মহড়া: অনুশীলনে ক্রোমা এবং কামো জুটি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মোহনবাগানের হয়ে অনুশীলনে নেমে পড়লেন সবুজ-মেরুন শিবিরের কা-ক্রো জুটি। আইভরি কোস্টের কামো স্টিফেন বায়ি ও লাইবেরিয়ার ঘানেফো আনসুমানা ক্রোমা।
কলকাতার বড় ক্লাবের হয়ে প্রথম দিন মাঠে নেমে দু’জনেই আবেগে ভাসলেন। চার্চিল ব্রাদার্স থেকে আসা ক্রোমা বললেন, ‘‘এত দিনের স্বপ্ন সত্যি হল।’’
আর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি- থেকে আসা কামো বললেন, ‘‘জানি সাত বছর কলকাতা লিগ পায়নি মোহনবাগান। মনে হচ্ছে এ বার ট্রফিটা আমাদের।’’
কিন্তু মোহনবাগানের দুই বিদেশি নিয়ে মাঠে হাজির সমর্থকরা মজে থাকলেও প্রথম দিনই বিতর্ক তাড়া করল ক্রোমাকে। দিন কয়েক আগে নদিয়ায় ‘খেপ’ খেলতে গিয়েছিলেন। ফের এই ভুল যেন না হয়, তা মনে করিয়ে ক্রোমাকে শুরুর দিনেই হলুদ কার্ড দেখালেন কর্তারা। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত যা স্বীকার করে জানিয়ে গেলেন, ‘‘অনুশীলনের পরেই ওকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ও কথা দিয়েছে, আর এই ভুল করবে না।’’
আরও পড়ুন:
শুভাশিসের আইএসএল-এ যাওয়া মানতে পারছেন না সঞ্জয় সেন
ক্রোমা যদিও এর পিছনে প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাত দেখছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা সর্বত্রই রয়েছে, ওরাই হয়তো আমাকে অপদস্থ করতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছবি দিয়েছে। তবে আমি নিজেকে ফোকাসড রাখছি। ‘দু’শো শতাংশ পরিশ্রম করে কাতসুমির মতো খেলতে চাই।’’
প্রথম দিনের অনুশীলনে চুক্তিবদ্ধ ১৬ জন ফুটবলার এসেছিলেন। যার মধ্যে দুই বিদেশি ছাড়াও ছিলেন শিল্টন পাল, কিংশুক দেবনাথ, চেস্টারপল লিংডো, বিক্রমজিৎ সিংহরা। এরা ফিজিক্যাল ট্রেনার সমীরণ নাগ এবং ফিজিও অভিনন্দন চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে গা ঘামান। ট্রায়ালে আসা বাকি ১৫ জনকে অনুশীলন করান কলকাতা লিগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী ও সহকারী গোলকিপার কোচ অর্পণ দে। মাঠের বাইরে বসে তিন শীর্ষ কর্তার সঙ্গে যা সরেজমিনে দেখে গেলেন টিমের আই লিগের কোচ সঞ্জয় সেনও। শঙ্করলাল বলছেন, ‘‘বৃষ্টির মাঠ নবাগতদের কাছে সমস্যা হতে পারে। যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। তার জন্য আগামী সপ্তাহ থেকেই দু’বেলা অনুশীলন করাবো।’’ সবুজ-মেরুন শিবিরের তৃতীয় বিদেশি কিংসলেও চলে আসবেন আগামী সপ্তাহেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy