Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ফিরলেন ডিন্ডা, কথা হল না কোচের সঙ্গে

বাংলার রঞ্জি ট্রফি অনুশীলন শুরু হওয়ার পরেও মাঠমুখো হচ্ছিলেন না ডিন্ডা। অবশেষে তাঁর রাগ ভেঙেছে। বুধবার বাংলার প্র্যাক্টিসে হাজির অভিজ্ঞ সৈনিক।

ক্লাস: বাংলার অনুশীলনে ডিন্ডাকে পরামর্শ লক্ষ্মণের। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

ক্লাস: বাংলার অনুশীলনে ডিন্ডাকে পরামর্শ লক্ষ্মণের। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৭
Share: Save:

বাংলার টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ার পরে অশোক ডিন্ডা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, ‘‘বাংলার জার্সিতে আর মাঠে নামব না।’’ কারণ, বাংলার অভিজ্ঞ পেসার ভাবতে পারেননি তাঁকে সৈয়দ মুস্তাক আলির দল থেকে বাদ দেওয়া হবে।

বাংলার রঞ্জি ট্রফি অনুশীলন শুরু হওয়ার পরেও মাঠমুখো হচ্ছিলেন না ডিন্ডা। অবশেষে তাঁর রাগ ভেঙেছে। বুধবার বাংলার প্র্যাক্টিসে হাজির অভিজ্ঞ সৈনিক। ম্যাচ প্র্যাক্টিসে বল না করলেও তিনি শুরুতেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং করে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন। নতুন বল নিয়ে এগিয়ে গেলেন নেটের দিকে। শুরু হল তাঁর রঞ্জি ট্রফির মহড়া। সেই পরিচিত লাফ। দুরন্ত আউটসুইং। নেটেও ম্যাচের মতো উত্তেজনা।

ডিন্ডা বল করার সময় পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। পুরনো সৈনিকের অস্ত্রে শান দেওয়ার পদ্ধতি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু ডিন্ডার আশেপাশেও দেখা গেল না কোচ অরুণ লালকে। কোচের সঙ্গে কথাও হয়নি বাংলার পেসারের। ডিন্ডা যদিও বলেছেন তাঁর সঙ্গে কোচের কথা হয়েছে। অরুণ লাল যদিও বললেন, ‘‘আজ কথা হয়নি।’’ প্রশ্ন উঠবেই, তা হলে কি এখনও বরফ গলেনি!

ডিন্ডা যদিও তাঁর প্র্যাক্টিসে না আসার প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে। তাই এত দিন অনুশীলনে দেখা যায়নি।’’ যোগ করেন, ‘‘ভেবে দেখলাম, এই ক্রিকেটের জন্যই আমাকে সবাই চেনে। কী করে ক্রিকেট ছেড়ে থাকব। এই বাংলাই আমাকে জীবনের অনেক কিছু দিয়েছে। তাদের হয়ে না খেলে থাকতে পারব না।’’

এত দিন মাঠে ফেরার পরে কী রকম অনুভূতি তাঁর? ডিন্ডার উত্তর, ‘‘লাল বলে বল করার মজাই অন্য রকম। কাল ম্যাচ খেলব। দেখা যাক কী রকম করতে পারি।’’

‘ম্যাচ সিচুয়েশন’-এ ডিন্ডা কী রকম বল করেন, তা দেখার জন্য মুখিয়ে কোচ অরুণ লাল। তাঁর কথায়, ‘‘কাল ম্যাচ আছে। দেখা যাক কী রকম বল করে।’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে এ দিনও ম্যাচ প্র্যাক্টিস ছিল বাংলার। নিজেদের মধ্যে দু’টি দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলছিলেন মনোজ তিওয়ারি, অভিমন্যু ঈশ্বরনেরা। সব চেয়ে বেশি নজর কাড়লেন বাঁ-হাতি ওপেনার কৌশিক ঘোষ। ৯১ রান করার পরে খারাপ শট খেলে আউট না হলে, মরসুমের শুরুতেই সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারতেন। দ্বিতীয়জন তরুণ পেসার সন্দীপন দাস। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ান ডে প্রতিযোগিতায় ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ২১টি উইকেট পেয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। যা ফুটে উঠল তাঁর বোলিংয়েও। উইকেট না পেলেও ব্যাটসম্যানকে বেশ কয়েক বার পরাস্ত করেছেন। লক্ষ্মণও তাঁর বোলিংয়ে খুশি। এই ছন্দে এগোলে রঞ্জি ট্রফির দরজাও তাঁর জন্য খুলে যেতে পারে।

অনূর্ধ্ব-২৩ দলে শামির ভাই: ওয়ান ডে দল থেকে বাদ পড়ার পরে অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলা দলে জায়গা হল মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফের। কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির ১৫ জনের দলে সন্দীপন দাস, আকাশ দীপের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে রয়েছেন কাইফ। অধিনায়ক কাজি জুনেইদ সৈফি। বাংলা দল: কাজি জুনেই সৈফি (অধিনায়ক), সুদীপ ঘরামি (সহ-অধিনায়ক), অঙ্কুর পাল, অগ্নিভ মুখোপাধ্যায়, রণজ্যোৎ সিংহ খাইরা, সৌরভ পাল, সাকিব হাবিব গাঁধী, অভিষেক বসু, সন্দীপন দাস, মহম্মদ কাইফ, আকাশ দীপ, দুর্গেশ কুমার দুবে, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, অঙ্কিত মিশ্র ও সৌরভ হালদার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Bengal Ranji Trophy Ashok Dinda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE