বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে হারের দিনই বড় ধাক্কা বাংলা শিবিরে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী পেসারকে হয়তো বিজয় হাজারে ট্রফিতে পাচ্ছেন না মনোজ তিওয়ারিরা। সোমবার নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে সে কথাই জানালেন বাংলার উদীয়মান পেসার ঈশান পোড়েল।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ২৫টি বল করার পরেই বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে হার মানেননি ঈশান। চোট নিয়েই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে নেমেছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের অন্যতম নায়ক হয়ে উঠেছিলেন বাংলার তরুণ পেসার। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে সফল হন তিনি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, চোট এখনও পুরোপুরি সারেনি। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করাতে যেতে হবে ঈশানকে। দেশে ফিরে মুম্বই থেকে ফোনে ঈশান বলেন, ‘‘বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলব কি না এখনও বলতে পারছি না। আমি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠিনি। বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যেতে হবে আমাকে। নক-আউট পর্বে উঠলে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
যদিও রবিবার সে বিষয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বিজয় হাজারে ট্রফিতে যে তাঁর উপস্থিতি বেশ জরুরি, তা সোমবার গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম ম্যাচে বাংলার বোলিং দেখেই আন্দাজ করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পঞ্চাশ ওভারে ন’উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান করেও সাত উইকেটে হারতে হল মনোজদের।
বাংলার হারের নেপথ্যে সেই খারাপ ফিল্ডিং ও এলোমেলো বোলিং। ফিল্ডিংয়ের সমস্যা রঞ্জি ট্রফি থেকে তাড়া করে আসছে মনোজ তিওয়ারিদের। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাই ২৯৩ রানও কম পড়ে গেল বাংলার জন্য। ১০২ বলে রাহুল ত্রিপাঠীর ১২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস ২৫ বল বাকি থাকতেই তফাত গড়ে দিল দুই শিবিরের।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র অধিনায়ক রাহুল ত্রিপাঠী। বাংলা ইনিংসের প্রথম বল থেকেই বেশ চনমনে মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন অভিমন্যু ও শ্রীবৎস গোস্বামী (১৮)। ১১৪ বলে ১০৩ রান করে বাংলাকে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন ওপেনার অভিমন্যু। রান পেয়েছেন মনোজও। ৭৬ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসে দলকে ২৯৩ রানে পৌঁছে দেন তিনি। একটা দিক সামলে দলকে টানছিলেন বাংলার অধিনায়ক।
কিন্তু শেষটাই ভাল করতে পারলেন না মনোজরা। আট জন বোলার ব্যবহার করেও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৭৭) ও রাহুল ত্রিপাঠী-কে আটকাতে পারলেন না অশোক ডিন্ডা-রা। গ্রুপের প্রথম দু’টি দলের মধ্যে থাকতে গেলে বাকি পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিততে হবে বাংলাকে। না হলে কঠিন অঙ্কের উপর ভরসা করতে হবে মনোজদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy