ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া ক্রিকেটে কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখন উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব। এক দিকে, আইসিসি জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কা এবং আরও কয়েকটি দেশে দুর্নীতির তদন্ত করছে। অন্য দিকে টিভি চ্যানেল আল জাজিরা তাদের সাম্প্রতিকতম তথ্যচিত্রে অভিযোগ করেছে, বিশ্ব ক্রিকেটে রমরমিয়ে চলছে স্পট ফিক্সিং। এর মধ্যে আবার অভাবনীয় ভাবে নিজের দেশের ক্রিকেট গড়াপেটা তদন্তে সিবিআইয়ের সাহায্য চাইলেন অর্জুন রণতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক এও জানিয়েছেন, ভারত সাহায্য করার কথা বলেছে।
রণতুঙ্গা এখন শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে সোমবার বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে ক্রিকেট দুর্নীতি সামলানোর মতো বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ কেউ নেই। তাই আমি ভারতের সাহায্য চেয়েছিলাম। আমার অনুরোধ শুনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।’’ রণতুঙ্গা মনে করেন, ক্রিকেট দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই অনেক ভাবেই সাহায্য করতে পারে।
আইসিসি ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। সনৎ জয়সূর্যের নামও যেখানে জড়িয়ে গিয়েছে। কিছু দিন আগেই আইসিসি অভিযোগ করেছিল, দুর্নীতি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না জয়সূর্য। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েক জন কর্তার নামও ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রণতুঙ্গা বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট দুর্নীতি আটকাতে আইন তৈরি করার ক্ষেত্রেও আমরা ভারতের সাহায্য পাব।’’
এরই মধ্যে আল জাজিরার সম্প্রচারিত নতুন তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, স্পট ফিক্সিংয়ের জাল কী ভাবে ছড়িয়েছে। বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা নাকি স্পট ফিক্সিংয়ে বেশি করে জড়িত। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। আইসিসি প্রমাণ চেয়েছে ওই টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে। ইংল্যান্ডের প্রচারমাধ্যমের আবার দাবি, তাদের দেশের কোনও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও ভাবছেন।
তবে কেউ কেউ আবার সতর্ক। শোয়েব আখতারের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার টুইট করেছেন, ‘‘ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে খুব হৃদয় বিদারক খবর পাওয়া যাচ্ছে আল জাজিরা চ্যানেলে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই নাকি ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত। এই অভিযোগ শুনতে খুবই খারাপ লাগছে....।’’
তবে এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রমাণ কোথায়? ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মার্ক উড যেমন বলেছেন, ‘‘যত ক্ষণ না আল জাজিরা কারও নাম করছে বা কোনও প্রমাণ পেশ করছে, আমি ওদের একটা কথাও বিশ্বাস করি না।’’ উড আরও জানিয়েছেন, তাঁদের ড্রেসিংরুমে এই অভিযোগের কোনও প্রভাবই পড়েনি। কেউই আমল দিচ্ছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy