রেকর্ড করে কুক। ছবি: এএফপি
ন’বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভারতের বিমান ধরার দিনটা শনিবার অ্যালিস্টার কুকের একটু বেশি মনে পড়তেই পারে। কারণ, সে দিনই তাঁর টেস্ট জীবনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।
ইংল্যান্ড ‘এ’ টিমের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে গিয়েছিলেন কুক। সেখান থেকে তাঁকে নাগপুর ডেকে নেওয়া হয়, ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলতে। চোট-অসুস্থতায় ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে তৈরি শূন্যতা ভরাট করার জন্য।
সে দিন যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা শনিবারের হেডিংলেতে নতুন একটা মাইলফলক পেরিয়ে গেল। ইংল্যান্ড ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিকানার মাইলফলক। যা এত দিন ছিল গ্রাহাম গুচের জিম্মায়। ২১৫ ইনিংসে ৮৯০০ রান নিয়ে এত দিন কুকের মেন্টর ও কোচ গুচই ছিলেন সবচেয়ে সফল ইংরেজ ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে গুচকে টপকাতে কুকের দরকার ছিল ৩১ রান। শনিবার, টেস্টের দ্বিতীয় দিন টিম সাউদির বলে কভার ড্রাইভ দিয়ে ৮৯০০-র ঐতিহাসিক সংখ্যাটা পেরিয়ে যান কুক। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এই রানে পৌঁছলেন তিনি (৩০ বছর ১৫৬ দিন)। টপকালেন সচিন তেন্ডুলকরকে (৩০ বছর ২৩৬ দিন)।
এসেক্স আর তার পর জাতীয় দলে খেলার সময়ও কুকের কোচ ছিলেন গুচ। হেডিংলে টেস্ট শুরুর আগে কুক বলেছিলেন, ইংরেজ টেস্ট ইতিহাসে গুচ অতুলনীয়। তবে তাঁর নিজের টেস্ট কেরিয়ারও কম ঈর্ষণীয় নয়। ২০০৬-এ নাগপুরে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু। ২০১০-’১১ অ্যাসেজে সাত ইনিংসে ৭৬৬ রান, ২০১২-এ ভারত সফরে পরপর টেস্টে তিনটে সেঞ্চুরি করে সিরিজ জয়— সব আছে। সঙ্গে আছে ইংরেজ ব্যাটসম্যান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (২৭)।
সর্বোচ্চ টেস্ট রানের তালিকায় কুকের আগে আছেন এক ডজন তারকা। কিন্তু তাঁর ভক্তদের আশা, বয়স আর ফিটনেস কুকের পক্ষে। এর সঙ্গে ফর্মও থাকলে কেরিয়ার শেষে তালিকার শীর্ষস্থানে তাঁর না থাকার কারণ নেই!
দুই ওপেনারের ইনিংসে ভর দিয়ে ইংল্যান্ড ইনিংস ভালই এগোচ্ছিল, কিন্তু শেষ দিকে নিউজিল্যান্ড বোলাররা আবার ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন দলকে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৩৫০ রানের জবাবে দিনের শেষে ইংল্যান্ড তুলেছে পাঁচ উইকেটে ২৫৩। কুক আউট হন ৭৫ রান করে। তবে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান অন্য ওপেনার অ্যাডাম লিথের (১০৭)। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোল্ট দু’উইকেট নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy