সফল: হেপ্টাথলনে রুপো জেতার পরে স্বপ্না বর্মণের উচ্ছ্বাস। পিটিআই
এশীয় পর্যায়ে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারলেন না স্বপ্না বর্মণ। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলার সোনার মেয়েকে। মঙ্গলবার রাতে দোহায় হেপ্টাথলনের শেষ ইভেন্টের পর ৫৯৯৩ পয়েন্টে শেষ করলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে। জাকার্তা এশিয়াডে যে পয়েন্ট (৬০২৬) করেছিলেন, তার চেয়ে কম পয়েন্ট করে সোনার পদক হারালেন তিনি।
দু’পায়ে ছয় আঙুল থাকা সত্ত্বেও এর আগে অ্যাথলেটিক্সের অন্যতম কঠিন ইভেন্ট হেপ্টাথলনে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। ২০১৭-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত বছর জাকার্তা এশিয়াডেও সোনা জিতেছিলেন রাজবংশী পরিবারের মেয়ে। এ বার স্বপ্ন পূরণের জন্য স্বপ্না জার্মানি থেকে তৈরি হয়ে আসা নতুন জুতো পরে নেমেছিলেন দোহায়। সোনা জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্য ছিল সুভাষ সরকারের ছাত্রীর। সেই মতো অনুশীলন করেও এসেছিলেন। প্রায় তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করেও শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি। কিন্তু প্রথম দিনের চারটি ইভেন্টের পর অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন স্বপ্না। নেমে গিয়েছিলেন তিন নম্বরে। ৩৫২১ পয়েন্ট করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে লং জাম্প এবং জ্যাভলিন থ্রো-এর পর স্বপ্না উঠে আসেন দু’নম্বরে। প্রথম স্থানে থাকা উজবেকিস্তানেরই ভোরনিনার চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন ১৩৬ পয়েন্টে। স্বপ্নার পয়েন্ট শেষ ইভেন্টে নামার আগে দাঁড়ায় ৫১৭৩। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় সোনা জেতা অসম্ভব। কারণ দৌড় ইভেন্টে স্বপ্নার পক্ষে ওই পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব ছিল না। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় শেষ ইভেন্ট ছিল আটশো মিটার দৌড়। সেখানে তিনি সময় নিলেন ২ মিনিট ২০.৫৬ সেকেন্ড। দোহা থেকে ফোনে স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বললেন, ‘‘চোটের জন্য কয়েকটা ইভেন্টে ভাল করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে প্রথম দুটো ইভেন্টের পরই বুঝে যাই, স্বপ্নার পক্ষে সোনা পাওয়া সম্ভব নয়। চোট না থাকলে আরও একটু ভাল করতে পারত। এ বার চোটের চিকিৎসা করাতে হবে।’’
স্বপ্নার রুপোর পদক ছাড়া রাত পর্যন্ত ভারত আর কোনও পদক পায়নি। মেয়েদের চারশো মিটার রিলেতে একটি পদক পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে আজ, বুধবার বাংলার লিলি দাস জিততে পারেন। ত্রিবেণীর মেয়ে সরাসরি ১৫০০ মিটারের ফাইনালে নামবেন। সর্বভারতীয় পর্যায়ে দু’নম্বরে আছেন লিলি। ফলে তাঁর কাছে রুপো আশা করাই যায়। এখনও পর্যন্ত ভারত দুটি সোনা-সহ ১১ টি পদক জিতেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy