হ্যাটট্রিক: বার্সার হার বাঁচাতে ব্যর্থ কুটিনহো। গেটি ইমেজেস
লেভান্তে ৫ বার্সেলোনা ৪
এ যেন তীরে এসে তরী ডোবার কাহিনি! অপরাজিত থেকে বার্সেলোনার লা লিগা জয়ের আশা রবিবার রাতে শেষ করে দিল লেভান্তে।
দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৪-২ হারিয়ে সপ্তাহ দু’য়েক আগেই ২৫তম লা লিগা জিতে নিয়েছিলেন আন্দ্রে ইনিয়েস্তারা। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লিয়োনেল মেসি। ম্যাচের পরেই ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য অপরাজিত থেকে লিগ শেষ করা। কিন্তু লিগ টেবলের ১৫ নম্বরে থাকা লেভান্তে যে এ ভাবে হারিয়ে দেবে বার্সেলোনাকে, সেটা সম্ভবত কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
লেভান্তের বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসি ও জেরার পিকে-কে বিশ্রাম দিয়েছিলেন বার্সেলোনা ম্যানেজার। মেসির পরিবর্তে শুরু থেকেই খেলান ভবিষ্যতের তারকা ওসমানু দেম্বেলেকে। কিন্তু দলের সেরা অস্ত্র না খেললে যে পরিস্থিতি এতটা প্রতিকূল হয়ে উঠবে, ভাবতে পারেননি ভালভার্দে। ম্যাচের ন’মিনিটেই বার্সেলোনার বিরুদ্ধে গোল করে লেভান্তেকে এগিয়ে দেন ইমানুয়েল ওকেয়েরে বোয়াটেং। দ্বিতীয় গোল তিনি করেন ৩০ মিনিটে। প্রথম গোলের আট মিনিটের মধ্যেই ভবিষ্যতের আর এক তারকা ফিলিপে কুটিনহো সমতা ফেরানোর পরে বার্সেলোনা সমর্থকেরা ভেবেছিলেন, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দল এ বার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের বিপর্যয়। এ বার লেভান্তেকে এগিয়ে দেন এনিস বার্দি। ৪৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন বোয়াটেং। ৫৬ মিনিটে এনিস করেন পঞ্চম গোল। ২১ বছর বয়সি ঘানার এই স্ট্রাইকার এই মরসুমেই যোগ দিয়েছেন লেভান্তে-তে। অভিষেকের বছরেই বার্সেলোনার বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে শিরোনামে। বোয়াটেং-এনিস যুগলবন্দিতেই ৫৬ মিনিটে ১-৫ পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা!
হ্যাটট্রিক করেন কুটিনহো-ও। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সেলোনার হয়ে চতুর্থ গোল করেন লুইস সুয়ারেস। দুরন্ত লড়াই সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। অধরা থেকে গেল ৮৮ বছরের নজির ছোঁয়ার স্বপ্ন।
নায়ক: হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতালেন বোয়াটেং। গেটি ইমেজেস
১৯৩০ সালে একটাও ম্যাচ না হেরে লা লিগা জিতেছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। তার পরে আর কোনও ক্লাবই সেই সম্মান অর্জন করতে পারেনি। এই মরসুমে মেসিরা চেয়েছিলেন বিলবাওয়ের সেই নজির স্পর্শ করে ইতিহাস গড়তে। কিন্তু লেভান্তের ধাক্কায় স্বপ্ন অধরাই থাকল। ম্যাচের পরে ক্ষুব্ধ ভালভার্দে বলেছেন, ‘‘পাঁচ গোল খাওয়া কখনওই স্বাভাবিক নয়। লেভান্তের ফুটবলাররা স্বাধীন ভাবে খেলছে। আমরা কখনওই ওদের সামনে বাধা হয়ে উঠতে পারিনি। ওদের আক্রমণের সময় বার বার আমাদের রক্ষণ ভেঙে পড়েছে।’’ এখানেই শেষ নয়। তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হয়তো ভেবেছিলাম, বাড়তি পরিশ্রম ছাড়াই দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলার উন্নতি হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy