উদ্বেগ: টানা চার ম্যাচে রান পেলেন না ঋদ্ধিমান। ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফিতে কেরলের বিরুদ্ধে হেরে শেষ আটের রাস্তা কঠিন করে ফেলেছিল বাংলা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও মনোজ তিওয়ারির দল হারল সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে বাংলাকে ২৬ রানে হারাল অসম। জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে ট্রফি হাতে ফেরার আশাও ক্ষীণ হতে শুরু করল মনোজদের।
গত ম্যাচের মতোই টস জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠায় মনোজ। ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে অসম। বিপক্ষের পাঁচ উইকেটের মধ্যে চার উইকেটই অশোক ডিন্ডার। অন্যটি রান আউট। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩৬ রানে আটকে যায় বাংলা। মিডল অর্ডারে ফের ব্যর্থ মনোজ ও ঋদ্ধিমান সাহা। ৯ বলে তিন রান করে ফিরে যান মনোজ। ঋদ্ধি ফিরে যান ১১ রানে। ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামীর ৪৩ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও বড় রান নেই বাংলার স্কোরকার্ডে।
কাঁধের চোট সারিয়ে মূল স্রোতের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ঋদ্ধির। শেষ চার ম্যাচে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। কিন্তু একটি ম্যাচেও বড় রান পাননি। এমনকি চলতি প্রতিযোগিতায় এ দিনই দশ রানের গণ্ডি পেরোলেন বাংলার উইকেটকিপার। ১২ বল খেলে করলেন ১১ রান। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের এই পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ মেন্টর ও কোচ অরুণ লাল। তিনি মনে করেন, ঋদ্ধি এখনও ম্যাচ ফিট নন।
কটক থেকে ফোনে অরুণ বলেন, ‘‘ঋদ্ধিকে দেখে আমার মনে হয়েছে এখনও ম্যাচ ফিট হতে ওর সময় লাগবে। নিঃসন্দেহে ও ভাল ক্রিকেটার। অনেক দিন মাঠের বাইরে ছিল। তাই ম্যাচে ফিরতে আরও একটু সময় লাগবে।’’ অধিনায়ক মনোজ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাটসম্যানেরা এমন ব্যাট করছে যেন এটাই তাদের শেষ ম্যাচ। একটা, দু’টো ভাল শট নিয়ে উইকেট ছুড়ে দিচ্ছে। তা ছাড়া আমিও রান
পাচ্ছি না।’’
অসমের বিরুদ্ধে হারের পরে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বাংলার টিকে থাকার লড়াইও কঠিন হয়ে গেল। প্রত্যেকটি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল যাবে সুপার লিগে। বাংলার গ্রুপ ‘ডি’। চার ম্যাচ শেষে আট দলের মধ্যে বাংলা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পয়েন্ট ৮। সে গ্রুপেই চার ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে কর্নাটক। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে অসমের পয়েন্ট ১২। বাংলার সামনে আরও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। প্রতিপক্ষ অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও ওড়িশা। প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতলেও শেষ আটের রাস্তায় নিশ্চিত হতে পারবে না মনোজ-বাহিনী। তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে নেট রান রেট। অরুণ বলছিলেন, ‘‘টানা তিন ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তার পরে তাকিয়ে থাকতে হবে হরিয়ানা-অসম ম্যাচের দিকে। সেখানে হরিয়ানা অসমকে হারালে আমাদের খানিকটা সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy