কলকাতায় প্রথম ম্যাচের আগে। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বকাপের হ্যাংওভার মনে হয় এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি কলকাতা। না হলে এই মরসুমে কলকাতার মাটিতে প্রথম আইএসএল ম্যাচ ঘিরে সেই উত্তাপ কোথায়?
বরং বেশ ছন্নছাড়া ভিড়ে ইতস্তত, বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া গেল টুকরো টুকরো ভিড়। গায়ে এটিকের জার্সি, হাতে পতাকা। হঠাৎ হঠাৎ অল্প বিস্তর স্লোগানও কানে এল। কিন্তু সেই উত্তাপ খুঁজে পাওয়া গেল না ম্যাচের অনেক আগে থেকে। যেমনটা সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের আসরেও দেখা গিয়েছিল। হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাবে ছবি। মানুষ আবার ফুটবলমুখী হবে।
ম্যাচের আগের বিকেলে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কাউন্টারের বাইরে লম্বা লাইনের প্রত্যাশা যদি কেউ করে থাকেন, তা হলে সেটা যে ভুল ছিল তা প্রমাণ করে দিল ম্যাচের দিনের মাঠ চত্বর। টিকিটের জন্য নেই কোনও হাহাকার। অন-লাইনেও নাকি টিকিট বিক্রির বহর তেমন নয়। এটিকের সূত্রই এমন খবর দিল বেশ মুখ কাচুমাচু করে। কিন্তু, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে যখন গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়তে শুরু করল সমর্থকরা তখন বোঝা গেল আসলে কলকাতা আছে কলকাতাতেই। আসলে কলকাতা আছে ফুটবলেই। সে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান হোক বা যুব বিশ্বকাপ বা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, বাংলার মানুষ কিন্তু ফুটবলেই রয়েছে।
লাল-সাদা জার্সিতে গ্যালারির অনেকটাই জমিয়ে রাখল এটিকে সমর্থকরা। স্বয়ং কোচ ডাক দিয়েছিলেন আগের বিকেলে। সবাইকে মাঠে আসার অনুরোধও করেছিলেন। দলের তারকা প্লেয়ার রবি কিন নেই চোটের জন্য। এটিকে কোচ শেরিংহ্যামের কাছে আজকের ম্যাচে তারকা প্লেয়ার কলকাতার দর্শকরাই। শুনে এসেছেন কলকাতার সমর্থকদের কথা, প্রথম ম্যাচে কোচিতেও দেখেছেন ভর্তি গ্যালারি। সেটাই এখানেও দেখতে চেয়েছেন তিনি। অনেকেই সেই ডাক শুনেছেন। কিন্তু রবিবারের বিকেলে যুবভারতী যতটা সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে মাতার কথা ছিল ঠিক ততটা শুরুতে অন্তত মনে হল না।
হয়তো একটা জয়ই বদলে দিতে পারে সবটা। যা ঘরের মাঠ থেকেই শুরু করতে চেয়েছিল এটিকে কিন্তু তেমনটা হল না। একরাশ হতাশা নিয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ল সমর্থকরা।
এটিকে-র প্রথম হোম ম্যাচ নিয়ে কী বললেন দর্শকেরা। দেখুন ফেসবুক লাইভ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy