সন্তোষ ট্রফিতে সাফল্য পেল বাংলার ফুটবল টিম। ফাইল চিত্র
বিহারের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের লজ্জার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াল বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতে গ্রুপ লিগ থেকে যখন ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত, তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে ওড়িশাকে চার গোলে হারিয়ে মূল পর্বে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করে নিল রঞ্জন ভট্টাচার্যের দল। সেই ওড়িশা, যারা ছয় গোল দিয়েছিল বিহারকে।
গোল পার্থক্যে গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ৪-০ গোলে জেতা প্রয়োজন ছিল বাংলার। কল্যাণীতে এটাই হল শেষ পর্যন্ত। জোড়া গোল করলেন অর্জুন টুডু। অন্য দুটি গোল করলেন সুরজিৎ শীল এবং মহম্মদ ফরিদ। সুরজিতের গোল অবশ্য পেনাল্টি থেকে। বিরতির আগে বাংলা এগিয়েছিল ১-০ গোলে।
বিহারের মতো দলের কাছে হারের পর কোন মন্ত্রে বৃহস্পতিবার ঘুরে দাঁড়ালেন বাংলার ফুটবলাররা? যেখানে বিহারের চেয়ে ওড়িশা অনেক শক্তিশালী? কোচ রঞ্জন যুক্তি দিলেন, অর্জুন টুডু এবং সুদীপ্ত মালাকার দলে যোগ দেওয়ায় দলের শক্তি বেড়েছিল। ‘‘ওরা যোগ দেওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। তার উপর পুরো দলকে এই তিন দিন একসঙ্গে অনুশীলন করানোর সুযোগ পেয়েছি।’’ জেতার জন্য অবশ্য শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছিল বাংলা। ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন বাংলা কোচ। ফলে শুরু থেকেই তুহিন দাশ, বাবলু ওঁরাওরা চেপে ধরেন ওড়িশাকে। সাত মিনিটের মধ্যেই গোল করেন অর্জুন টুডু। বিরতির সময় পুরো দলকে আক্রমণে যাওয়ার জন্য দুই উইংকে আরও কার্যকর করতে বলেন বাংলা কোচ। সেই সুফল পেয়ে যায় বাংলা। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি পান অর্জুনরা। এর দু’মিনিট পর ফের গোল। শেষ গোল হয় ৬৩ মিনিটে।
সন্তোষ ট্রফির মূলপর্ব কোথায় হবে তা জানেন না আইএফএ কর্তারা। তবে তাঁরা খবর পেয়েছেন খেলা হবে নভেম্বরে। বাংলার যে দলটি গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হল সেই দলে মহমেডান, পিয়ারলেসের মতো দল থেকে কিছু ফুটবলার নিতে চান বাংলা কোচ। বললেন, ‘‘ওখানে তো গোয়া, মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো দল থাকবে। সে জন্যই দল বদলাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy