Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সাডেন ডেথে এল জয়, সন্তোষ ফাইনালে বাংলা

ছয় বছরের খরা কাটিয়ে ফের সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলা। বৃহস্পতিবার গোয়ার মাঠে তীব্র উত্তেজক ম্যাচে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম সাডেন ডেথে হারাল মিজোরামকে।

নায়ক: দুর্ভেদ্য শঙ্কর রায়। টাইব্রেকারে মিজোরামের দুটো কিক বাঁচিয়ে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে দলকে তুললেন বঙ্গ গোলকিপার। —ফাইল চিত্র।

নায়ক: দুর্ভেদ্য শঙ্কর রায়। টাইব্রেকারে মিজোরামের দুটো কিক বাঁচিয়ে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে দলকে তুললেন বঙ্গ গোলকিপার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩১
Share: Save:

বাংলা ০(৬)

মিজোরাম ০(৫)

ছয় বছরের খরা কাটিয়ে ফের সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলা।

বৃহস্পতিবার গোয়ার মাঠে তীব্র উত্তেজক ম্যাচে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম সাডেন ডেথে হারাল মিজোরামকে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূণ্য থাকার টাইব্রেকারে খেলার ফল দাঁড়ায় ৪-৪। এরপর সাডেন ডেথে দ্বিতীয় কিকেই বাংলাকে জয় এনে দেন বসন্ত সিংহ। তবে বসন্ত সেই সুযোগ পেতেনই না যদি গোলে দাঁড়িয়ে পাহাড়ি টাট্টু ঘোড়াদের জোড়া কিক অসামান্য দক্ষতায় রুখে দিতেন বাংলার গোলকিপার শঙ্কর রায়। টাইব্রেকারের তিন নম্বর শট আর সাডেন ডেথের বিপক্ষের দ্বিতীয় কিকটা বাঁচিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে যান নাগেরবাজারের এই বঙ্গসন্তান। গোয়া থেকে ফোনে বাংলার কোচ মৃদুলও বলে ফেললেন, ‘‘শঙ্কর ভাল দু’টো সেভ না করলে আমরা ফাইনাল খেলতে পারতাম না। তবে আমার ছেলেরাও দারুণ পেনাল্টি মেরেছে। সাতটি কিকের মধ্যে ছ’টা গোল করেছে।’’ বাংলার হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন রানা ঘরামি, মনবীর সিংহ, সামাদ আলি মণ্ডল, মমতাজ আখতার। আর সাডেন ডেথে গোল করেন শেখ ফৈয়াজ ও বসন্ত সিংহ।

ছয় বছর আগে গুয়াহাটিতে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সাব্বির আলি। তারপর আর বাংলা ফাইনালেই উঠতে পারেনি। মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, শিশির ঘোষের মতো তারকাদের কোচ করেছিল আইএফএ। কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য দিতে পারেননি কেউই। মৃদুল সেটা করলেন। এ বারও দল নিয়ে নানা ঝামেলা ছিল। সন্তোষের নতুন নিয়মে আই লিগের ফুটবলার খেলানো যায় না। ফলে মহমেডান, সাদার্ন সমিতি, পিয়ারলেসের মতো টিম থেকেই ফুটবলারদের বেছে নিয়েছিলেন মৃদুল। সেজন্যই সেই অর্থে কোনও নামী তারকা ছিলেন না টিমে। তার উপর চোট আঘাতে জর্জরিত বেশ কয়েকজন ফুটবলার বুধবার অনুশীলন করতে পারেননি। শেষ গোলের কিকটিতে গোল করে যিনি বাংলাকে জয়োল্লাসের সুযোগ করে দিলেন সেই বসন্ত-ও চোটের জন্য অনুশীলনও করতে পারেননি ম্যাচের আগের দিন। সে জন্যই সেভাবে টাইব্রেকার অনুশীলনও করাতে পারেননি বাংলার কোচ। এই অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডের টানটান উত্তেজনার মধ্যে থেকে সাডেন ডেথ জয় পাওয়া বিরাট ব্যাপার সন্দেহ নেই। তা সত্ত্বেও এই ম্যাচকে সেরা বলতে রাজি নন মৃদুল। বাংলার কোচ বলছিলেন, ‘‘গোয়া ম্যাচটা আমরা আরও ভাল খেলেছিলাম। নির্ধারিত সময়ে গোল না পেলেও টিম যথেষ্ট ভাল খেলেছে। তবে এতে আমি খুশি নই। চ্যাম্পিয়ন না হলে এসবের কোনও দাম থাকবে না।’’

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আপনার পরামর্শ কি? শেষ বার পরপর দু’বার যিনি বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সেই সাব্বির আলি বললেন, ‘‘বাংলা আবার ফাইনালে উঠেছে বলে ভাল লাগছে। তবে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে সবাই যেন চাপমুক্ত হয়ে নামে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE