Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এমন ম্যাচে নারিন নয় কেন

কোথায় হেরে গেল কেকেআর? বিশ্লেষণে দীপ দাশগুপ্তকেকেআর ইনিংসের মাঝে ক্রিস মরিসের ওই ওভারটাই এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যাতে রাসেল ও সূর্য আউট হয়। তার আগে পর্যন্ত ম্যাচটা কেকেআরের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু মরিসকে ১৪ নম্বর ওভারে আনার যে ফাটকাটা খেলল রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ, সেই ফাটকাতেই ম্যাচটা পুরো ঘুরে গেল।

শেন ওয়াটসন রান ১০৪ নটআউট বল ৫৯ বাউন্ডারি ৯ ওভার বাউন্ডারি ৫ স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৭

শেন ওয়াটসন রান ১০৪ নটআউট বল ৫৯ বাউন্ডারি ৯ ওভার বাউন্ডারি ৫ স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৭

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০৩:৩৬
Share: Save:

মরিসের ম্যাজিক ওভার
কেকেআর ইনিংসের মাঝে ক্রিস মরিসের ওই ওভারটাই এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যাতে রাসেল ও সূর্য আউট হয়। তার আগে পর্যন্ত ম্যাচটা কেকেআরের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু মরিসকে ১৪ নম্বর ওভারে আনার যে ফাটকাটা খেলল রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ, সেই ফাটকাতেই ম্যাচটা পুরো ঘুরে গেল।


কেন আজহার মেহমুদ
গোড়াতেই তো গলদ করে বসে রয়েছে কেকেআর। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, যেখানে জেতা ছাড়া কোনও উপায় নেই, সেখানে সুনীল নারিন ও ব্র্যাড হগের মতো দু’দুজন মিস্ট্রি-স্পিনার মজুত থাকা সত্ত্বেও দু’জনকেই বসিয়ে রেখে আজহারের মতো এক চল্লিশোর্ধ জং ধরা বোলারকে কেন নামানো হল, এটা আমার কাছে বড় রহস্য। উইকেট যে রকমই হোক, ওদের মতো স্পিনারের কাছে সেটা বড় ফ্যাক্টর হওয়ার কথা নয়। তাই উইকেটের দোহাই দিয়ে ওদের বাদ দেওয়া বোধহয় ঠিক হয়নি। অন্তত একজনকে খেলানো উচিত ছিল।

ওয়াটসনের ধামাকা

শেন ওয়াটসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। সিএসকে-র বিরুদ্ধে সেই ৭৩-এর ইনিংসটার পর থেকে ওর ব্যাটে কোনও ম্যাচে তিরিশও ওঠেনি। শনিবার রাতে ব্রেবোর্নের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেয়ে এত দিন ধরে তিল তিল করে বেড়ে ওঠা সেই খিদেটা এ দিন মিটিয়ে নিল ওয়াটসন। আইপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটা ওর। কী অসাধারণ ব্যাটিংটা করল! ওর ওয়াগন হুইলস দেখছিলাম। পিছনের দিকে ছাড়া বাকি সব দিক থেকেই ও সমান রান তুলেছে। বিশেষ করে কভার ও পয়েন্ট অঞ্চল দিয়েই বেশির ভাগটা। দুর্ভাগ্যবশত, আজহার বারবার ওই অঞ্চলেই খেলাচ্ছিল ওয়াটসনকে। নারিন বা হগের মধ্যে কেউ একজন যদি থাকত, তা হলে ওয়াটসন এত রান পেত কি না সন্দেহ রয়েছে।

পাঠানের চোট

ইউসুফ পাঠানের হঠাৎ পিঠের ব্যথা শুরু হল বলে কেকেআর আরও খানিকটা পিছিয়ে গেল। এমনিতেই রাসেল ও সূর্য মরিসের একই ওভারে পরপর ফিরে যাওয়ায় নাইটদের লড়াই অনেক কমজোরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তার পরেও ইউসুফ ছিল। এই মরসুমে ফর্মেও ছিল। ও যখন ব্যাট করছিল, একটা আশা ছিল। কিন্তু ইউসুফ শারীরিক সমস্যায় পড়ে যাওয়ায় আরও চাপে পড়ে যায় কেকেআর।

ক্যাপ্টেন স্মিথ

রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা এ দিন মোটেই ভাল বল করেনি। মরিস ছাড়া ওদের কেউই ঠিক লাইন-লেংথে বল করেনি। সেই মরিসকে এত ভাল ভাবে ব্যবহার করল স্মিথ, যে তাতেই ম্যাচ অর্ধেক জিতে নিল রাজস্থান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE