দুরন্ত বাংলাদেশ। অসাধারণ বোলিং। তাকেও ছাপিয়ে গেল ব্যাটিং। যেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পাকিস্তান। এভাবে বাংলাদেশের ব্যাট তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেব। কিন্তু হল তেমনটাই। যখন টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন আফ্রিদিরা তখন কী ভেবেছিলেন এতটা ল্যাজে-গোবরে হতে হবে। কিন্তু অদ্ভুত এক শক্তি ভর করেছিল এদিন ১১জন বাঙালির উপর। এটাকেই হয়তো বলে টিম গেম।যাতে এক্কেবারে ছিটকে গেল পাকিস্তান। মাশরাফ্ মোর্তজা হয়ে গেলেন দেশের সেরা অধিনায়ক। এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষদের কাছে খুবই প্রিয় এই মাশরাফি। এ বার যেন সেই ভালবাসার প্রতিদান দিলেন দেশকে ফাইনালে তুলে।
এমন নাটকীয় ম্যাচে তখন গ্যালারি পিন পড়লেও শোনা যাবে। সবার হাত মুখে। শেষ ওভারে বাকি ৩ রান। প্রথম বলটাকেই যে কাজে লাগাবে মাহমুদুল্লাহ কে জানত। কিন্তু তিনি সোজা বল পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারিতে। তাতেই কেল্লাফতে। উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল সঙ্গে সঙ্গেই। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। গ্যালারিতে তখন চোখে জল নিয়ে দেশের নায়কদের কাছ থেকে দেখা অপেক্ষা। মাহমুদুল্লাহর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাশরাফি। বেঞ্চ থেকে ছুটে আসছে পুরো দল। আবেগটা ছড়িয়ে পরল বাংলাদেশের গন্ডি পেড়িয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। বাঙালির ক্রিকেটকে পৌঁছে দিল এক অন্য উচ্চতায়। এটাই হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট। এটাই হয়তো দেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার এক লড়াইয়ের নাম।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy