মাশরাফি মর্তুজা।
শোয়েব মালিকের ক্যাচটা তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে নিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সমস্যাটা ওখানেই হয়েছে। ডান হাতের কড়ে আঙুলে ভাল রকম চোট পেয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের টিম হোটেলে গিয়ে দেখা গেল, কড়ে আঙুলে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জানা গেল, ওই অবস্থাতেই নামার জন্য তৈরি তিনি। স্ক্যানও করাতেও রাজি হচ্ছেন না। কারণ ফাইনাল শেষ হওয়ার আগে মর্তুজা জানতে চান না, তাঁর আঙুল ভেঙেছে কি না।
এশিয়া কাপের শুরুতে তামিম ইকবালকে হারানো, তার পরে ফাইনালের আগে শাকিব আল হাসানের ছিটকে যাওয়া। এই রকম চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত দল নিয়ে কি ভারতকে হারানো সম্ভব? প্রশ্নটা শুনে মাশরফির জবাব, ‘‘অবশ্যই সম্ভব। আর সেটা যদি মাথায় না রাখি, তা হলে ম্যাচ খেলতে নামার তো কোনও মানেই নেই।’’ তবে তিনি এও বলেন, ‘‘ভারতের মতো আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি নেই। ওদের কে এল রাহুল একটা ম্যাচে নেমে হাফসেঞ্চুরি করে দিল। আমাদের হাতে সে রকম রিজার্ভ ক্রিকেটার নেই।’’ কিন্তু তাও তিনি আত্মবিশ্বাসী। যোগ করেন, ‘‘ভারত অবশ্যই সেরা দল। কিন্তু সেরা দলকেও হারানো যায়।’’
শুধু অধিনায়ক নিজে নন। দলের সেরা ব্যাট মুশফিকুর রহিমেরও চোট আছে। তাঁর পাঁজরে স্ট্র্যাপ লাগানো। পুল মারতে গেলেই যন্ত্রণা হচ্ছে। তা নিয়েই খেলে যাচ্ছেন। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫ ওভার কিপিং করে আর টানতে পারেননি। ফাইনালেও নামবেন, তার পরে যা হয় হবে। সেই মুশফিকুর বলেছেন, ‘‘যুদ্ধে নামলে কি কেউ দেখে, সঙ্গে আর কে আছে। তখন তো হয় মারো নয় মরো অবস্থা।’’ সমস্যার তালিকায় তিন নম্বর নাম মাহমুদুল্লার। তিনি বেশি সময় ক্রিজে কাটালে শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওপেনার, পেসাররাই এগিয়ে রাখছে ভারতকে
এই অবস্থায় আবার কি হারতে হবে বাংলাদেশকে? আরও একটা এশিয়া কাপ হাতছাড়া হয়ে গেলে আপনার আক্ষেপ হবে না? হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে প্রশ্নটাকে সপাটে হুক করলেন মর্তুজা, ‘‘মাশরফি মর্তুজা অত সস্তা নয়। একটা ট্রফি দিয়ে তার ক্রিকেট কৌলিন্যের বিচার করা যায় না। ক্রিকেট কোনও দিন ট্রফির জন্য খেলিনি। আপনারা যদি এই একটা ট্রফির হারা-জেতা নিয়ে আমাকে বিচার করতে চান, করতে পারেন। আমি করব না।’’ পরের শটটাও কম জোরালো নয়। মর্তুজা বলেন, ‘‘এশিয়া কাপ আমরা সে দিনই জিতে যাই, যে দিন তামিম এক হাতে ব্যাট করেছে।’’ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে নতুন রেষারেষি। যা বেশি করে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনি ভক্তদের কী বলবেন এ রকম একটা ফাইনালের আগে? মাশরফি বলছেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠেই যা হওয়ার হোক। কিন্তু মাঠের বাইরে তার প্রভাব পড়া কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়।’’
পাকিস্তানকে হারিয়ে ওঠার পরেই ড্রেসিংরুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোন পান মর্তুজা। ফাইনালে ওঠার জন্য অভিনন্দনের পাশাপাশি ভারত ম্যাচের জন্য অধিনায়ককে শুভেচ্ছাও
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy