সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আই লিগের ক্লাব জোটের কর্তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। আইএসএলকে দেশের এক নম্বর লিগ করা হলে আইনি লড়াইয়েরও হুমকি দিয়েছেন। যদিও ফেডারেশন কর্তারা একেবারেই উদ্বিগ্ন নন। তাঁদের মতে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মিনার্ভা এফসি, গোকুলম এফসি, চেন্নাই সিটি এফসির অধিকারই নেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ জানানোর।
বছর তিনেক আগেই আইএসএল ও আই লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন ফেডারেশনের কর্তারা। ঠিক হয়েছিল দেশের এক নম্বর লিগ ঘোষণা করা হবে আইএসএলকে। যদিও ক্লাব জোটের কর্তারা এখন দাবি করছেন, তাঁদের অন্ধকারে রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। এই নিয়ে কয়েক দিন আগেই আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, চার্চিল ব্রাদার্স, মিনার্ভা ও গোকুলমের কর্তারা। আশ্চর্যজনক ভাবে ছিলেন না চেন্নাই সিটির কোনও প্রতিনিধি। এই বৈঠকেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পাল্টা বিবৃতিতে ফেডারেশন জানায়, সব ক্লাবকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। লিগের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে পরামর্শ নেওয়া হবে এএফসি সচিব দাতো উইন্ডসর জনের। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেডারেশনের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য সতর্কও করা হয়।
মিনার্ভা, গোকুলম ও চেন্নাই কেন আদালতে যেতে পারবে না? ফেডারেশন সূত্রে খবর, সরাসরি আই লিগে খেলার ছাড়পত্র দেওয়ার আগে ক্লাবগুলোর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এক বছরের জন্য অবনমন থাকবে না। তবে আই লিগ যদি অন্য লিগের সঙ্গে মিশে যায়, বন্ধ হয়ে যায় অথবা পরিকাঠামো পরিবর্তন হয়, সে ক্ষেত্রে এই চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। ক্লাবগুলোও রাজি হয়েছিল এই শর্তে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সঙ্গে অবশ্য এ রকম কোনও চুক্তি হয়নি। ক্ষুব্ধ ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘আদালতের দ্বারস্থ হলে সমস্যায় পড়বে মিনার্ভা, চেন্নাই ও গোকুলম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy