রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ শেষ হল অমীমাংসিত ভাবে। তবে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার ফলে আমতার থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরছে মনোজ তিওয়ারির দল। প্রথম ইনিংসে বাংলা করেছিল ৩৮০ রান। রবিবার হিমাচলপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২৪ রানে। ফলে বাংলা প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকে ৫৬ রানে। হিমাচলপ্রদেশ এই ম্যাচ থেকে পেয়েছে এক পয়েন্ট। তবে আগামী ম্যাচ থেকে মনোজকে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে কি না, কালীপুজোর পরেই তা নিয়ে আলোচনায় বসবে সিএবি।
তৃতীয় দিনের শেষে হিমাচল প্রদেশের রান ছিল নয় উইকেটে ৩০২। বাংলার প্রথম ইনিংসের রান টপকে যেতে তাদের দরকার ছিল ৭৮ রান। ক্রিজে ছিলেন গুরবিন্দর সিংহ (০) এবং ঋষি ধওয়ন (২৪)। কিন্তু এ দিন শুরুতেই বৃষ্টি নামায় খেলা না হওয়ার আশঙ্কা গ্রাস করেছিল বাংলা শিবিরকে। কিন্তু সেই বৃষ্টি কিছু পরেই থেমে গেলে খেলা শুরু হয়। তবে হিমাচল প্রদেশের ইনিংস আট ওভারের বেশি স্থায়ী হয়নি। ঈশান পোড়েলের বলে ব্যক্তিগত পাঁচ রানের মাথায় গুরবিন্দর সিংহ কটবিহাইন্ড হন। হিমাচল প্রদেশের ইনিংসও শেষ হয় ৩২৪ রানে। ঋষি ধওয়ন অপরাজিত থেকে যান ৩৭ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলার ইনিংস শেষ হয় ২০৩ রানে। অভিষেক রামন করেন ৮৭ রান। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরন করেন ৭৬। ওপেনিং জুটিতে ১৩৯ রান ওঠে বাংলার। চায়ের বিরতিতে মনোজ তিওয়ারির দল কোনও উইকেট না হারিয়ে করে ১১৭। কিন্তু চায়ের বিরতির পরে আউট হন এই দুই ব্যাটসম্যান। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় করেন ১৫ রান। অপরাজিত থাকেন মনোজ ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
প্রথম ম্যাচেই তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরায় খুশি বাংলা শিবির। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেয়ে ওপেনার অভিষেক রামন বলছেন, ‘‘রান পেলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তবে শুরুটা ভাল করলেও তা বড় রানে পরিণত না হওয়ায় আফসোস হচ্ছে। যেমন আজও ভাগ্য ভাল না থাকায় বড় রানের কাছ থেকে ফিরতে হয়েছে। রান পাওয়ায় মনোবল ঠিক থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy