Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ময়দানের ভদ্রলোক

মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। মাঠে নেমে বেশিরভাগ সময়ে রক্ষণ সামলেছেন। তাঁকে পার করা সহজ ছিল না। কিন্তু একটিও লাল কার্ড দেখেননি। দাসপুরের ভূমিপুত্র প্রাক্তন ফুটবলার মইদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। মাঠে নেমে বেশিরভাগ সময়ে রক্ষণ সামলেছেন। তাঁকে পার করা সহজ ছিল না। কিন্তু একটিও লাল কার্ড দেখেননি। দাসপুরের ভূমিপুত্র প্রাক্তন ফুটবলার মইদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

মইদুল ইসলাম।

মইদুল ইসলাম।

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০১:২৯
Share: Save:

প্রশ্ন: মোহনবাগানে সুব্রত ভট্টাচার্য, ইস্টবেঙ্গলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতোই মহমেডান স্পোর্টিংয়ে মইদুল ইসলাম। মহমেডানের ঘরের ছেলে। কিন্তু দাসপুরের গ্রাম থেকে কলকাতা ময়দানে এলেন কীভাবে?

উত্তর: আমার বাড়ি দাসপুরের সুন্দরপুরে। বাসুদেবপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছিলাম। স্কুলটি দাসপুরের কাছেই। এ বার আনন্দ পুরস্কারপ্রাপক সন্তোষ রানার কাকা অমূল্য রানা সেই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক ছিলেন গোষ্ঠবিহারী মাইতি। আমার খেলাধুলোর শুরুর দিনগুলিতে তাঁদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা আমাকে মেদিনীপুর টাউনে নানা বাছাই শিবিরে পাঠাতেন।

প্রশ্ন: প্রথম শ্রেণি থেকেই ওই স্কুলে পড়েছেন?

উত্তর: না। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে পড়েছি।

প্রশ্ন: প্রথম ফুটবলে পা?

উত্তর: আমার গ্রামের বাড়ির মাঠে। টালিভাটা বাণী ব্যায়াম সঙ্ঘ। খুব ছোট থেকেই ফুটবল খেলতাম। আমার দাদাও ভাল ফুটবল খেলত।

প্রশ্ন: কলকাতায় এলেন কবে?

উত্তর: কলকাতায় এসেছি উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পরে। তার আগে জেলা স্কুল দলের হয়ে খেলেছি।

প্রশ্ন: কলকাতায় আসার গল্প বলুন।

উত্তর: সেটা বেশ মজার। তখন রাজ্য পরিবহণ দফতরের ক্রীড়া সচিব ছিলেন দাশরথী সিংহ। সেই সময়ে পরিবহণ দফতরে অনেক নামী খেলোয়াড় চাকরি করছেন। ওঁর দিদির বাড়ি ছিল আমাদের গ্রামে। একবার উনি যখন দিদির বাড়ি এসেছিলেন তখন আমরা গ্রামের মাঠে খালি পায়ে ফুটবল খেলছি। উনি আমার খেলা দেখে আলাদা করে ডাকলেন।

প্রশ্ন: তারপরে?

উত্তর: বললেন বুট কোথায়? আমি তো ওঁকে চিনি না। আমি ভাবলাম ছেলেধরা। উনি যখন মাঠে অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তখন আমি সোজা ওঁর দিদির বাড়ি। সেখানে গিয়ে আগে জিজ্ঞাসা করলাম, বাড়িতে কেউ এসেছে কি না? তাঁরা দাশরথীবাবুর কথা বললেন। তারপর উনি আমার পায়ের মাপ নিয়ে গেলেন। দে়ড়-দু’মাস পরে যখন আবার গ্রামে এলেন তখন আমার জন্য বুট, জার্সি, প্যান্ট নিয়ে এসেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পরে তো সারা বাংলা স্কুল দলের বাছাই শিবিরে সুযোগ পেয়েছিলাম। অসুস্থ হওয়ার জন্য যেতে পারিনি।

প্রশ্ন: কলকাতায় প্রথম ক্লাব?

উত্তর: ১৯৭২ সালে সুবার্বান ক্লাবে সই করি। সেটাও একটা ঘটনা। দাশরথীবাবু আমাকে বলেছিলেন ভবানীপুর ক্লাবে নিয়ে যাবেন। তার আগে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সুবার্বান ক্লাবের অনুশীলন দেখছিলাম। সেই দলে আমার কয়েক বছর পরিচিত ছিল। তাঁরা আমাকে দেখতে পায়। ঘটনাচক্রে সে দিন ওদের অনুশীলনে একজন কম হচ্ছিল। ওঁরা আমাকে তাঁবু থেকে বুট পরে আসতে বলে। তারপর আমার খেলা ভাল লাগে। আমি সুবার্বানে সই করি। ক্লাবটি তখন দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলত।

প্রশ্ন: মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যাতায়াত করতেন নাকি?

উত্তর: হ্যাঁ। ঘাটাল থেকে বাসে পাঁশকুড়া আসতাম। পাঁশকুড়া থেকে ট্রেন ধরে হাওড়া। সেখান থেকে ক্লাব তাঁবু। সকাল দশটা-সাড়ে দশটা নাগাদ বেরোতাম। বাড়ি ফিরতে কমবেশি রাত ১২টা বাজত। একাই ফিরতাম। খেলা থাকলেও একই রুটিন।

প্রশ্ন: কী খেতেন?

উত্তর: বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে বেরোতাম। অনুশীলনের পরে ঘুগনি ও পাউরুটি দিন। কোনও দিন ভেজিটেবল স্টু। দূর থেকে আসতাম বলে আমায় বাড়তি দু’টো টোস্ট দিত।

প্রহরী: কৃশানু দেকে আটকাচ্ছেন মইদুল। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্য

প্রশ্ন: সুবার্বানের পরে কোন ক্লাব?

উত্তর: খিদিরপুর। সেটা ১৯৭৫ সাল। উয়াড়ি আমাকে ১০ হাজার টাকা অফার করেছিল। অন্য দিকে খিদিরপুর বলেছিল ট্রায়াল দিতে হবে। আমি খিদিরপুরেই গেলাম। কারণ খিদিরপুর তখন বাইরে খেলতে যেত। উয়াড়ি শুধু কলকাতা লিগ খেলত। আমি শিয়ালদহের মেসে থাকতে শুরু করি। কিন্তু ওখানে প্রচুর চেঁচামেচি। তাই খিদিরপুর তাঁবুতে থাকতে শুরু করি। সেই সময় খিদিরপুর মোহনবাগান-ইস্ট বেঙ্গলকে রীতিমতো বেগ দিত।

প্রশ্ন: খেলতে খেলতেই চাকরি পান আবার চাকরি ছাড়েন?

উত্তর: ১৯৭৭ সালে পোর্ট ট্রাস্টে খেলতে খেলতে চাকরি পাই। কিন্তু আমি ভাবলাম, পোর্টে খেললে আমি কোনও দিন ফুটবলার হিসেবে পরিচিতি পাব না। তাই মহমেডানে সই করি। অন্য ক্লাবে সই করার জন্য পোর্টের চাকরি ছাড়তে হয়।

প্রশ্ন: বাড়িতে মেনে নিয়েছিল?

উত্তর: বাড়িতে তো কেউ বিষয়টি জানতই না। আমার গ্রামের একজন পোর্ট ট্রাস্টে চাকরি করত। সে বাড়ি ফিরে বাবাকে জানায়। বাড়িতে লোক রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন: তারপর?

উত্তর: শুনলাম, এফসিআইয়ে ফুটবলারদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরেও সুযোগ ছিল। আমি এফসিআইতেই যোগ দিই। কারণ এখানে চাকরি করে যে কোনও ক্লাবে খেলা যাবে। ১৯৮৯ সালে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিই। তখন লাল-হলুদের কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনোরঞ্জনকে (ভট্টাচার্য) বললেন, মইদুলকে চাই। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ তখন বেশ শক্তিশালী। অনেকে বলেছিলেন, আবার মইদুল কেন? পিকে বলেছিলেন, ওঁকে মাঝমাঠে খেলাব।

প্রশ্ন: আপনি তো রক্ষণের খেলোয়াড়?

উত্তর: প্রথমে দিকে আমি মাঝমাঠেই খেলতাম। পোর্ট ট্রাস্টের কোচ সুনীল নন্দী আমাকে রক্ষণে খেলতে বলেন। সেই থেকেই রক্ষণে খেলতে শুরু করি। মহমেডানের হয়েও বেশিরভাগ ম্যাচ রক্ষণেই খেলেছি। কিন্তু পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন, আমি মাঝমাঠে খেলতেও স্বচ্ছন্দ।

প্রশ্ন: আপনি জীবনের বেশিরভাগ সময়ে রক্ষণভাগে খেলেছেন। একটাও লাল কার্ড দেখেননি...

উত্তর: লাল তো দেখিনি বটেই। হলুদও দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।

প্রশ্ন: পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ময়দানে অনেক মিথ রয়েছে। কিছু বলুন।

উত্তর: উনি ফুটবলারের নাড়ি নক্ষত্র জানেন। উদ্দীপিত করতে পারেন।

প্রশ্ন: আপনি অবসর নিয়েছেন কোন ক্লাব থেকে?

উত্তর: ১৯৯২ সালে মোহনবাগান খেলি। ১৯৯৩ সাল থেকে এফসিআই কলকাতা লিগ খেলতে শুরু করে। তারপর থেকে আমি এফসিআইয়ের হয়ে খেলতাম। দলটা আমি দেখতাম। জুনিয়র ছেলেদের নিয়ে দল করতাম। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এফসিআইয়ের হয়ে কলকাতা লিগ খেলেছি। ২০১৫ সালে চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত অফিস লিগ খেলেছি। এখনও প্রদর্শনী ম্যাচে খেলি।

প্রশ্ন: এখন আপনার বয়স কত?

উত্তর: তেষট্টি।

প্রশ্ন: নিজেকে মাঠে নামার মতো ফিট রাখেন কী করে?

উত্তর: সময়ে খাই ও ঘুমাই।

প্রশ্ন: চোট পেয়েছেন কখনও?

উত্তর: মাঠে সেভাবে চোট পাইনি। তবে আমার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আমি খেলতে খেলতে বার কয়েক অজ্ঞান হয়ে গিয়েছি। আমাকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। সেখানে সমাধানা না হওয়ায় ভেলোর চলে গিয়েছিলাম।

প্রশ্ন: বলেন কী! সেই নিয়ে খেলে গিয়েছেন?

উত্তর: মাঝে একটা সময় তো খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মানসিক অবসাদে ভুগছিলাম। সব সময় ভাবতাম, আমি আর খেলতে পারব না! কিন্তু ভেলোরে আমার ভাল চিকিৎসা হয়। রাহুলদেব বর্মণ আমাকে ও হাবিবদাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘ভেলোরে যা খরচ হবে আমি দেব।’ যদিও ভেলোরে চিকিৎসা করাতে আমার কোনও খরচ হয়নি। ভেলোরে আমাকে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, আমি বেশি ভয় পাচ্ছি। ফিরে অনুশীলন শুরু করলাম। সব হল কিন্তু জাতীয় দলে খেলা হল না।

প্রশ্ন: কেন?

উত্তর: জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার দিন কয়েক আগেই আমার অসুস্থতা ধরা পড়েছিল। তার পরও যে সুযোগ আসেনি নয়, কিন্তু আমি যাইনি। কারণ তখন আমার আলাদা করে কিছু প্রমাণ করার ছিল না। একবার কৃশানু-বিকাশের ইস্টবেঙ্গল মহমেডানের কাছে হারছিল। পিকে তখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। তখন তো একটি ঘরের মাঝ বরাবর কাপড় দিয়ে ঘিরেই দু’দলের ড্রেসিংরুম হতো। আমরা বিরতিতে এক দিকে, ইস্টবেঙ্গল অন্য দিকে বসে আছি। শুনতে পাচ্ছি পিকে তাঁর ফুটবলারদের বলেছিলেন, একটা ছেলের হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে খেলে যাচ্ছে। তোরা তাঁকে কাটিয়ে উঠতে পারছিস না! এগুলোই তো প্রাপ্তি। পিকে এখনও আমাকে ভালবাসেন। বাড়িতেও যাই।

প্রশ্ন: মেদিনীপুরে খেলার কিছু স্মৃতি?

উত্তর: ১৯৭১ সালে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বন্যাত্রাণে একটা খেলা হয়েছিল। আইএফএ একাদশ বনাম মেদিনীপুর একাদশ। মোহনাবাগান-ইস্টবেঙ্গলের অনেক ফুটবলার আইএফএ দলে ছিল। মাঠ ভর্তি দর্শক ছিল। আমরা খেলাটা ড্র করেছিলাম। এছাড়াও অনেক প্রতিযোগিতায় খেলেছি। মেদিনীপুরে আমি সান্টাফোকিয়া ক্লাবের হয়ে খেলতাম। পর্তুগালের একটা ক্লাবের নামে ওই ক্লাবের নাম। আমিই দল করতাম। তবে তার আগে হুগলি লিগে খেলেছি।

প্রশ্ন: হুগলিতে কীভাবে?

উত্তর: আমাদের গ্রামের এক মহিলার হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় বিয়ে হয়েছিল। আমি একবার সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখনই স্থানীয় মাঠে খেলছিলাম। খেলা দেখে বাঁশবেড়িয়া স্পোর্টিং দলের কর্তাদের পছন্দ হয়। আমাকে চুঁচুড়া লিগে খেলতে বলে। আমি বললাম, ঘাটাল থেকে আসব কী করে? জানাল, শনিবার ও রবিবার খেলা হয়। শুক্রবার রাতে চলে আসলেই হবে। গাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে।

প্রশ্ন: মেদিনীপুরে খেলার আগেই হুগলি লিগ খেলে ফেললেন? অসুবিধা হয়নি?

উত্তর: হয়েছিল তো। একবার মেদিনীপুর ও হুগলির খেলা। দু’দলই বলছে ও তো আমাদের ফুটবলার।

প্রশ্ন: এখন গ্রামের বাড়ি যান?

উত্তর: কেউ অতিথি হিসেবে ডাকলে যাই। এছাড়া তেমন যাওয়া হয় না। এখন বাইরে খাওয়া পুরো বন্ধ করে দিয়েছি। ফলে কলকাতার বাইরে গেলে কিছুটা অসুবিধাও হয়।

প্রশ্ন: মেদিনীপুরের জন্য আলাদা কিছু ভাবনা আছে?

উত্তর: সত্যি বলতে, মেদিনীপুর থেকে সেই ভাবে কেউ ডাকেনি। আমি আবার কাউকে তোষামোদ করে চলতে পারি না। তবে জেলার কোনও ছেলে যদি কলকাতা ময়দানে ট্রায়াল দেওয়ার জন্য আমায় ফোন করে তখন অবশ্যই সহযোগিতা করি। নিজের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে জেলার অনেক ছেলের রুটি-রুজির ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। মাঠের মালিদের বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করি।

প্রশ্ন: এখন কলকাতা ময়দানে বাঙালি ফুটবলার কমছে কেন?

উত্তর: সত্তর ও আশির দশকে একটা বাড়িতে তিন-চারজন করে ছেলে থাকত। ফলে তাদের একজন ফুটবলে এলে পরিবার আপত্তি করত না। এখন তো অণু পরিবার। কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যাঁরা খেলায় আসতে চান তাঁদের লক্ষ্য আবার ক্রিকেট। তাই পাহাড়ি ছেলেরা ভারতীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রণ করছে।

প্রশ্ন: আইএসএল আসার পরে কোনও উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয়?

উত্তর: এটা ঠিক যে, ফুটবলাররা প্রচুর টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু আইএসএল ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য কী করেছে? একটা অ্যাকাডেমি তো করতে পারে। এটা শুধুই ব্যবসা।

প্রশ্ন: মহমেডানে হাবিব ও আকবরের সঙ্গে কোনও স্মৃতি?

উত্তর: হাবিবদা খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। মহমেডানের হয়ে প্রথম ম্যাচ। মাঠে নামার আগে আমার পেটে সমস্যা। সন্ধ্যায় খেলা। এ দিকে প্রথম দলে আমার নাম রয়েছে। আমি হাবিবদার ঘরে গিয়ে সমস্যার কথা বললাম। হাবিবদার উত্তর ছিল, পেট খারাপে লোকে ভাল খেলে।

প্রশ্ন: মহমেডান সমর্থকদের কথা বলুন।

উত্তর: আমি যখন পুরোদমে খেলেছি সেই সময়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ছিলেন এমন কয়েকজন আমার বন্ধু। তাঁরা বলেন, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মাঠে ডিউটি করা অনেক সহজ ছিল। মহমেডান মাঠে গুরুত্বপূর্ণ খেলা থাকলে পুলিশের আলাদা প্রস্তুতি থাকত। ১৯৮১ সালে মহমেডান শেষবার লিগ জিতেছিল। তখন আমি অধিনায়ক। সমর্থকেরা কোলে করে তাঁবুতে নিয়ে এসেছিল।

প্রশ্ন: কোনও ট্রফি পাননি বলে আক্ষেপ আছে?

উত্তর: আমাদের সময়ে যা যা ট্রফি হতো সব জিতেছি।

প্রশ্ন: সামনে বিশ্বকাপ আসছে। প্রিয় দল কে?

উত্তর: ব্রাজিল। এখনও টিভিতে ব্রাজিলের পুরনো খেলা দেখি। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলে খুশি হব।

প্রশ্ন: অনেক প্রাক্তন ফুটবলারকে টিভিতে বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় দেখা যায়। আপনাকে দেখি না...

উত্তর: দেখো, বিশ্ব ফুটবল নিয়ে কথা বলার আমি কেউ নই। তাই ডাকলেও যাই না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Football Exclusive Interview Maidul Islam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE