসৃণ নয়। তাই সব সময় পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য নিজেকে তৈরি রাখা দরকার ছোট থেকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE