গোলের পর গ্রিজম্যানের উল্লাস।
বায়ার্ন মিউনিখ ২ (আলোন্সো, লেওয়ানডস্কি)
আটলেটিকো মাদ্রিদ ১ (গ্রিজম্যান)
প্রথম ম্যাচের ফল: আটলেটিকো মাদ্রিদ ১ - ০ বায়ার্ন মিউনিখ৷
গোল পাল্টা গোল, পেনাল্টি পাল্টা পেনাল্টি, সেভ পাল্টা সেভে জমে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল৷ প্রথমার্ধে মুলারের পেনাল্টি শট বাঁচালেন ওবলাক৷ দ্বিতীয়ার্ধে টোরেসের শট আটকে গেল ন্যুয়ারের হাতে৷ শেষ ৪৫ মিনিট যেন বদলে গেল মুহূর্তেই৷ প্রথমার্ধের এক তরফা বায়ার্নের ম্যাচ দ্বিতীয়ার্ধে পরিণত হল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে৷ সেই লড়াই শেষে বায়ার্নের ঘরে তাদের ছিটকে দিয়ে ফাইনালে আটলেটিকো মাদ্রিদ৷ প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়৷ দ্বিতীয় লেগে ১-২ গোলে হারেও ড্র ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলের সৌজন্যে ফাইনালে টোরেস, গ্রিজম্যানরা৷
আটলেটিকোর অর্ধ থেকে উড়ে আসা ঠিকানাহীন বল যে এ ভাবে সঠিক পথ খুঁজে পাবে তা কি আর বুঝতে পেরেছিলেন লাম, মার্টিনেজ, বোয়েতাংরা? কিন্তু সেই উদ্দেশ্যহীন বল সব বাধাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরের ঘরে নিজের নাম লিখে গেল৷ ৫৩ মিনিটে যে বল মাঝমাঠে ধরে থ্রু বাড়িযেছিলেন টোরেস তা বুঝে নিতে ভুল করেননি গ্রিজম্যানও৷ তাঁর দৌঁড়ে কেটে গেল বায়ার্নের পুরো রক্ষণ৷ গোলমুখ ছোট করতে গোল ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছিলেন বায়ার্নের শেষ রক্ষণ ন্যুয়ারও৷ সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে গ্রিজম্যানের বাঁ পায়ের জোড়াল শট ন্যুয়ারের পাশ কাটিয়ে চলে গেল গোলে৷ ৭৪ মিনিটে লেওয়ানডস্কির দুরন্ত হেডে সমতায় ফিরল ঠিকই বায়ার্ন কিন্তু ততক্ষণে অ্যাওয়ে গোলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অ্যাটলেটিকো৷ এর পর শেষ ১০ মিনিট আটলেটিকো বক্সে ঝড় তুললেও জয়ের গোল তুলে আনতে ব্যর্থ বায়ার্ন৷
প্রথমার্ধেই শেষ হয়ে যেতে পারত বায়ার্ন বনাম আটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যে চ্যাম্পিযন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা৷ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারত প্রথম ফাইনালিস্টের নাম৷ কিন্তু হল না৷ হল না থমাস মুলারের অতি সাধারণ একটি পেনাল্টি শটের জন্য৷ ৩২ মিনিটে যখন খেই হারিয়ে মার্টিনেজকে বক্সের মধ্যেই টেনে ফেলে দেন জিমেনেজ তখনই পেনাল্টি থেকে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু মুলারের শট সহজেই আটকে দিলেন ওবলাক৷ পুরো ম্যাচে দুরন্ত গোলকিপিং করে গেলেন তিনি৷ রিজার্ভ বেঞ্চে বসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেল সিমিওনেকে৷ তখন মাথায় হাত গুয়ার্দিওয়ালার৷
একটা হোম গোল সঙ্গে করে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে নেমেছিল সিমিওনের দল৷ বায়ার্নের ঝুলিতে ছিল না কোনও অ্যাওয়ে গোল৷ এমন অবস্থায় মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়েই ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলতে নামার কথা ছিল সিমিওনের ছেলেদের৷ কিন্তু প্রথমার্ধটা নিজেদের দখলেই পুরোপুরি রেখে গেল হোম টিম৷ যার ফল কিছুটা চাপে থাকা আটলেটিকোর রক্ষণকে প্রথমেই গোল করে আরও একটু চাপে ফেলে দিল জাবি আলোন্সোর অসাধারণ ফ্রিকিক৷ যদিও দ্বিতীয়ার্ধে সেই চাপ ড্রেসিংরুমে রেখেই মাঠে নেমেছিলেন টোরেসরা৷
আটলেটিকো বক্সের বাইরেই ফ্রিকিক আদায় করে নিয়েছিল বায়ার্ন৷ আলোন্সোর ফ্রিকিক অ্যাটলেটিকোর পাঁচিল টপকে জিমেনেজের পায়ে লেগে চলে যায় গোলে৷ ঘরের মাঠে শুধু সমতায় ফেরা নয় জয়েও ফিরেছিল বায়ার্ন কিন্তু শেষ হাসি হেসে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদই৷ কাল ঠিক হবে কে হবে অ্যাটলেটিকোর প্রতিপক্ষ?
বায়ার্ন: ন্যুয়ার, লাম, মার্টিনেজ, বোয়েতাং, আলাবা, কোস্তা, মুলার, জাবি আলোন্সো, ভিদাল, রিবেরি, লেওয়ানোডস্কি৷
আটলেটিকো: ওবলাক, জুয়ানফ্রান, জিমেনেজ, গডিন, লুইস, কোকে, গাবি, ফার্নান্ডেজ (কারাসাকো), সওল, গ্রিজম্যান, টোরেস৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy