Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

এই দিনেই কুম্বলের সেই দশে দশ, সেদিনও ভূমিকম্প হয়েছিল

১৮ বছর আগের আজকের দিনটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আবারও একটা ৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৯ সালের এই দিনটিতে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় এক ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে।

অনিল কুম্বলে। ছবি: সংগৃহীত।

অনিল কুম্বলে। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:১১
Share: Save:

১৮ বছর আগের আজকের দিনটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আবারও একটা ৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৯ সালের এই দিনটিতে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় এক ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেদিনের সেই কুম্বলে এখন ভারতীয় সিনিয়র দলের হেড কোচ। বদলে গিয়েছে দায়িত্ব। বদলে গিয়েছে জায়গাও। এখন আর বল হাতে ভরসা দিতে হয় না দলকে। এখন দায়িত্ব পুরো দলের। সেই কুম্বলের ক্রিকেটার জীবনের আজকের দিনটি বিশ্ব ক্রিকেটেও সেরা।

আরও খবর: ভারত সফরই ওয়াটারলু হল ক্যাপ্টেন কুকের

বিশ্ব ক্রিকেটে এক ইনিংসে দু’বারই এমনটা হয়েছিল। এর আগে ১৯৫৬তে ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার জিম ল্যাকার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু কুম্বলের উইকেটের দিনটি কাকতালীয়ভাবে এক অদ্ভুত ঘটনা। যে ভাবে সেদিন এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে ধাক্কা দিয়েছিলেন সেদিন দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়েছিল। তার ১৮ বছর পরও ভুমিকম্পে কাঁপল দিল্লি। একদিন আগে। কাকতালীয়ই বটে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে বার ব্যাট হাতে সফল ছিলেন না কেউই। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ২৫২ রানই তুলতে পেরেছিল। বড় রান বলতে অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ৬৭ ও সদগোপান রমেশের ৬০ রানের সুবাদে এই রানে পৌঁছতে পেরেছিল দল। সাকলিন মুস্তাক পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানত পরে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যেখানে কুম্বলের ৭৫ রানে ৪ উইকেট ও হরভজন সিংহর ৩০ রানে তিন উইকেটেই বাজিমাত।

কুম্বলের ১০ উইকেটের স্কোরবোর্ড

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩২ রান তোলে ভারত। যেখানে রমেশ ৯৬, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৬২ ও জাভাগাল শ্রীনাথ ৪৯ রান করেন। সাকলিন মুস্তাক আবার পাঁচ উইকেট নেন। আসল ড্রামা অপেক্ষা করছিল এখানেই। যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তৈরি হয় ইতিহাস। পাকিস্তানের সামনে তখন ৪১২ রানের লক্ষ্য। হাতে তখনও দু’দিন। সইদ আনোয়ার ও শাহিদ আফ্রিদির ১০১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙে আফ্রিদির আউটে। পরের বলেই ফেরেন ইজাজ আহমেদ। ১০১/০ থেকে ১১৫/৪ হয়ে যায় মুহূর্তেই। যেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পাকিস্তান। ২০৭ রানে শেষ ইনিংস। যেখানে কুম্বলের বলে কখনও ক্যাচ নেন লক্ষ্মণ তো কখনও মোঙ্গিয়া, সৌরভ, দ্রাবির, এর বাইরে তিনটি এলবিডব্লু, দুটো বোল্ড। ২৬.৩ ওভারে ন’টি মেডেন দিয়ে ৭৪ রানে ১০ উইকেট নিজের নামে লিখে নেন অনিল কুম্বলে গড় ২.৭৯। দুই ইনিংস মিলে মোট ১৪।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE