সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বাংলার হয়ে শেষ কবে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন, তা হয়তো নিজেও ভুলে গিয়েছেন। বিজয় হজারে ট্রফির আটটি ম্যাচ খেলে তাঁর রান ১২২। রঞ্জি ট্রফির চলতি মরসুমে ছয় ম্যাচে তাঁর প্রাপ্তি ২৫৪ রান। দলীপ ট্রফিতে ভারত ‘গ্রিন’ দলের হয়ে ৮২ রানের ইনিংসই মরসুমে তাঁর একমাত্র হাফসেঞ্চুরি। তিনি বাংলার ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ। দলের সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অল আউট হয় বাংলা। জবাবে ৩২১ রান করে অন্ধ্রপ্রদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৩ রানে ডিক্লেয়ার করে বাংলা। বিপক্ষের ১৭০-৭ স্কোরে শেষ হয় ম্যাচ। এ ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়ার পরে সুদীপকে নিয়েই বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেন্টর অরুণ লাল। মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনম থেকে ফোনে অরুণ বলেন, ‘‘অনেক সময় পেয়েছে সুদীপ। সাধারণত কোনও ব্যাটসম্যানকে এত সময় দেওয়া হয় না। ওকে সময় দেওয়া হয়েছে কারণ, ওর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু সব কিছুর সীমা আছে।’’
মরসুম শুরু হওয়ার আগেই মেন্টর জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘পারফর্ম করো, না হলে বাইরে বসো।’’ অথচ বাংলার জার্সিতে মরসুমে শেষ ১৫টি ম্যাচে হাফসেঞ্চুরিহীন সুদীপ খেলেই চলেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৪৭ রান করেন সুদীপ। কিন্তু তৃতীয় দিনেই বাংলার তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ছাড়া এই ইনিংসের কোনও মূল্যই থাকল না। তা হলে সুদীপের ক্ষেত্রে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না কেন? অরুণের উত্তর, ‘‘নির্বাচকদের নজরে রয়েছে প্রত্যেকে। আশা করছি সুদীপের পারফরম্যান্সও ওদের নজরে রয়েছে। কিন্তু বাংলাকে অনেক ভাল ইনিংস উপহার দিয়েছে সুদীপ। ও দলের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। আশা করছি শেষ দু’ম্যাচে নিজের ভুল ও শুধরে নিতে পারবে। তার জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রমও করছে।’’
শুধু সুদীপ নন, গোটা দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়েই চিন্তিত মেন্টর। ‘‘প্রত্যেকের টেকনিকে সমস্যা রয়েছে। মরসুমের মাঝখানে সেগুলো শুধরানো সম্ভব নয়। মরসুম শেষে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ছেলেদের। তৈরি করে তুলতে হবে প্রত্যেককে,’’ কড়া বার্তা অরুণের।
অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচের পরে গ্রুপ ‘এ’ ও ‘বি’-র ১৮টি দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলা। ছয় ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ১৬। প্রথম পাঁচটি দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সৌরাষ্ট্র (২৬), হিমাচল প্রদেশ (২২), কর্নাটক (২১), বিদর্ভ (২১) ও কেরল (২০)। বাংলার পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ দিল্লি ও পঞ্জাবের পয়েন্ট বাংলার থেকে কম (১৩)। কিন্তু তবুও পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই নামতে চলেছে বাংলা। মেন্টরের কথায়, ‘‘পয়েন্ট কম পেলেও রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লি ও পঞ্জাব বড় নাম। দু’দলেই বিখ্যাত ক্রিকেটার রয়েছে। শেষ আটের রাস্তা পাকা করতে হলে দু’টি ম্যাচে ৯পয়েন্ট পেতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy