অভিনন্দন: প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। এএফপি
‘লঞ্চ প্যাড’ বিশ্বকাপ জয়। যে সাফল্য আগামী দিনে ইংল্যান্ডকে দিতে পারে বাড়তি উৎসাহ। বিশ্বকাপে সাফল্যের সৌজন্যে পাওয়া নতুন আত্মবিশ্বাস এনে দিতে পারে অ্যাশেজ জয়ের সুযোগ। এ ভাবেই ভাবছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগরের স্বপ্ন, আসন্ন অ্যাশেজও জিতে ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় ‘ডাবল’ অর্জন করা।
বিশ্বকাপ জয়ের জন্য চুয়াল্লিশ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডের। লর্ডসে রবিবার বিতর্কিত এবং নাটকীয় ভাবে নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বার ট্রফি জিতেছেন অইন মর্গ্যানরা। উৎসবের রেশ কাটিয়েই ইংরেজ ক্রিকেটারদের এ বার অ্যাশেজের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুরু হবে ১ অগস্ট। পরের চারটি টেস্ট শুরু হবে যথাক্রমে ১৪ অগস্ট, ২২ অগস্ট, ৪ সেপ্টেম্বর ও ১২ সেপ্টেম্বর। রুট দাবি করেছেন, বিশ্বকাপের পরে অ্যাশেজেও সাফল্যের ব্যাপারে তাঁরা সমান আত্মবিশ্বাসী।
রুট বলেছেন, ‘‘দু’তিন বছর আগে থেকেই আমরা লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলাম। একটা লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। যেটা আমরা পেরেছি। আর একটা লক্ষ্য অবশ্যই অ্যাশেজ জয়। বিশ্বকাপ জয়ের পরে দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। মনে হচ্ছে, অ্যাশেজেও আমরা ভাল কিছু করতে পারব।’’ এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছে। এই মাঠে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টও হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে রুট বলেছেন, ‘‘যে ভাবে এবং যে দাপট নিয়ে আমরা বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি তা দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আলাদা তৃপ্তি দিয়েছে। আমরা চাই অ্যাশেজেও এজবাস্টনে সেমিফাইনালের সেই সাফল্যের রেশ ধরে রেখে ম্যাচটা খেলতে নামতে।’’ রুট সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘যদি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মেজাজটাই ধরে রাখতে পারি এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে, তা হলে তো কথাই নেই। অবশ্য এ বারের লড়াইটা একটু অন্য রকম। প্রথমত এটা টেস্ট ক্রিকেট। তার উপরে অ্যাশেজ। যার উত্তেজনা, আকর্ষণের সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর তুলনাই হয় না। আমাদের সব ক্রিকেটাররাই বিশ্বকাপ জেতার পরে তেতে আছে। এবং সব চেয়ে বড় কথা আমরা ক্রিকেটটা উপভোগ করতে শিখে গিয়েছি। মনে হয়, অ্যাশেজেও ইংল্যান্ড এই মানসিকতা নিয়েই খেলবে। বিশ্বকাপে আমরা পেরেছি। অ্যাশেজেই বা পারব না কেন?’’
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস কিন্তু মনে করছেন অ্যাশেজেও সাফল্য পাওয়া খুব সহজ নয়। স্টোকসের বক্তব্য, ‘‘আমরা বিশ্বকাপটা জিতেছি। স্মৃতিটা খুবই টাটকা বলে দলের সবাই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবতেই পারে। কিন্তু অ্যাশেজের লড়াইটা অন্যরকম। এখানে মনঃসংযোগ দরকার একেবারে আলাদা ধরনের। আমাদের ক্রিকেটে ওয়ান ডে-র মেজাজ চলে এলেই কিন্তু বিপদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy