Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরে রশিদদের পাশে মালিক

আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রান করে চলে যাওয়ার পরে পাকিস্তান জবাব দিতে নামলে তারা বেশ ধীরগতিতেই এগোচ্ছিল। রশিদ খানদের বোলিং পাক স্কোরবোর্ডের গতি সে ভাবে বাড়তে দেয়নি। শেষ ওভারে জেতার জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল দশ রান।

হর্ষ-বিষাদ: হারের পরে আফতাবকে সান্ত্বনা শোয়েব মালিকের। টুইটার

হর্ষ-বিষাদ: হারের পরে আফতাবকে সান্ত্বনা শোয়েব মালিকের। টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন 
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৩
Share: Save:

চাপের মুখে অভিজ্ঞতাই যে শেষ কথা, তা আর একবার বুঝিয়ে দিলেন শোয়েব মালিক। শুক্রবার আবু ধাবিতে। এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারত যখন প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছে, তখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে একটা ছয় ও একটা চার মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতালেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এশিয়া কাপে খেলা পাকিস্তান দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা যিনি।

আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রান করে চলে যাওয়ার পরে পাকিস্তান জবাব দিতে নামলে তারা বেশ ধীরগতিতেই এগোচ্ছিল। রশিদ খানদের বোলিং পাক স্কোরবোর্ডের গতি সে ভাবে বাড়তে দেয়নি। শেষ ওভারে জেতার জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল দশ রান। কিন্তু আফগানিস্তানের সেরা বোলার রশিদকে কেন শেষ ওভার বল করতে না পাঠিয়ে তার আগের ওভারে পাঠানো হল, সেটাই অবশ্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার আফতাব আলমকে পাঠানো হল শেষ ওভারে। যিনি আগের ন’ওভারে ৫৪ রান দিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম বলে কোনও রান না হলেও দ্বিতীয় বলে ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছয় মারেন শোয়েব। পরের বলেও ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মারেন তিনি। জেতার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন শোয়েব ও তাঁর সঙ্গী হাসান আলি। হাশমাতুল্লাহর অপরাজিত ৯৭ ও আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগানের আকর্ষণীয় হাফ সেঞ্চুরি (৬৭) এই এক ওভারেই বিফলে যায় একটা ছোট্ট ভুল সিদ্ধান্তে। রশিদ খান শেষ ওভার বল করতে এলে পাকিস্তান ম্যাচটা জিততে পারত কি না, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। এ ছাড়া শোয়েবের একটি ক্যাচ ফেলেও দেন উইকেটকিপার মহম্মদ শাহজাদ।

যা নিয়ে খেলার পরে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘‘শোয়েবের ক্যাচটা নিয়ে নিতে পারলে আমাদের কাজটা অনেক সোজা হয়ে যেত। আমরা ভাল ব্যাটিং করলেও আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং ভাল হয়নি। এই ধরনের উইকেটে রশিদ ভযঙ্কর হয়ে উঠবে জানতাম। তাই (শেষের আগের ওভারে) ওকেই বল দিই।’’ অন্যদিকে জয়ের নায়ক শোয়েব বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকার লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলাম। একটা সময় প্রতি ওভারে গড়ে দশ রান দরকার ছিল আমাদের। কিন্তু আমি নিজেকে বলতে থাকি শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে হবে। আমাদের শেষের দিকের ব্যাটসম্যান বড় শট নিতে পারে। ওরাও (আফগানিস্তান) দিনে দিনে উন্নতি করছে।’’

প্রথম ওভারেই ফখর জামান আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাবর আজম ও ইমাম উল হকের ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ দলকে লড়াইয়ের জায়গায় আনে। তবে তাও বেশ ধীর গতিতে। এই প্রসঙ্গে পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘‘বাবর ও ইমামের কোনও প্রশংসা যথেষ্ট নয়। মালিক ভাইয়ের তো আরও না। আফগানিস্তান দারুণ ব্যাট করেছে। তিনজন অসাধারণ স্পিনার রয়েছে ওদের দলে। বিশেষ করে এই পিচে। ওদের রান তাড়া করতে গেলে যতটা ভাল ব্যাটিং করা দরকার, ততটাই করেছি আমরা। ২৫৭ রান তাড়া করে জেতা মোটেই সোজা ছিল না। প্রায় দেড় বছর পরে আমরা খুব খারাপ ফিল্ডিং করেছি (পাঁচটি ক্যাচ পড়ে)। এটা আমাদের শোধরাতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Asia Cup 2018 Pakistan Afghanistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE