উল্লাস: গোলের পরে অভিজিতের উৎসব। —ফাইল চিত্র।
আই লিগে প্রথম গোল। তাও আবার জন্মদিনে। কিন্তু নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে মন খারাপ ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বঙ্গ স্ট্রাইকার অভিজিৎ সরকারের!
শুক্রবার মণিপুরের ইম্ফলে ঘরের মাঠে বত্রিশ হাজার দর্শকের সামনে অ্যারোজের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই সিঙ্গম সুভাষ সিংহের জো়ড়া গোলে ২-০ এগিয়ে যায় নেরোকা। প্রথম গোল তিনি করেন ৩৯ মিনিটে। ছ’মিনিটের মধ্যেই করেন দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে অ্যারোজের হয়ে গোল অভিজিতের। ইম্ফল থেকে ফোনে হতাশ ভারতের প্রতিশ্রুতিমান স্ট্রাইকার বলল, ‘‘জন্মদিনে আই লিগে প্রথম গোল করে খুব আনন্দ হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার বাঁচাতে পারলাম না। তাই মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’’
জন্মদিনে মায়ের হাতের তৈরি পায়েস খেতে না পারার দুঃখও রয়েছে অভিজিতের। বঙ্গ স্ট্রাইকারের কথায়, ‘‘ম্যাচের আগে বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা আমাকে ভাল খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। বলেছিলেন, গোল করার চেষ্টা করতে। বাবা-মায়ের কথা রাখতে পেরে ভাল লাগছে।’’ সঙ্গে যোগ করল, ‘‘বাড়িতে থাকলে অবশ্যই মা আমার জন্য পায়েস তৈরি করতেন।’’ সেই দুঃখ অবশ্য অভিজিৎ কিছুটা ভুলল টিম হোটেলে ডিনারের সময় কেক কেটে। এ দিন স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে এসেছিল সদ্য প্রাক্তন সতীর্থ ধীরাজ সিংহ। ম্যাচের পর সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করে শিলং ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানায় ভারতের প্রতিশ্রুতিমান গোলরক্ষক।
অ্যারোজ কোচ লুইস দে নর্টন মাতোস অবশ্য ফুটবলারদের মন খারাপ করতে বারণ করেছেন। কী বললেন কোচ? অভিজিতের কথায়, ‘‘মাতোস স্যার বলেছেন, হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। দ্বিতীয়ার্ধে তোমরা খুব ভাল খেলেছ। অতীত নিয়ে ভেবে মন খারাপ কোরো না। পরের ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ লাজং এফসি। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দাও।’’ লাজংয়ে বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি খেলবে অ্যারোজ। আজ, শনিবার সকালেই শিলং রওনা হওয়ার কথা অভিজিৎ, রহিম আলি-দের। লাজং এ দিন ঘরের মাঠে চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy