হোসে ব্যারেটোর জায়গায় আটলেটিকো দে কলকাতার সহকারী কোচ হতে চলেছেন তুলনায় অনামী কোচ বাস্তব রায়।
বুধবার কলকাতার কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মাদ্রিদ থেকে ভারতীয় সহকারী হিসাবে বাস্তবকে নেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। যা দেখে চমকে গেলেও, কলকাতার কর্তারা এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জানা গিয়েছে দু’চারদিনের মধ্যেই নয়ের দশকের শেষ দিকে দুই প্রধানে খেলা প্রাক্তন এই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হয়ে যাবে কলকাতার। তারপর সরকারি ঘোষণা।
বাস্তব অবশ্য এখন আটেলিটোর সঙ্গেই য়ুক্ত আছেন। কলকাতার লিগের তৃতীয় ডিভিসনে আটলেটিকোর যে জুনিয়র দল খেলছে বাস্তব সেই দলের কোচ। গত বছর থেকেই কলকাতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
আইএসএলের নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক টিমে বিদেশি কোচ বা ম্যানেজারের সঙ্গে একজন ডিগ্রিধারী ভারতীয় কোচ রাখা বাধ্যতামূলক। সে জন্যই দিল্লি ডায়নামোসে রবের্তো কার্লোসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রমন বিজয়ন, কেরল ব্লাস্টার্স নিয়েছে ইসফাক আমেদকে, নর্থ ইস্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সন্তোষ কাশ্যপের মতো প্রাক্তন ফুটবলার বা কোচেরা। কলকাতায় এসেই তাই সহকারী বাছার জন্য চার কোচের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন হাবাস। এঁরা হলেন, মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ জহর দাশ, ভারতীয় ও বাংলা দলের প্রাক্তন কোচ গৌতম ঘোষ, প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত চক্রবর্তী এবং বাস্তব রায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাস্তবকেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কোচের পছন্দ হয়েছে বলে খবর। মূলত তৃণমূল স্তরে দীর্ঘ দিন কাজ করছেন বলেই তাঁকে পছন্দ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বয়ং হাবাস।
বাস্তবের নাম সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। কেউ তাঁর সঙ্গে কথাও বলেননি এ ব্যাপারে। উত্তরপাড়ার বাড়িতে ফোনে ধরা হলে এ বছর ‘এ’ লাইসেন্স পরীক্ষা দেওয়া বাস্তব বলে দিলেন, ‘‘আমাকে এখনও কেউ কিছু জানায়নি। টেনশন নিয়ে অপেক্ষা করছি। তবে হাবাসের সঙ্গে কাজ করতে পারলে সেটা আমার কাছে স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো ব্যাপার হবে। আরও অনেক কিছু শিখতে পারব।’’ জহর দাস বা গৌতম ঘোষের মতো প্রচুর ডিগ্রিওয়ালা পরিচিত কোচ থাকতে বাস্তবকে কেন বেছে নিলেন হাবাস। কী প্রশ্ন করেছিলেন ইন্টারভিউতে? বহু দিন ময়দানে কোচিং করানো বাস্তব বললেন, ‘‘মূলত জুনিয়রদের ট্রেনিং, টিমকে তৈরি করার জন্য কী পরিকল্পনা করা যেতে পারে, সে ব্যাপারেই প্রশ্ন করেছিলেন হাবাস। আমি কী কী কাজ করেছি, কোথায় কোচিং করিয়েছি সেটাও প্রশ্ন করেছিলেন।’’
মোহনবাগানে যখন খেলতেন তখন বাস্তবের কোচ ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। কোচ হওয়ার জন্য সুব্রত এখন লাইসেন্স পেতে ফেডারেশনে দরবার করছেন। নানা লোককে ধরছেন। হোসে ব্যারেটোকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনেও অন্যতম কারণ ছিল ডিগ্রি।
মোহনবাগান, মহমেডান, টালিগঞ্জে খেলার সময়ই বাস্তব বুঝতে পারেন কোচিং করতে গেলে ডিগ্রি খুব দরকার। কাস্টমস, রেনবোর মতো ময়দানের নীচের ডিভিসনের ক্লাবে কোচিং করতে করতে ‘সি’ এবং ‘বি’ লাইসেন্স করে ফেলেন। কয়েক মাস আগে ‘এ’ লাইসেন্স পরীক্ষা দিয়েছেন বারাসতে। তার ফল এখনও বেরোয়নি। মৃদুভাষী বাস্তব বলছিলেন, ‘‘আমি উত্তরপাড়ায় একটা কোচিং সেন্টার চালাই। সেখান থেকে বহু ফুটবলার ময়দানে এবং বাংলা দলে খেলছে। সেটাও বলেছিলাম হাবাসকে।’’
বাস্তবের এমনিতে কোচ হিসাবে তেমন পরিচিতি নেই। কিন্তু হাবাসকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন, তারকা বা নামের পিছনে কখনও ছোটা পছন্দ করেন না স্প্যানিশ কোচ। দেখার হাবাসের সঙ্গে থেকে অনামী বাস্তব কতটা এগোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy