উচ্ছ্বাস: দ্বিতীয় উইকেট পেয়ে উল্লসিত শাদাব খান। তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বাবর আজম। রবিবার। ছবি: এএফপি।
চলতি এশিয়া কাপে ভারতের গ্রুপ যে কার্যত দু’দলের, তা নিয়ে চর্চা হচ্ছিল অনেক আগে থেকেই। রবিবার দুবাইয়ে হংকং-এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অনায়াস জয়ে বোঝা গেল, সেই ধারণা সত্যিই। প্রতিযোগিতার আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা হংকং কোনও লড়াই ছাড়াই সরফরাজ আহমেদদের কাছে আট উইকেটে হেরে গেল।
১১৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৩.৪ ওভারেই তা তুলে ফেলে পাকিস্তান। ফখর জামান (২৪) ও বাবর আজমের (৩৩) উইকেট হারিয়েই এই রান তুলে ফেলে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে ছোটখাটো একটা ম্যাচ প্র্যাকটিস সেরে নিলেন ইমাম উল হকরা। তাঁর অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিই এই জয়ের জন্য ছিল যথেষ্ট। পাকিস্তানি ওপেনার এ দিন তিনটি চার ও একটি ছয় মেরে ৫০ রান তুলে দলকে জেতান। জয়সূচক বাউন্ডারিটি অবশ্য মারেন শোয়েব মালিক।
জয় নিয়ে পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘‘এই ম্যাচটা ৯-১০ উইকেটে জেতা উচিত ছিল আমাদের। কয়েকটা জায়গায় এখনও শোধরাতে হবে। নতুন বল নিয়ে আরও ভাল বোলিং চাই। নতুন বলে তেমন সুইং হয়নি। অনুশীলনে এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে।’’
মহম্মদ আমিরের প্রথম ওভারেই ১১ রান তুলে শুরু করেছিল হংকং। পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে কয়েক ওভারের মধ্যেই মাথা নোয়াতে হয় তাঁদের। শেষে উসমান খানের এক ওভারে তিন শিকারেই হংকং শেষ হয়ে যায় ১১৬ রানে। মহম্মদ আমির সাত ওভার বল করে কোনও উইকেট না পেলেও বাঁহাতি পেসার উসমান, লেগ স্পিনার শাদাব খান ও পেস বোলার হাসান আলি-র দাপটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত দলটি আর মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি।
প্রথম ওভারে ১১ ছাড়া ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ। এতেই তাদের মোট রান একশো পেরয়। উসমান শেষ পর্যন্ত একই ওভারে তিন উইকেট ফেলে দিয়ে হংকং-এর লড়াই শেষ করে দেন। ফাহিম আশরফ (১-১০), শাদাব (২-৩১) ও হাসানের (২-১৯) দাপটে হংকং-এর অবস্থা ৪৪-৫ হয়ে যাওয়ার পরে কিঞ্চিৎ শাহ ও আইজাজ খানের ৫৩ রানের পার্টনারশিপই তাদের টেনে তোলে।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে উসমান বলেন, ‘‘প্রথম স্পেলে ভাগ্য আমাকে সঙ্গ দেয়নি। দ্বিতীয় স্পেলে রিভার্স সুইং করাতে পারছিলাম। তাতেই উইকেট পাই।’’ এ দিন পায়ে চোটও পান তিনি। বলেন, ‘‘হঠাৎ পিছলে পড়ে গিয়ে পা থেকে রক্ত পড়ছিল তখন। এখন ঠিক আছি। বোলিংটা উপভোগ করছি আমি।’’
স্কোরকার্ড
হংকং ১১৬ (৩৭.১)
পাকিস্তান ১২০-২ (২৩.৪)
হংকং রান বল
নিজ়াকত রান আউট শাদাব ১৩ • ১১
রথ ক সরফরাজ বো ফাহিম ১৯ • ৩৪
হায়াত স্টা সরফরাজ বো শাদাব ৭ • ২৯
কার্টার ক ইমাম বো হাসান ২ • ১৪
কিঞ্চিৎ ক শাদাব বো হাসান ২৬ • ৫০
এহসান এলবিডব্লিউ বো শাদাব ০ • ২
অয়জাজ খান বো উসমান ২৭ • ৪৭
স্কট এলবিডব্লিউ বো উসমান ০ • ৩
তনবির বো উসমান ০ • ১
নওয়াজ় রান আউট হাসান ৯ • ২১
নাদিম আহমেদ ন. আ. ৯ • ১১
অতিরিক্ত ৪
মোট ১১৬ (৩৭.১)
পতন: ১-১৭ (নিজ়াকত, ৪.৩), ২-৩২ (রথ, ৮.৫), ৩-৩৯ (কার্টার, ১৩.২), ৪-৪৪ (হায়াত, ১৬.১), ৫-৪৪ (এহসান, ১৬.৩), ৬-৯৭ (অয়জাজ, ৩০.২), ৭-৯৭ (স্কট, ৩০.৫), ৮-৯৭ (তনবির, ৩০.৬), ৯-৯৯ (কিঞ্চিৎ, ৩৩.১), ১০-১১৬ (এহসান, ৩৭.১)।
বোলিং: মহম্মদ আমির ৭-১-২০-০, উসমান খান ৭.৩-১-১৯-৩, ফাহিম আশরফ ৪-০-১০-১, হাসান আলি ৭.১-০-১৯-২, শাদাব খান ৮-১-৩১-২, শোয়েব মালিক ৩-০-১৭-০, ফখর জ়ামান ০.৩-০-০-০।
পাকিস্তান রান বল
ইমাম-উল-হক ন. আ. ৫০ • ৬৯
ফখর জ়ামান ক স্কট বো এহসান ২৪ • ২৭
বাবার আজ়ম ক স্কট বো এহসান ৩৩ • ৩৬
শোয়েব মালিক ন. আ. ৯ • ১১
অতিরিক্ত ৪
মোট ১২০-২ (২৩.৪)
পতন: ১-৪১ (ফখর, ৮.১), ২-৯৩ (বাবর, ২০.২)।
বোলিং: তনবির আফজ়ল ৪-২-১৩-০, এহসান নওয়াজ় ৪-০-২৭-০, অয়জাজ খান ৩.৪-০-১৯-০, এহসান খান ৮-০-৩৪-২, নাদিম আহমেদ ৪-০-২৭-০।
৮ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান
ম্যাচের সেরা উসমান খান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy